“কি রকম গরম পড়ছে দেখতে পাচ্ছো? এরকম গরম পড়লে তো দুই গোলার্ধের বরফসহ পুরো দুনিয়াই গলে যাবে!”
স্যাল’স পিজ্জারিয়া’রবিপরীত পাশে আড্ডা দেওয়া তিন অলস ব্যক্তির কথোপকথনে উপরের কথাটি বলে ওঠেন একজন। এই উক্তি যে কত বড় রুপক সেটি দর্শকরা বুঝতে পারবেন সিনেমার শেষে।
ডু দ্যা রাইট থিং (১৯৮৯)আমেরিকায় মুক্তি পায় ১৯৮৯ সালের ২১শে জুলাই। তার আগে একই বছরের ১৯শে মে কান চলচ্চিত্র উৎসবেপ্রদর্শিত হয় এই চলচ্চিত্র। এটি স্পাইক লি পরিচালিত ৩য় সিনেমা। নিজের সিনেমা বানানোর ক্ষেত্রে একাগ্রতার সাথে মেইনস্ট্রিমের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করার যে অভ্যাস তাঁর, এখানেও সেটি বর্তমান।
অনেকের মতে লি আমেরিকান সিনেমার ফ্রেশ এবং পাওয়ারফুল ভয়েস। অন্যরা ভাবেন তিনি জাস্ট প্রোপাগাণ্ডা ও উত্তেজনা ছড়ানোর কাজ করেন। কেউ তাঁর সম্পর্কে এই যে দুই ধরণের মতবাদ, তার যেকোনটির সমর্থকই হোক না কেন; এই কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে গত কয়েক দশকে আমেরিকান সিনেমাতে লি রেখেছেন অমোচনীয় ছাপ। অনুপ্রাণিত করেছেন অসংখ্য নতুন ফিল্মমেকারকে, যারা নিজেদের মত করে গল্প বলতে চান। বিশেষ করে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকারদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি মেলা ভার।
এর আগে দুটি সিনেমা নির্মাণ করলেও একজন ফিল্মমেকার হিসেবে তাঁকে প্রবাদতুল্য করে তুলেছে এই ডু দ্যা রাইট থিং। এই মুভিতে লি সরাসরি বর্ণবৈষম্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছেন। বিষয়গুলোকে দেখেছেন পক্ষপাতী না হয়ে এবং অটল থেকেছেন নিজের বক্তব্যের উপস্থাপনে; যা খুব কম সিনেমার ক্ষেত্রেই দেখা যায় এবং শ্বেতাঙ্গ দর্শকরা তাঁর এই ব্যাপারটির সাথে তেমন একটা পরিচিত ছিলো না তখন। আগে বা পরে তাঁর নির্মিত অন্য কোন মুভি নিয়ে এতটা সমালোচনা হয় নি, এমনকি ১৯৯২ সালের ম্যালকম এক্সনিয়েও এত কথাবার্তা হয় নি। অনেকেই এই মুভি জাতিগত দাঙ্গা উসকে দেবে বলে রায় দিয়েছিলেন মুক্তিকালীন সময়ে।
তবে প্রখ্যাত দুই চলচ্চিত্র সমালোচক জিন সিসকেলএবং রজার এবার্টউভয়েই স্ততিতে ভাসিয়েছিলেন স্পাইক লিকে। মুভিটি দেখার পর দুজনই বলেন এটি ঐ বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা। ঐ দশকের শ্রেষ্ঠ ১০ ছবির তালিকায়ও এটিকে স্থান দিয়েছিলেন তাঁরা। একজনের তালিকায় এটির অবস্থান ছিল ৬ষ্ঠ এবং অন্যজনের তালিকায় ৪র্থ। এবার্ট তো এটিও বলেছিলেন যে, আমাদের সময়ের অন্য যেকোন সিনেমার চেয়ে এটি আমেরিকার জাতিগত সম্পর্ককে বাস্তবিকভাবে উপস্থাপন করেছে।পরে তিনি এটিকে নিজের দ্যা গ্রেট মুভিজলিস্টে সংযুক্ত করেছেন। যুগের সাথে প্রাসঙ্গিকতা বজায় থাকার কারণে এটি সমাদৃত হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের ধার কখনোই ধারেন নি লি, এই মুভিতেও সেদিকে নজর নেই তার। বিশেষজ্ঞের ভাব ধরে উপদেশও দিতে চান নি। বরং তিনি কিছু চরিত্রকে দর্শকদের সাথে পরিচিত করিয়ে দিয়ে তাদের সামনে প্রেক্ষাপট তৈরী করে দেন। এরপর একের পর এক ঘটনা ঘটে আপন গতিতে। এই মুভিতে কোন মতবাদের দিকেই পরিচালকের পক্ষপাতদুষ্টতা পরিলক্ষিত হয় নি। সমালোচকদের অনেকেই এই মুভিতে পরিচালক আসলে কি বার্তা দিতে চেয়েছেন সেটি নিয়ে না ভেবে তাকে দোষারোপ করে গেছেন সিনেমাটির রিলিজের সময়। এই ধরণের মনোভাব লি এবং তার কাজ উভয়ের জন্যেই অবমাননাকর।
