লিখুন
ফলো

হঠাৎ মানুষ বিলুপ্ত হয়ে গেলে কী ঘটবে পৃথিবীতে?

রাস্তার পাশ দিয়ে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে আকাশচুম্বী অসংখ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন। রাস্তা জুড়ে ছড়ানো ছিটানো কাগজ ,পলিথিন এবং ময়লা আবর্জনা, গাড়ি কিংবা যানবাহনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে যত্রতত্র। চারদিকে রাজ্যের নিরবতা। বিলুপ্ত হওয়ায় নেই কোনো মানুষের গুঞ্জন কিংবা কোলাহল। তারই মাঝে ইঁদুর কিংবা বিদঘুটে কিছু প্রাণী ছুটোছুটি করছে। অথচ এই শহর একদিন ছিল ঝলমলে রঙিন আলোয় আলোকিত। মানুষের গুঞ্জন, কর্মচঞ্চলতা, গাড়ির হর্ন, ট্রাফিক পুলিশের বাঁশি সবকিছুই ছিল। কিন্তু আজ কিছুই নেই। কোনো মানুষই নেই, এ যেন মানবশুন্য এক নরক।
এমন দৃশ্যের সাথে আমরা বেশ পরিচিত। কল্পনায় সিনেমা, টিভি সিরিয়াল কিংবা পিকচার তৈরি হয়েছে শত শত। কোনো ভাইরাসের আক্রমণে কিংবা কোন বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে হঠাৎ করে যদি পৃথিবীর সব মানুষ মারা যায় বা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তাহলে পৃথিবীর চিত্রটা কেমন হবে, তা আমরা সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রে অসংখ্যবার দেখেছি।
বিলুপ্ত
মানবশূণ্য পৃথিবীর কাল্পনিক চিত্র; image: livescience.com

কিন্তু সত্যিই যদি কখনো হঠাৎ করে বিশ্বের সব মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীতে কী কী ঘটতে পারে? মানব সভ্যতা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হতে কীরকম সময় লাগতে পারে?

উৎসাহী বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময় এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গবেষকের সাহায্যে মনুষ্য পরবর্তী যুগের পৃথিবীর চিত্র আঁকার চেষ্টা করেছেন। সামান্য কিছু পার্থক্য থাকলেও তারা অধিকাংশই মোটামুটি একই ধরনের সম্ভাবনা এবং আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন। চলুন জেনে নিই কী ঘটতে পারে পৃথিবীর ভাগ্যে, যদি আমরা হঠাৎ করেই গায়েব হয়ে যাই।

গুয়াতেমালার রেইন ফরেস্টের গভীরে মায়া সভ্যতার অন্যতম বিখ্যাত ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। প্রায় ২,০০০ বছরের পুরানো তিকাল দুর্গটি ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছিল। বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাংবাদিক অ্যালান ওয়েজম্যান যখন আশেপাশের অঞ্চল জুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন, তখন তিনি পথিমধ্যে আকর্ষণীয় কিছু আবিষ্কার করেন। অ্যালান ওয়েজম্যান বলেন-

আপনি যখন ঘন রেইন ফরেস্টের মধ্য দিয়ে হাঁটছেন, অথবা আপনি পাহাড়ের উপর দিয়ে হাঁটছেন, যা এক সময় মানুষের বসতি ছিল। কর্মচঞ্চল এক শহর ছিল। কিন্তু তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কারণে আপনি বুঝতেও পারছেন না।

মানবশূণ্য পৃথিবীর কাল্পনিক চিত্র; image: livescience.com
হয়ত আজকের পৃথিবীও একদিন মানবশূন্য হয়ে পড়বে। জনবহুল শহরগুলো গহীন জঙ্গলে পরিণত হবে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মানবসভ্যতার শেষ চিহ্নটুকুও। রেইন ফরেস্টের এই দৃশ্যটি মানবশুণ্য আমাদের গ্রহটি দেখতে কেমন হবে তার এক ঝলক দেখিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন:
মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৃথিবীর অধিকাংশ অঞ্চল অন্ধকারে ছেয়ে যাবে। হ্যাঁ, তবে দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। বলছি রাতের কথা। অধিকাংশ শহর-নগর এবং বন্দরে আমরা যে ঝলমলে আলো দেখতে পায় তার মূল উৎস মনুষ্য তৈরি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর এসব বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল জ্বালানি খনিজ তেল কিংবা প্রাকৃতিক গ্যাস। মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে জ্বালানির অভাবে এই সমস্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রথমেই বন্ধ হয়ে যাবে।
মানবশূণ্য পৃথিবীর কাল্পনিক চিত্র; image: livescience.com

তবে, সৌর বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ অনেকদিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। এক সময় উইন্ডমিলের লুব্রিক্যান্টস শেষ হয়ে যাবে, সোলার প্যানেলের উপর ধুলাবালির আস্তরণ পড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে। শুধুমাত্র চলু থাকবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কয়েক বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। তবে একসময় অব্যবস্থাপনার কারণে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে কয়েক শতাব্দী পর প্রথমবারের মতো সমগ্র পৃথিবী গভীর অন্ধকারে ঢেকে যাবে।

