লিখুন
ফলো

দ্যা ম্যান্ডালোরিয়ান সিজন ২: কেমন ছিল বেবি ইয়োডাকে নিয়ে ডিন জারিনের নতুন অ্যাডভেঞ্চার?

গল্পের মূল নায়ক ম্যান্ডালোরিয়ান ডিন জারিন একজন বাউন্টি হান্টার। নতুন বাউন্টি নিয়ে সে যখন নাভারো প্ল্যানেটে ফিরে আসে সে একজন সাবেক এম্পায়ার অফিসারের কাছে নতুন কাজের খোঁজ পায়। যাকে এই অফিসারের হাতে তুলে দিতে হবে তার বয়স ৫০। ম্যান্ডো তার শিপ রেইজর ক্রেস্ট নিয়ে উড়ে যায় তার নতুন বাউন্টি শিকার করতে। কিন্তু সে অবাক হয় দেখতে পায় তার সেই ৫০ বছর বয়সী বাউন্টি আসলে একটা শিশু! আর এভাবেই ম্যান্ডোর সাথে প্রথম দেখা বেবি ইয়োডার।

ম্যান্ডালোরিয়ান
Image source: Disney/Lucasfilm

বেবি ইয়োডাকে প্রথমে দুষ্ট এম্পায়ারের হাতে তুলে দিলেও পরে তাকে উদ্ধার করে ম্যান্ডো। এগুলো প্রথম সিজনের গল্প। আর দ্বিতীয় সিজনে ম্যান্ডোর নতুন অভিযান সেই বেবি ইয়োডাকে সিরিজের এন্টাগনিস্ট মফ গিডিয়নের হাত থেকে দূরে রেখে পৌছে দেয়া কোন এক জেডাইয়ের কাছে। তারপর শুরু হল রেইজর ক্রেস্টে চেপে বেবি ইয়োডা আর ম্যান্ডোর নতুন এই অ্যাডভেঞ্চার।

নতুন এডভেঞ্চারে বেবি ইয়োডা এবং ম্যান্ডো, Image Source: Disney/Lucasfilm
১৯৭৭ সালে জর্জ লুকাসের হাতে গড়ে উঠা স্টার ওয়ারস ইউনিভার্সের নতুন সংকলন এই ম্যান্ডালোরিয়ান সিরিজ, যার প্রথম সিজন ২০১৯ সালে ডিজনি প্লাস স্ট্রিমিং সার্ভিসে প্রচারের পর তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

গতসিজনের মত এবারও সিরিজটির গল্প সাজিয়েছেন জন ফাভরো। তার সাথে ছিলেন অ্যানিমেটেড সিরিজ ক্লোন ওয়ার্স এবং রেবেলসের পরিচালক ডেইভ ফেলোনি এবং রিক ফামুইয়া। চিত্রনাট্য বেশ সাজানো এবং প্রতিটি চরিত্রের কথা মাথায় রেখেই লেখা হয়েছে। এটি বুঝতে পারা যায় যখন সিরিজে একের পর এক চমক আসতে থাকে এবং মনে হতে থাকে আমাদের তারাই হয়ত সিরিজটির মূল ফোকাস ম্যান্ডো-বেবি ইয়োডা এবং তাদের মিশন থেকে তাদের দিকে নিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু সিরিজটির বেশ পরিকল্পিত চিত্রনাট্যের কারণে সেটা হয়নি।

এই সিজনে ছিল মোট আটটি এপিসোড। প্রতিটি এপিসোডের গল্প একে অপরের থেকে প্রায় ভিন্ন যেখানে ম্যান্ডো নতুন বা পুরোনো কিছু চরিত্রের সাথে যোগ দিয়ে একটি আলাদা মিশন সম্পন্ন করে। তবে এই প্রতিটি মিশন আস্তে আস্তে ম্যান্ডোকে তার মূল উদ্দেশ্যের কাছে নিয়ে যায়। কারণ প্রথম সমস্যাটি ছিল, জেডাই অর্ডার এখন আর নেই। যার কারণে ম্যান্ডো এর আগে কখনোই কোন জেডাইয়ের সাথে পরিচিত হয়নি। তাই তাকে খুঁজে বের করতে হয়েছে সেই সকল মানুষকে যারা তাকে একজন জেদাইয়ের কাছে নিয়ে যেতে পারবে। তবে এখানে বলে রাখা ভাল প্রথম ছয় এপিসোডে ম্যান্ডো একজন জেডাই খুঁজলেও শেষ দুই এপিসোডে গল্পটি একেবারে অন্যদিকে মোড় নেয়। যা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এর ফলে সিরিজটি তার প্রবাহ না হারিয়ে দর্শকদের সিরিজের শেষ এপিসোডটির জন্য আকাঙ্ক্ষা আরো বাড়িয়ে তোলে।