পরিচালনার পাশাপাশি এটিতে অভিনয় এবং প্রযোজনাও করেছেন তিনি। সিনেম্যাটোগ্রাফিতে ছিলেন আর্নেস্ট ডিকিনসনআর সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বিল লি।১২০ মিনিটের দৈর্ঘ্যের এই মুভিটি ৬ মিলিয়ন ডলারের বাজেটের বিপরীতে বক্স অফিস থেকে আয় করে ৩৭.৩ মিলিয়ন ডলার। আইএমডিবিতে এটির রেটিং ৮ এবং রটেন টমাটোজে অবস্থান করছে ৯৩% ফ্রেশনেস নিয়ে। স্ট্রিমিং সার্ভিস ফুবো টিভিএবং শোটাইমএ দেখা যাবে এটি।৬২তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসএ সেরা পার্শ্ব চরিত্রএবং শ্রেষ্ঠ মৌলিক চিত্রনাট্যএই দুটি বিভাগে মনোনীত হয় মুভিটি।
মুভির একদম শুরুতে হঠাৎ করে বেজে ওঠে পাবলিক এনিমির ফাইট দ্যা পাওয়ার। এই গানের সাথে টিনা (রোজি পেরেজ)এর পার্ফম্যান্স আপনার মনে ছাপ ফেলবে৷ এটাই পেরেজের অভিষেক ফিল্ম। আর ‘ফাইট দ্যা পাওয়ার’ গানটি পুরো মুভিজুড়ে আরো বহুবার বাজতে শুনবো।
তারপরই আমরা শুনবো দ্রুত কথা বলা আরজে মি. সেনিয়র লাভড্যাডি (স্যামুয়েল এল জ্যাকসন)চিৎকার করে সবাইকে বলছেন, ওয়েক আপ!নিজের নিরিবিলি স্টুডিওতে বসে পুরো এলাকার খবরাখবর সকলের কাছে পৌঁছে দেন লাভ ড্যাডি।
পুরো মুভিতে ব্রুকলিনের বেডফোর্ড-স্টুইভেস্যান্ট এলাকার একটি অসহ্য উষ্ণ দিনের নানা ঘটনাবলীকে দেখানো হয়। পুরো গল্পটাই আমরা দেখি মুকি (স্পাইক লি)এর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আমরা ঐ এলাকার বেশকিছু মানুষের সাথে পরিচিত হই এবং তাদের সারাদিনের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করি৷ এখানকার প্রত্যেকটি চরিত্র, তা যত ক্ষুদ্রই হোক; সবার মাঝে নিজস্ব ব্যক্তিত্ব রয়েছে এবং তাদের কাজকর্মে তা প্রতিফলিত হয়।
স্যাল (ড্যানি আইয়েল্লো), স্যাল’স ফেমাস পিজ্জারিয়াএর মালিক। এই প্রতিষ্ঠানটি এখানে আছে ২৫ বছর ধরে এবং দুই প্রজন্মের গ্রাহককে সার্ভ করেছেন স্যাল। এটা নিয়ে বেশ গর্বও বোধ করেন তিনি। নিজের হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি সংযুক্ত করেছেন নিজের দুই সন্তানকেও। এদের মধ্যে একজন হলো রগচটা পিনো (জন টারটুরো)এবং আরেকজন অনেকটা সভ্য ভিটো (রিচার্ড এডসন)।
পিনোকে আমরা দেখি কোন রাখ-ঢাক না রেখে বর্ণবাদী আচরণ করতে। সারাদিনই কৃষ্ণাঙ্গ গ্রাহকদের সার্ভ করা নিয়ে গজগজ করে সে। ভিটো কালার-ব্লাইন্ড। তার মধ্যে ভাইয়ের মত অত প্যাঁচ নেই। স্যালের কথা যদি বলেন, তাহলে তিনি বিশ্বাস করেন শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ জাতি পাশাপাশি অবস্থান করতে পারে। তবে তার এই যে বিশ্বাসের চিত্র তার পেছনে টুকটাক গোঁড়ামি রয়েছে। এক্ষেত্রে একটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। সেটি হলো স্পাইক লির মতে স্যাল বর্ণবাদী কিন্তু ড্যানি আরিয়েল্লো এটির সাথে একমত নন।
মুকির বয়স ২০ পেরিয়েছে। সে স্যালের দোকানের পিজ্জা ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করে। আলাদা বাস করলেও তার আর তার গার্লফ্রেন্ড (টিনা) উভয়েরই তাদের ছোট বাচ্চার প্রতি টান আছে এবং তার সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে চায়। সে যেকোন ঘটনাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিষ্ক্রিয় থাকে। তার সারাদিন কেটে যায় এলাকার লোকজন সাথে কথা বলে এবং পিজ্জা ডেলিভারি দিয়ে।
আরো পড়ুনঃ
মাহেশিন্তে প্রাথিগারাম (২০১৬) : ইন-ডেপথ ক্যারেক্টার স্টাডি, বাটারফ্লাই ইফেক্ট এবং জীবনের বয়ে চলা