সবচেয়ে বিধ্বংসী কাণ্ডগুলো ঘটবে অয়েল রিফাইনারি এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে। কেননা, নিয়ন্ত্রণ করার লোকের অভাবে সেগুলা অব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে এবং একসময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটবে। নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এর প্রতিক্রিয়া হবে চেরনোবিল এবং ফুকুশিমার সম্মিলিত বিপর্যয়ের চেয়েও মারাত্মক। বিশাল এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে যাবে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত পৃথিবীর বড় একটি অংশ জুড়ে এর প্রভাব বজায় থাকবে। আশেপাশের এলাকার প্রচুর প্রাণী দীর্ঘকাল পর্যন্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করবে। গাছপালা ও ভূপ্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

মানবশূণ্য পৃথিবীর কাল্পনিক চিত্র; image: livescience.com

ছোটখাটো অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। নিয়ন্ত্রণ করার কেউ না থাকায় সেগুলো মাসের পর মাস ধরে জ্বলতে পারে। লোকালয় কিংবা বনাঞ্চল থেকে বেশি দূরে অবস্থিত না হলে অগ্নিকান্ড ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। গ্রামের পর গ্রাম শহরের পর শহর জুড়ে আগুন জ্বলতে থাকবে। কাঠের অধিকাংশ ঘরবাড়ি ধীরে ধীরে ঘুণপোকা এবং ছারপোকার আক্রমণে ধ্বসে পড়তে থাকবে। মোটামুটি ৭৫ বছরের মধ্যে কাঠের বিম এবং কলামগুলো ভেঙে পড়তে শুরু করবে এবং ১০০ বছরের মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ কাঠের স্থাপনা ধ্বসে পড়বে। এছাড়াও প্রথম ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই শক্তি গ্রহণের মাত্রায় ব্যাপক হ্রাস হওয়ায় বিশ্বের নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেফ মোডে চলে যাবে।

দুই-তিন দিনের মধ্যেই বিশ্বের অধিকাংশ ভূগর্ভস্থ রেললাইন এবং টানেল পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে যাবে। নিয়মিত পানি নিষ্কাশনের জন্য অধিকাংশ ভূগর্ভস্থ রেললাইন এবং টানেলেই পাম্প ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এবং জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব না হওয়ায় ধীরে ধীরে ভূগর্ভস্থ পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে পড়বে।

দুই-তিন দিনের মধ্যেই বিশ্বের অধিকাংশ ভূগর্ভস্থ রেললাইন এবং টানেল পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে যাবে। নিয়মিত পানি নিষ্কাশনের জন্য অধিকাংশ ভূগর্ভস্থ রেললাইন এবং টানেলেই পাম্প ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এবং জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব না হওয়ায় ধীরে ধীরে ভূগর্ভস্থ পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে পড়বে।

মানবশূণ্য পৃথিবীর কাল্পনিক চিত্র; image: livescience.com
আদর যত্নে লালিত পালিত পৃথিবীর অধিকাংশ গৃহপালিত প্রাণী মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই অনাহারে মারা যাবে। ইলেক্ট্রিক গেটগুলো অকেজো হয়ে পড়ায় প্রথম কয়েক দিনের মধ্যেই বিশ্বের শত কোটি গরু, ছাগল, শূকর, মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী তাদের খামার থেকে বেরিয়ে পড়বে। যারা বের হতে পারবে না, তারা অনাহারে খামারের ভেতরেই মারা যাবে। আর যারা বের হতে পারবে, তারাও বাইরের পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত না হওয়ায় এবং খাবারের সংকট থাকায় ধীরে ধীরে মারা পড়বে। বেঁচে থাকবে কেবল আগে থেকেই বাইরে থাকা হিংস্র বন্য পশুরা। বিভিন্ন জাতের ইঁদুর এবং তেলাপোকা বেঁচে থাকলেও যেগুলো মানুষের ফেলে দেওয়া ময়লার উপর নির্ভরশীল ছিল, খাদ্যের অভাবে তাদের সংখ্যাও বিপুলভাবে হ্রাস পাবে।

২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ফুটপাথ এবং রাস্তাঘাটগুলোতে ফাটল ধরে সেখানে আগাছা এবং গাছপালা জন্মাতে থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ফুটপাত এবং খোলা চত্বরগুলোর তিন-চতুর্থাংশই ঘাস এবং আগাছায় আবৃত হয়ে যাবে। বিশ্বের অনেক রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাবে। শীত প্রধান দেশে শীতকালে পানি জমে বরফ হয়ে যাবে এবং গরমকালে আবার বরফ গলে পানিতে রূপান্তরিত হবে। এই তারতম্যের কারণে রাস্তাঘাটের ভাঙণ ত্বরান্বিত হবে। বৃষ্টির পানি ছাদের উপর জমে কনক্রিটের ভবনগুলোরও একই দশা সৃষ্টি করবে। মোটামুটি ২০০ বছরের মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ কনক্রিটের বিল্ডিং ভেঙে পড়তে শুরু করবে।