ম্যান্ডালোরিয়ানের এই সিজনটি মূলত আগের মুক্তি পাওয়া স্টার ওয়ারস সিনেমা এবং অ্যানিমেটেড সিরিজের সাথে একটি যোগসূত্র স্থাপন করে। যেমন একেবারে প্রথম স্টার ওয়ারস সিনেমা, এপিসোড ফোর: আ নিউ হোপে, ওবি ওয়ান কানোবি লুক স্কাইওয়াকারকে বলেছিল টাসকিন রাইডাররা সবসময় এক সারিতে চলাফেরা করে যাতে করে তাদের পায়ের ছাপ দেখে তাদের আসল সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা না পাওয়া যায়। এই সিজনের প্রথম এপিসোডেই আমরা তাদেরকে সারিবদ্ধভাবেই চলাফেরা করতে দেখি। পাশাপাশি এপিসোড দুইয়ে জ্যাংগো ফেট তার বিখ্যাত শিপ স্লেইভ ওয়ান থেকে ওবি ওয়ানের শিপ লক্ষ্য করে সেসমিক চার্জ ছুড়ে মারে যেটাও এই সিজনের সপ্তম এপিসোডে করে বোবা ফেট।

Image Source: Disney/Lucasfilm

তাছাড়া ক্লোন ওয়ারস এবং রেবেলসে দেখানো ম্যান্ডালোরিয়ান এবং ব্ল্যাকসেবারের গল্পতো আছেই। সাথে যোগ করতে হবে বোবা ফেটের বলা, “তারা আমার চেহারা চিনে ফেলতে পারে”কথাটি।

স্টার ওয়ারসের একটি বিশেষ দিক হলো, জর্জ লুকাসের সেই বিখ্যাত উক্তি “It’s like poetry. They rhyme” অনুযায়ী এতে একটি বিষয়ের পুনরাবৃত্তি হতে দেখা যায়। ঠিক একই বিষয় ছিল এই সিজনেও। যেমন অনেকটাই রৌগ ওয়ান: আ স্টার ওয়ারস স্টোরিতে ডার্থ ভেডার একটি হলওয়েতে অনেকগুলো রেবেলসে একাই পরাজিত করেন। ঠিক তেমনি এই সিরিজের অন্যতম আকর্ষণ ডার্ক ট্রুপার যখন ম্যান্ডো এবং তার সহযোদ্ধাদের হত্যা করতে আসছিল, সেখানে লুক স্কাইওয়াকার এসে একাই সব ডার্ক ট্রুপারকে কচু কাটা করে। আবার এই সিরিজের সবচাইতে সুন্দর মুহুর্তটি হল, যখন বেবি ইয়োডাকে লুকের হাতে তুলে দেয়ার আগে ম্যান্ডো প্রথমবারের মত বেবি ইয়োডাকে নিজের চেহারা দেখায়। এটা পুরোপুরি রিটার্ন অব দ্য জেডাই সিনেমার সেই মুহুর্তটির মত যেখানে লুক স্কাইওয়াকার প্রথমবারের মত তার বাবার বিখ্যাত হেলমেটটি খুলে তার চেহারা দেখে। বেবি ইয়োডা আর ম্যান্ডোর সম্পর্কটাও বাবা-ছেলের চাইতে কম ছিল না। এখন সবার একটাই ভয়, এই দেখাই না শেষ দেখা হয়!