কখনো আসেনি (১৯৬১) : পরিচালনায় জহির রায়হান নামক জিনিয়াসের আবির্ভাব
বেনসন অ্যান্ড হেজেস : রাজকীয় ব্রিটিশ সিগারেটের সাতকাহন [পর্ব-১]
মুকির এক বন্ধু বাগিন’ আউট (জিয়ানকার্লো এসপোসিটো)।তার পলিটিক্যাল মিশন আছে৷ স্যালের দোকানে একটি হল অফ ফেইম টাইপের অংশ আছে, যেখানে তিনি নিজেদের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ইতালিয়ান-আমেরিকানদের ছবি রেখেছে। বাগিন’ আউটের মতে যেহেতু স্যালের কাস্টোমারদের অধিকাংশই কৃষ্ণাঙ্গ, সেহেতু কমপক্ষে একজন আফ্রিকান-আমেরিকানের ওখানে স্থান পাওয়া উচিত। কিন্তু স্যাল রাজি হয় না। এ বিষয়ে সে নানা মানুষের সাথে কথা বলে জনমত সৃষ্টির চেষ্টায় রত থাকে সবসময়।
মুকির রেডিও রাহিম (বিল নান)নামে আরেক বন্ধুকে আমরা দেখি। যার কাজ সারাদিন বুমবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজানো এবং পুরো এলাকায় ঘুরে বেড়ানো। টিনা, লাভড্যাডি আর তিন অলস ব্যক্তির কথা তো আগেই বলা হয়েছে। এছাড়া এই এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের মধ্যে আছেন মদ্যপ ভদ্রলোক ডা মেয়র (অসি ডেভিস)।উনি সবসময় এলাকার কড়া কিন্তু ভালো মানুষ মাদার সিস্টার (রুবি ডি)এর মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান৷ তাঁর সাথে একটু কথা বলার মাঝেই যেন ডা মেয়রের সকল সুখ নিহিত। এলাকায় মুদি দোকানের মালিক এশিয়ান এক দম্পতিকেও দেখতে পাই আমরা।
‘ডু দ্যা রাইট থিং’ মূলত বেডফোর্ড-স্টুইভেস্যান্ট এলাকার এইসব ক্যারেক্টারদের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে তুলে আনে নিপুণভাবে। স্পাইক লি শ্যুটিংও করেছেন সেখানেই, আলাদা করে সেট বানান নি। ক্যারেক্টারদের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে তুলে আনতে তিনি ব্যবহার করেছেন অফ্ট-ম্যালাইনড স্ক্যাটারশটস্টোরি টেলিং। এর ফলে পুরো এলাকাটা যেন জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে পর্দায়৷ সাথে সাথে ফুটে উঠেছে এখানকার মানুষের মধ্যে বিদ্যমান ডিসঅর্ডার এবং কনফিউশান। একারণেই মনে হয় মুভির ক্যারেক্টারদের রাগের অনুভূতি দর্শকরাও অনুভব করতে পারেন। অনবদ্য ফিল্মমেকিং দর্শকদের টেনে নিয়ে যায় গল্পের একদম ভেতরে। চমৎকার ক্যামেরার কাজ, স্পাইক লির বাবা বিল লির জ্যাজ স্কোর আর রুথ কার্টারের বর্ণিল কস্টিউম ডিজাইন এই সিনেমা দেখার অনুভূতিকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।
লি চরিত্রগুলোকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যাতে দর্শকরা বুঝতে পারে যে এখানকার চরিত্ররা সমভাবে ভালোবাসতে বা ঘৃণা করতে পারে। তাদের এই বৈশিষ্ট্যের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে শেষ দৃশ্যে ব্যবহৃত মন্তাজটি। এখানে আমরা দেখি এখানকার ক্যারেক্টারগুলো সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে একে অপরকে নানা রকমের গালি দিচ্ছে এবং বর্ণবাদী কথা বার্তা বলছে।
অনেকেই মুকির শেষের দিকের আচরণ তার স্বাভাবিক আচরণের সাথে মেলাতে পারেন না। সে তখন যে ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো, সে অবস্থার মধ্য দিয়ে গেলে যে কেউই এমন হিতাহিত জ্ঞান হারাতে পারেন। তবে এজন্য তাকে ভুগতেও হবে, কারণ তার সামনেও এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।
মুভির টাইটেল দ্বারা লি আসলে কি বুঝিয়েছেন তা নিয়ে কম জল্পনা-কল্পনা হয় নি। আসলে ঠিক কাজ কোনটি? আর কে-ই বা করেছে ঠিক কাজ?
