দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হলো বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে আলােচিত ও দুঃখজনক ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের স্থায়িত্ব ছিল ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ সংগঠিত হয় বিশ্ব যখন সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিক শােষণ থেকে মুক্ত হয়ে নতুনভাবে শান্তির স্লোগান নিয়ে উনবিংশ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দীতে পদার্পণ করেছিল তখনই শান্তির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল নতুন সাম্রাজ্যবাদীদের উগ্র মানসিকতা আর যুদ্ধংদেহী মনােভাব। জার্মানিসহ অন্য উগ্র- জাতীয়তাবাদী দেশগুলাের মধ্যে স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বযুদ্ধ নামে একটা নতুন মহাসমর বিশ্ববাসীকে নাড়া দিয়েছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছিল। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষগুলাে বুঝতে পেরেছিল একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন করতে না পারলে শান্তি আসবে না। সেই সংস্থাও গঠিত হয়েছিল। কিন্তু লীগ অফ নেশনস বিশ্ববাসীর সেই আশা পূরণ করতে পারেনি। ১৯১৯ সালে ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরাজিত শক্তিগুলােকে যেভাবে দমন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা পরবর্তীকালে সকল রাষ্ট্রকে আগের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর করে তুলেছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জয়ী ব্রিটেন, ফ্রান্স, পরাজিত জার্মানি, তুরস্ক যেন আর কোনাে দিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্য তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল অনেক অন্যায়মূলক শর্ত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে অস্ত্র প্রতিযােগিতা লক্ষ করা গিয়েছিল। এর ফলে, সারাবিশ্বে এক ধরনের নৈরাজ্যবাদ লক্ষ করা যায়। অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে তৎকালীন শক্তিশালী দেশগুলাে সারা বিশ্বকে তাদের বাজারে পরিণত করে রেখেছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে সারাবিশ্বে আক্রমণাত্মক সাম্রাজ্যবাদীনীতি লক্ষ করা যায়। ১৯৩১ সালে জাপানের মাঞ্চুরিয়া দখল, ১৯৩৭ সালে ইতালির ইথিওপিয়া দখল, স্পেনের গৃহযুদ্ধ ইত্যাদি আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে ওই সময় জটিল করে তুলেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত জার্মান জাতি তাদের পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি। ইতালিতে মুসােলিনি কর্তৃক ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সেখানে একটি যুদ্ধের মতাে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ
এক কথায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণসমূহ নিম্নে আলােচনা করা হলাে :
১. ভার্সাই চুক্তি: ভার্সাই চুক্তির ফলে জার্মানি তার যাবতীয় উপনিবেশ হাতছাড়া করল। শুধু তাই নয়, উপনিবেশে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করা হয়েছিল, তাও বিফলে গেল। আর জার্মানি হারিয়েছিল কৃষিযােগ্য জমির শতকরা সাড়ে পনের ভাগ, উৎপাদন শিল্পের শতকরা দশ ভাগ, মজুত কয়লার দুই-পঞ্চমাংশ, খনিজ লােহার দুই-তৃতীয়াংশ। এছাড়া জার্মানির নৌ-বাহিনী, স্থলবাহিনী ও বিমানবাহিনীর উল্লেখযােগ্য অংশ হ্রাস করা হয়েছিল। এককথায় সব দিক থেকে জার্মানিকে দুর্বল করাই ছিল ভার্সাই চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য।
সুতরাং এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল যে জার্মানি চুক্তির শর্ত মনেপ্রাণে স্বীকার করে নেবে না। কার্যক্ষেত্রেও তাই ঘটল। চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পরই জার্মানি তৈরি হতে থাকল পরবর্তী যুদ্ধের জন্য।
২. দীর্ঘ যুদ্ধবিরতি: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে শান্তি, নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলাে তখন দেখা গেল গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও শান্তি কোনােটাই নিরাপদ নয়। সেই জন্য দুই মহাযুদ্ধের মধ্যখানের সময়টাকে শান্তিপূর্ণ সময় না বলে দীর্ঘযুদ্ধবিরতি বলা হয়। গণতন্ত্র, শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সবাই আগ্রহী হয়ে পড়েছিল। আর এই আগ্রহ শেষ পর্যন্ত যুদ্ধকে অনিবার্য করে তুলেছিল।
গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স ভেবেছিল গণতন্ত্র ও শান্তি সংকটের মুখে, আবার জার্মানি ভেবেছিল বৃহৎ শক্তির মুখে তাদের নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই।
৩. অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ: ভার্সাই চুক্তি জার্মানিকে নিঃস্ব করেছিল। চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর জার্মানির একমাত্র লক্ষ্য ছিল যেকোনাে প্রকারে যুদ্ধপূর্ব অবস্থায় ফিরে যাওয়া। জাপান ও ইতালি মনে করেছিল যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সব রকম সুযােগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত, তাই অর্থনৈতিক পুনর্গঠনকে তারা অপরিহার্য বলে মনে করেছিল। সারা বিশ্বের উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে না পারলে অর্থনৈতিক পুনর্গঠন অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। এই মানসিকতার দ্বারা পরিচালিত হয়ে জার্মানি, জাপান ও ইতালি যুদ্ধের উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল।
৪. আন্তর্জাতিক নৈরাজ্য: আন্তর্জাতিক নৈরাজ্যকে অনেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন। লীগ অফ নেশনস যৌথ নিরাপত্তাব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় লীগের সদস্যবৃন্দ ও অন্যান্য রাষ্ট্র শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সনাতন পদ্ধতির আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল এবং এই পদ্ধতি হলাে জোট তৈরি করা।
জাপানের মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ অথবা ইতালির ইথিওপিয়া আক্রমণ কোনাে ক্ষেত্রেই লীগ যৌথ নিরাপত্তাকে কাজে লাগিয়ে আগ্রাসী শক্তিকে শাস্তি দিতে পারেনি। সেইজন্য লীগের কার্যকারিতা সম্বন্ধে সবার মনেই সন্দেহের উদ্রেক হয়েছিল। লীগের উপর এই সর্বব্যাপী অনাস্থা আন্তর্জাতিক নৈরাজ্যকে সুনিশ্চিত করে তুলেছিল। অনেকের মনে এই বিশ্বাস জন্মেছিল যে লীগের সফল হওয়া মানে যুদ্ধের সম্ভাবনা কমে যাওয়া, আর ব্যর্থতা মানে যুদ্ধ অনিবার্য।
৫. নিরস্ত্রীকরণে ব্যর্থতা: লীগ অফ নেশনস-এর প্রণেতাগণ মনে করেছিলেন শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে নিরস্ত্রীকরণ অবশ্যই প্রয়ােজন। কিন্তু এই সদিচ্ছাকে ফলপ্রসূ করতে হলে বৃহৎ শক্তিবর্গের যে পরিমাণ সহযােগিতা ও লীগ কর্তৃপক্ষের দৃঢ়তা প্রয়ােজন তার কোনােটাই ছিল না। বৃহৎ শক্তিবর্গ অস্ত্র উৎপাদনের অশুভ
প্রতিযােগিতায় নিজেদেরকে নিমজ্জিত করেছিল। অস্ত্র প্রতিযােগিতা বন্ধ না হওয়ায় তা যুদ্ধের জন্ম দিয়েছিল।
৬. উগ্র জাতীয়তাবাদ: হিটলারের ধারণা ছিল জার্মান জাতি পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র উৎকৃষ্ট ও শ্রেষ্ঠজাতি, অন্যরা নিকৃষ্ট। অতএব নিকৃষ্টের উপর শ্রেষ্ঠের কর্তৃত্ব থাকা খুবই স্বাভাবিক। জার্মান জাতি গােটা ইউরােপের উপর প্রাধান্য বিস্তার করবে এই স্বপ্নে হিটলার বিভাের ছিলেন। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করতে গিয়ে তিনি এক সর্বধ্বংসী যুদ্ধের ঝুঁকি নিয়েছিলেন।
৭. সর্বাত্মকবাদ: হিটলার ও মুসােলিনি উভয়েই গণতন্ত্রকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে সর্বাত্মকবাদ বা Totalitarianism-এর পথকে সর্বোৎকৃষ্ট পথ বলে মেনে নিয়েছিলেন। হিটলার ও
মুসােলিনী মনে করতেন গণতান্ত্রিক উপায়ে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, দেশের দ্রুত বিকাশ সাধনের জন্য সর্বাত্মকবাদ ছাড়া উপায় নেই। হিটলার ও মুসােলিনি জঙ্গী জাতীয়তাবাদের মােহে আচ্ছন্ন হয়ে গােটা ইউরােপের উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে উদ্যত হয়েছিলেন।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের প্রাক্কালে মানবসভ্যতা, বিশ্বশান্তি ও আন্তর্জাতিকবাদ ইত্যাদি একেবারে মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল। জার্মানি, জাপান ও ইতালির কাছে নিজেদের সংকীর্ণ জাতীয়তাবােধ ছাড়া অন্য কোনাে মূল্যবােধ যথাযথ মর্যাদা পায়নি।
৮. অন্যান্য কারণ: এ ছাড়া লােকার্নো চুক্তি, ওয়াশিংটন নৌ-সম্মেলনসহ কেলগ-ব্রিয়ান্ড চুক্তি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিণতি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর বিশ্বরাজনীতিতে একটি সদূরপ্রসারী ফলাফল আমরা প্রত্যক্ষ করি। এই ফলাফল নিয়ে আলােচনা করা হলাে:
১. ভয়াবহ পরিণতি: প্রায় ৮ কোটি মানুষের নির্মম মৃত্যু আর সমগ্র ইউরোপ বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে। গৃহহীন হয়ে পথে নেমেছিল প্রায় ৬০ কোটি মানুষ। খাদ্যহীনতা, অপুষ্টি ও নানা রকম ব্যাধিতে ধুকে ধুকে মরেছিল আরো কয়েক মিলিয়ন মানুষ। ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার দ্বন্দে বলি হতে হয়েছিল সমগ্র পৃথিবীর কয়েকশো কোটি মানুষকে।