মানবশূণ্য পৃথিবীর কাল্পনিক চিত্র; image: livescience.com

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে স্টিল ব্রিজ কিংবা টাওয়ারগুলো মরিচা ধরতে শুরু করবে। মোটামুটি ৩০০ বছরের মধ্যে আইফেল টাওয়ার, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, হাওড়া ব্রিজ এবং গোল্ডেন ব্রিজসহ স্টিল নির্মিত বিশ্বের সমস্ত স্থাপনা ভেঙে পড়বে। বুর্জ খলিফাসহ আরব বিশ্বের অধিকাংশ ভবন বালির নিচে চাপা পড়তে থাকবে। অধিকাংশ শহর রক্ষা বাঁধগুলো কয়েকশো বছরের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে। ফলে তলিয়ে যাবে বিশ্বের অধিকাংশ বিখ্যাত শহরগুলো। প্রকৃতি ধীরে ধীরে মানব সভ্যতাকে গ্রাস করে নিতে থাকবে।

মানুষের কারণে যেসব বন্যপ্রাণী, পাখি এবং সামুদ্রিক মাছের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছিল, তাদের সংখ্যা পুনরায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। চিড়িয়াখানা থেকে বের হয়ে যাওয়া বন্য এবং বিরল প্রজাতির প্রাণীরাও নতুন করে বংশবৃদ্ধি করতে শুরু করবে। মানুষের অনুপস্থিতিতে দূষণ হ্রাস পাবে, বায়ুমন্ডল পরিষ্কার হয়ে উঠতে থাকবে। কয়েক হাজার বছর পরে মানুষের নির্মিত শহরগুলোর খুব কম চিহ্নই অবশিষ্ট থাকবে। শহরের রাস্তাগুলো নদীতে এবং শহরগুলো বনাঞ্চলে পরিণত হয়ে যাবে। প্রকৃতি ধ্বংস করে মানুষ যে কৃত্রিম আবাসস্থল তৈরি করেছিল, প্রকৃতি সেগুলো আবার অধিগ্রহণ করে নিবে।
মানবশূণ্য পৃথিবীর কাল্পনিক চিত্র; image: livescience.com
মানুষের নির্মিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে শেষপর্যন্ত টিকে থাকবে প্রাচীনকালে পাথর কেটে তৈরি করা বিশালাকৃতির স্থাপনাগুলোই। ১০ হাজার বছর পর কেবলমাত্র চীনের মহাপ্রাচীর, মিসরের পিরামিড এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট রাশমোর ন্যাশনাল মেমোরিয়াল ছাড়া বলতে গেলে মানুষের নির্মিত আর কোনো স্থাপনাই টিকে থাকবে না। মাউন্ট রাশমোরে পাহাড় কেটে প্রেসিডেন্টদের তৈরি মূর্তিগুলোই হয়তো সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হবে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে সেগুলো সাত মিলিয়ন বছর পর্যন্ত অক্ষত থাকতে পারবে। দশ থেকে পনেরো মিলিয়ন বছর পর যদি কোনো এলিয়েন পৃথিবীতে ভ্রমণ করে, তবে কেবলমাত্র কিছু প্লাস্টিকের অবশেষ ছাড়া মানুষের তৈরি কোনো কিছুই তারা খুঁজে পাবে না।
আরো পড়ুনঃ

This is a Bengali article. It’s About What would happen to Earth if humans suddenly disappeared?

All the references are hyperlinked within the article.
Featured Image: Daily Legend
Total
0
Shares
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Article

কাঞ্চনজঙ্ঘা: তুষারধবল শুভ্রতায় আচ্ছাদিত ওপারের স্বর্গ

Next Article

কখনো আসেনি (১৯৬১) : পরিচালনায় জহির রায়হান নামক জিনিয়াসের আবির্ভাব

Related Posts
আরও পড়ুন

বিদ্যুৎ কিভাবে আবিষ্কার হলো?

সূচিপত্র Hide জেনারেটর কী?জেনারেটরের গঠনজেনারেটর কীভাবে কাজ করে? ১৭৯১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। ইংল্যান্ডে নিউইংটন বাটস অঞ্চলে কামার পরিবারে…
আরও পড়ুন

সৌরজগতের সীমানা ও সূর্যের প্লাজমার আদ্যোপান্ত

সূর্য আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে প্রায় সাতাইশ হাজার আলােকবর্ষ দূরে অরায়ন নামক বাহুতে রয়েছে। সূর্য ২২৫-২৩০ মিলিয়ন বছরে…
আরও পড়ুন

মঙ্গল গ্রহে পানির খোঁজ

কিভাবে মঙ্গল গ্রহে থেকে কোটি কোটি বছর আগে পানি অপসারণ হয়েছে এটা একটা দীর্ঘদিনের রহস্য। বিজ্ঞানীরা এখন মনে…

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন

Total
0
Share