Image Source: Disney/Lucasfilm

একটি কথা অবশ্যই বলতে হয় যে এই সিজনে ছিল চমকের পর চমক। কারণ একেবারে সিক্যুয়েল ট্রিলজি থেকে ক্লোন ওয়ার্স-রেবেলসের কিছু জনপ্রিয় চরিত্রের আগমন ঘটে এই সিজনে। প্রথম এপিসোড আমরা চমকে উঠি যখন আমরা বোবা ফেটের কস্টিউমে মার্শালকে দেখতে পাই। তখন থেকেই সবার মনে সুপ্ত আশা ছিল আমরা আবারও মহাবিশ্বের ভয়ংকর বাউন্টি হান্টারের দেখা পাব এবং অবশেষে তার দেখা আমরা পেয়েছিও। এছাড়াও এই সিজন শুরুর আগেই শোনা যাচ্ছিল রোজারিও ডসনকে দেখা যাবে ক্লোন ওয়ার্সের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র আশোকা হিসেবে। সিরিজের পঞ্চম এপিসোডেই তার দেখা মিলে, শুধু তাই না, সেই এপিসোডের নামও ছিল‘দ্য জেডাই’। এছাড়াও আবির্ভুত হয় ক্লোন ওয়ার্সের আরেক চরিত্র বো-কাটান। তবে সবাইকে ছাপিয়ে শেষ সিজনে দেখা মিলে সবার প্রিয় লুক স্কাইওয়াকারের।

এতগুলো চরিত্রকে এই একটি সিজনে নিয়ে আসাটা কিছুটা গল্পের দূর্বল দিক হিসেবে দেখতে পারেন অনেকে। মনে হতে পারে শুধু দর্শকদের মন রক্ষার্থেই এমনটা করা।  অথবা বোবা ফেট এবং আশোকা দুজনেই দুটি আলাদা সিরিজ পাচ্ছে, তাই অনেকে ভাবতে পারেন তাদের শুধু পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য এই সিজনে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু বোবা ফেটের ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছিল একেবারে প্রথম সিজন থেকেই। বোবা ফেটের আগমনের পরেই আমরা জানতে পারি, বোবার বাবাও একজন ম্যান্ডালোরিয়ান ছিল, যে ম্যান্ডালোরের গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। আবার আশোকার মাধ্যমেই উন্মোচিত করা হয়েছে এই সিরিজের বেশ কিছু রহস্য। যেমন তার মাধ্যমেই আমরা জানতে যে বেবি ইয়োডার আসল নামগ্রোগু। সে এম্পায়ার গঠনের আগে ছিল করোসেন্টের জেডাই টেম্পলে এবং সেখানে সে জেডাই হবার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। ডার্থ ভেডারের হাত থেকে কেউ একজন তাকে রক্ষা করে। সুতরাং দেখতে পাচ্ছি গল্পে আশোকার বেশ বড় একটি ভূমিকা আছে।

সব ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল অবশ্যই সিজনের সমাপ্তি। যখন আশোকা বেবি ইয়োডাকে নিজের কাছে রাখতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন সবার ধারণা ছিল আরেকজন জেডাইয়ের দেখা আমরা পাব। এই তালিকায় নাম ছিল মেইস উইন্ডু, এজরা ব্রিজার, কাল ক্যাস্টিস এবং লুক স্কাইওয়াকার। অবশেষে শেষ এপিসোডে সবাইকে রক্ষা করতে বিখ্যাত সেই এক্স উইঙ্গে করে সবুজ লাইটসেবার নিয়ে হাজির হয় লুক স্কাইওয়াকার। স্টার ওয়ার্স ফ্যানদের জন্য এটি ছিল বিষাদময় বছরে সবচাইতে বড় একটি পাওয়া।

Image Source: Disney/Lucasfilm

দ্য ম্যান্ডালোরিয়ানের দ্বিতীয় সিজনের সবচাইতে বড় সফলতার কথা বললে, অবশ্যই বলতে হবে, এই সিজন অরজিনাল ট্রিলজি এবং ডিজনির সিক্যুয়েল ট্রিলজির মধ্যে কিছুটা সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছে। প্রথমত ডিজনির সিক্যুয়েল ট্রিলজি স্টার ওয়ারস ফ্যানদের মন জয় করতে পারেনি, এবং এই মুভিগুলোতে অনেক প্রশ্ন ছিল যার উত্তরও ছিল এতদিন সবার অজানা। যেমন স্নোক কে? সে কোথা থেকে এলো? এপিসোড ছয়ে এনাকিনের হাতে এম্পায়ার মারা গেলেও কিভাবে সে আবার ফিরে এলো? এসব প্রশ্নের উত্তরের কিছুটা আভাস দিয়েছে এই সিজনটি। মূলত গ্রোগুর রক্ত দিয়ে ঠিক কী করবে এম্পায়ার সেটা জানা সম্ভব হলেই এর উত্তর পাওয়া যাবে পুরোপুরিভাবে।