বরং আমরা তো বেশকিছু চরিত্রকে দেখলাম যারা ঠিক কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছে!
বাগিন’ আউট আর রেডিও রাহিমের তেড়েমেরে স্যালের দোকানে যাওয়াটা ঠিক কাজ ছিলো না, স্যাল যে বেসবল ব্যাট দিয়ে রাহিমের বুম বক্স ভাঙ্গেন সেটাও ঠিক কাজ না। পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রদর্শনের কারণে একটি প্রাণ গেলো সেটিও ঠিক কাজ না, আবার মুকির হিতাহিত বোধ শূন্য হয়ে অপরাধ করাটাও ঠিক কাজ না।
মুকির চাকুরী হারানো বা স্যালের পুরো জীবনের কাজের এক নিমেষে বিলীন হয়ে যাওয়া এগুলো দুঃখজনক ব্যাপার কিন্তু ‘ডু দ্যা রাইট থিং’ এর মূল ট্র্যাজেডি নয়৷ এগুলো হলো বরং ট্র্যাজেডির সাইড ইফেক্ট। মাত্র দুইজন লোককেই আমরা সিনেমার শুরুর চেয়ে শেষে ভালো অবস্থায় দেখি। এদের মধ্যে একজন হলো পিনো, সে এই ‘জানোয়ার’দের মাঝে আর থাকতে চাইতো না। তাই ট্র্যাজিকভাবে হলেও তার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে। কারণ স্যাল যতই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করুক না কেন, সে আর এখানে ব্যবসা করবে না। আরেকজন হচ্ছেন ডা মেয়র। মুভির একদম শেষে এসে তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা বাচ্চার জীবন বাঁচান। এত অশান্তির মধ্যেও এটি তাকে শান্তি দেবে।
এই সিনেমায় লির সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো বয়স, জাতি, লিঙ্গের ভেদ না করে তিনি সবগুলো ক্যারেক্টারকে পরিপূর্ণভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। সকলেই সমানভাবে ভালোবাসতে বা ঘৃণা করতে সক্ষম এটি প্রমাণ করতে পেরেছেন৷ কাউকেই গ্লোরিফাই বা ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করা হয় নি। ফলে এটি টিপিক্যাল ‘আমরা বনাম তারা’ টাইপের মুভি হয়ে যায় নি। আর তিনি বিশেষজ্ঞের মত কি করা উচিত এই টাইপের উপদেশ দেয়ার বদলে বরং তুলে ধরেছেন আসল পরিস্থিতি। প্রথমদিকে তিনজন অলস ব্যক্তি যে গলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন সেটি আসলেই ঘটেছে। মেকি ঐক্যের মুখোশ গলে বেরিয়ে এসেছে ঘৃণার কঙ্কাল।
১৯৯৯ সালে ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রিতেসংরক্ষিত হয় এই মুভিটি। জাতিগত সমস্যার স্বরুপ বোঝাতে স্পাইক লি নির্মাণ করেন ডু দ্যা রাইট থিং, অবস্থার উন্নতির আশাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি জর্জ ফ্লয়েডএবং ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারআন্দোলনের ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি তিন দশকেও অবস্থার তেমন উন্নতি হয় নি, বরং এই মুভি এখন আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। ডু দ্যা রাইট থিং এখনো পাওয়ারের বিরুদ্ধে ফাইট করে চলেছে….
This is a Bangla article. It is a review of the movie Do The Right Thing (1989).
All the necessary links are hyperlinked.
Featured images are collected from Google.