২. পরস্পর বিরােধী দুই মতাদর্শের বিকাশ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরােপ দুভাগে ভাগ হয়ে যায়, পশ্চিম ইউরােপ ও পূর্ব ইউরােপ। পশ্চিম ইউরােপে পুঁজিবাদ তথা সংসদীয় গণতন্ত্রের আরাে বিকাশ ঘটে, অন্যদিকে পূর্ব ইউরােপে সােভিয়েত ধাঁচের সমাজতন্ত্র বিকশিত হয়। এই দুই মতাদর্শকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে দুটি সামরিক জোট ন্যাটো ও ওয়ারশ।
৩. বৃহৎ শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আবির্ভাব: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ব্রিটেন ও ফ্রান্স ছিল বৃহৎ শক্তি। কিন্তু যুদ্ধের পরেই বিশ্বরাজনীতির চেহারা ও বৃহৎ শক্তির কাঠামাে দুইই ব্যাপকভাবে বদলে যায়। ব্রিটেন ও ফ্রান্স যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে তাদের পক্ষে সামলে ওঠা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে তার প্রভাব বিস্তার করে বৃহৎ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পশ্চাতে কারণ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ ও সামরিক খাতে ব্যয় করার মতাে প্রচুর অর্থ। এই কারণে আমেরিকা তার প্রভাব বিস্তার করে।
৪. সােভিয়েত ইউনিয়নের উত্থান: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পরে পরাশক্তি হিসেবে
সােভিয়েত ইউনিয়নের উত্থান হয়। সােভিয়েত ইউনিয়নের উত্থানের পেছনে মূল কারণ ছিল দেশটির বিপুল সামরিক শক্তি ও সম্পদের প্রাচুর্য।
৫. স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা: বিশ্বযুদ্ধের পরে গােটা বিশ্বে মেরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও সােভিয়েত ইউনিয়ন নিজ নিজ প্রভাব বলয় সৃষ্টি করে, দুই পরাশক্তি পারমাণবিক ও অন্যান্য বিধ্বংসী অস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তােলে। আক্রমণ করার বাসনা উভয়ের মনে দানা বাঁধে। কিন্তু বিধ্বংসী অস্ত্রের ভয়াবহতা সম্পর্কে দুই রাষ্ট্রই আতঙ্কবােধ করে। ফলে দেখা দেয় এক ধরনের যুদ্ধের, যা কিনা
ইতিহাসে স্নায়ুযুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।
এ ক্ষেত্রে এই দুই পরাশক্তির মাঝে কোনাে
যুদ্ধ হয়নি বটে। কিন্তু একাধিকবার যুদ্ধের মতাে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ে উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলােও প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে এই স্নায়ুযুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।
৬. জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা: ১৯৪১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে আগস্টা যুদ্ধ জাহাজে মিলিত হয়ে আটলান্টিক সনদপত্র স্বাক্ষর করেন। ওই সনদে একটি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের ইঙ্গিত দেয়া হয়। আটলান্টিক সনদে বলা হয় যে-
সনদে যােগদানকারী সকল দেশ সমান মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের অধিকারী হবে, সকল প্রকার বিবাদ শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিস্পত্তি করা হবে এবং প্রতি দেশের জনগণ তাদের ইচ্ছামতাে শাসনতন্ত্র তৈরি করার অধিকার পাবে।
১৯৪২ সালে ২৬টি দেশ আটলান্টিক সনদের প্রতি আস্থাজ্ঞাপন করে। এই ২৬ জাতির সম্মেলনে সর্বপ্রথম জাতিসংঘ বা United Nations কথাটি ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৩ সালে মস্কো সম্মেলনে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন একটি ঘােষণাপত্র প্রকাশ করে। এই ঘােষণাপত্রের চতুর্থ অনুচ্ছেদে বলা হয় যে,
আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্রগুলাের সার্বভৌমত্বের ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রয়ােজনীয়তা চার শক্তি স্বীকারকরছে।
১৯৪৫ সালে সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে জাতিসংঘের সনদ গৃহীত হয়। ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ সনদ চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়।
৭. ফ্যাসিবাদের ধ্বংস: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তি জয়ী হওয়ায় ফ্যাসিবাদ চিরতরে
বিলুপ্ত হয়।
হোয়াইট ডেথ: ইতিহাসের সর্বাধিক কিল রেকর্ড যে স্নাইপারের পড়তে ক্লিক করুণ এখানে।
This is a Bengali article. This article is about the causes of the Second World War and its horrific consequences.
All the references are hyperlinked inside the article.
Featured Image: www.history.com