এটা কি স্নোকের ক্লোন? Image Source: Disney/Lucasfilm

এই সিজনেও প্রায় পুরোটা সময় হেলমেট পড়ে দূর্দান্ত অভিনয় করেছেন পেদ্রো প্যাস্কেল। বোবা ফেট হিসেবে প্রথমবারের মত পর্দায় নিজেকে বেশ ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন টেমুয়েরা মরিসন। প্রথমবারের মত লাইভ একশনের পর্দায় আশোকাকে উপস্থাপন করার যে দায়িত্বটি পরেছিল রোজারিও ডসনের কাঁধে, সেটা তিনি ভালোভাবেই সম্পন্ন করতে পেরেছেন বলাই যায়। তার অভিনয় ছিল সাবলীল এবং আশোকা হিসেবে যথার্থ।

আরো পড়ুনঃ

জীবন বিক্রি তারপর ইচ্ছাপূরণের গল্প

সুলতান কাবুসঃ ব্রিটিশ আর্মি থেকে আরব বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী শাসক

ওয়ান্ডাভিশনঃ সিটকমের আড়ালে রহস্যঘেরা ব্যতিক্রমী এক সুপার হিরো সিরিজ

এই সিজনের আটটি এপিসোড পরিচালনা করেছেন সাতজন পরিচালক। এদের মধ্যে পাইটন রিড পরিচালিত দ্বিতীয় এপিসোডটি কাহিনীর দিক থেকে কিছুটা দূর্বল ছিল। বাদবাকি সব এপিসোডে এই দাবি তোলার কোন সুযোগ নেই। নির্মাণশৈলির দিক থেকে চমৎকার ছিল এপিসোডগুলো। ভিজুয়াল ইফেক্টসের দিক থেকেও দূর্দান্ত ছিল সিরিজটি। প্রথম সিজনের মত এবারও ব্লু বা গ্রিন স্ক্রিনের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। আবার অরজিনাল স্টার ওয়ার্সের মত এই সিজনেও ম্যান্ডোর শিপ ভিএফএক্সের সাহায্য না নিয়ে প্র্যাক্টিকেল ইফেক্টের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। তবে শেষ এপিসোডে লুক স্কাইওয়াকারের চেহারা নিয়ে দর্শকদের কিছুটা অসন্তুষ্ট থাকতে হয়। এই দৃশ্যে নতুন কোন অভিনেতাকে না নিয়ে প্রযুক্তির সাহায্যেই মার্ক হ্যামিলের তরুণ চেহারা তুলে ধরা হয়। প্রথমত এই প্রযুক্তি নতুন কিছুনা। রোগ ওয়ান মুভিটিতেও আমরা প্রিন্সেস লিয়া এবং জেনারেল টারকিনের চেহারা প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখানো হয়। তবে এটি বেশ সময়সাধ্য ব্যাপার এবং টিভি সিরিজের জন্য কিছুটা অপ্রত্যাশিত। তবে অনেক আশা আকাঙ্ক্ষার পর আবারো তরুণ লুক স্কাইওয়াকারকে পর্দায় দেখতে পাওয়াটা প্রত্যাশার চাইতেও বেশি কিছু ছিল।

এই সিজনের সিনেমাটোগ্রাফি বা চিত্রগ্রহণও ছিল অসাধারণ। বিশেষ করে ডেইভ ফেলোনি পরিচালিত পঞ্চম এপিসোডটির কথা বলতেই হবে। করভাস প্ল্যানেটের জঙ্গলে আশোকার দেখা পাওয়ার পর থেকেই অনেকটাই জাপানিজ সামুরাই মুভির মত করে নির্মাণ করা সেটে হেঁটে যাওয়া এসব দৃশ্য মনে করে দিবে যে মূলত সামুরাই থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই জর্জ লুকাস জেডাইদের সৃষ্টি করেছিলেন।

সামুরাই মুভির ছোয়া পাওয়া যায় এই দৃশ্যে, Image Source: Disney/Lucasfilm

সুরকার লুডউইগ গোরিসনের করা এই সিজনের জন্য সুরগুলো আগের স্টার ওয়ারস মুভিতে ব্যবহার করা জন উইলিয়ামস কিংবা মাইকেল জিয়াকিনোর সুরগুলো থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বলতেই হবে লুডউইগ তার সেরাটাই করে দেখিয়েছেন। বিশেষ করে শেষ এপিসোডে তার করা সূরগুলো মুহুর্তের প্রয়োজনে একেবারে খাপে খাপে মিলে গিয়েছিল।

এবার আসা যাক এই সিজনের দূর্বল দিকগুলো নিয়ে। প্রথমত সবচাইতে বেশি আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে সেই মুহুর্তটি যেখানে মফ গিডিয়নকে হারিয়ে দেয়ায় প্রথা অনুযায়ী সে ব্ল্যাকসেবারের অধিকারী হয় ম্যান্ডো। পরে সেটি সে বোকাটানকে দিতে চাইলে বো কাটান তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রথমত ব্ল্যাকসেবার নিয়ে কোন আগ্রহই ছিল না ম্যান্ডোর। অপরদিকে এই ব্ল্যাকসেবারের জন্যেই বো কাটান মফ গিডিয়নকে খুঁজছিল। বলা হচ্ছে এই ব্ল্যাকসেবারের অধিকারী হতে হলে কোন লড়াইয়ের মাধ্যমে যার কাছে আছে তাকে হারাতে হবে। কিন্তু রেবেলস এনিমেটেড সিরিজে আমরা দেখতে পাই সাবিন রেন সেই ব্ল্যাকসেবারটি যখন তাকে দিতে চায়, কোন প্রকার লড়াই বাদেই সেটি নিয়ে নেয় বো কাটান। এই কাহিনীর অসামঞ্জস্যের মিমাংসা এখনো করা হয়নি।

দ্বিতীয়ত, এই সিরিজের জনপ্রিয়তাকে পুজি করে ডিজনি এই সিজনের মাধ্যমেই আরো তিনটি ভিন্ন সিরিজ নিয়ে আসছে ডিজনি প্লাস স্ট্রিমিং সার্ভিসে। এটি খুবই পরিচিত একটি কৌশল যা মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু এই সিরিজের ক্ষেত্রে সেটা একটু বেশিই দৃষ্টিকটু এবং চরিত্রদের এই সিজনে থাকা না থাকাকে এটি প্রশ্নবিদ্ধ করে।



অবশ্যই এই সিজনের শেষে আমরা ধারণা পেলাম পরবর্তীতে কী হতে চলেছে। বোবা ফেট তার নিজস্ব সিরিজ পাচ্ছে দ্য বুক অব বোবা ফেট নামে, যেখানে তাকে ট্যাটুইনের জাবা প্যালেস দখল করে সেখানে নিজের অপরাধ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করবে। আশোকা এই সিজনে খুঁজছিল গ্র্যান্ড অ্যাডমিরাল থ্রনকে। সুতরাং বুঝতেই পারছি তার সিরিজে আমরা তাকে থ্রনের মোকাবেলা করতে দেখব। আর এদিকে ডিন জারিন এবং বো কাটানের মধ্যে তাদের ব্ল্যাকসেবার নিয়ে সমস্যার সমাধান এখনো হয়নি। পরের সিজনেই হয়তোবা আমরা সেটাই দেখতে পাব। সুতরাং এক্ষেত্রে আবার মফ গিডিয়নের দেখা পাওয়াটা অস্বাভাবিক না।

সুতরাং সব শেষে বলতে হবে যারা স্টার ওয়ারসকে ভালোবাসে তাদের জন্য বেশ উপভোগ্য ছিল দ্য ম্যান্ডালোরিয়ানের দ্বিতীয় সিজনটি। পাশাপাশি দূর্দান্ত সমাপ্তির কারণে এটি সবার মনে বেশ কিছুদিন দাগ কেটে রাখবে। এর জন্য জন ফাভরো অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বলতেই হবে, তার হাতেই পুনর্জন্ম হয়েছে স্টার ওয়ারসের।

This is a Bangla article. Here, everything is written about “The Mandalorian” series.

All links are hyperlinked.

Featured image taken from Google

Total
0
Shares
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Article

জীবন বিক্রি তারপর ইচ্ছাপুরণের গল্প

Next Article

ইন্টেল : বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান [পর্ব - ১]

Related Posts

স্ট্রিমিং সাবস্ক্রিপশন

ভোক্তাদের মাসিক স্ট্রিমিং সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস অফারের জন্য আরো অপশন আছে।    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে মর্নিং কনসাল্ট জরিপ করেছে, তাদের মধ্যে…

ওয়ান্ডাভিশন: সিটকমের আড়ালে রহস্যঘেরা ব্যতিক্রমী এক সুপারহিরো সিরিজ

(এই রিভিউতে ওয়ান্ডাভিশন সিরিজের বেশ কিছু মূল ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই সিরিজটি না দেখে থাকলে স্পয়লারের…

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন

Total
0
Share