ভদ্রেশ কুমার প্যাটেল
এফবিআই এর ‘টপ টেন মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় স্থান পেয়েছে ২৬ বছর বয়সী এক ভারতীয় তরুণের নাম। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে বা তার সন্ধান দিতে পারলে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে এফবিআই।
২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল একটি রেস্তোরাঁর রান্না ঘরে নিজ স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। ওই একই রেস্তোরাঁয় তারা দুইজন চাকরি করতেন। এফবিআই জানায়, একটি বড় ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করে ওই নারীকে খুন করেছেন ভদ্রেশ। এই ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। এতদিন পরে ২০২০ সালে ভদ্রেশকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নিয়ে এসেছে এফবিআই।
এফবিআই-এর বাল্টিমোর ফিল্ড অফিসের স্পেশাল এজেন্ট ইন চার্জ গর্ডন জনসন বলেছেন-
ভদ্রেশ কুমার পটেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা অত্যন্ত হিংসাত্মক। সেই কারণেই এফবিআই-এর সবচেয়ে গুরুতর ১০ জন অপরাধীর তালিকায় তাঁকে রাখা হয়েছে। জনগণের সাহায্য নিয়ে আমরা ভদ্রেশকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি। তাঁকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে না পারা পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।
আলেজান্দ্রো রোজ ক্যাসিল্লো
আর্নল্ডো জিমনেজ
জেসন ডেরেক ব্রাউন
ডেরেক ব্রাউন সাবলীলভাবে ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায় শিক্ষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। তিনি একজন ভালো মানের গল্ফার, স্নোবোর্ডার, স্কাইয়ার এবং বাইকার। ব্রাউন মানুষের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে প্রায়শই নাইটক্লাবগুলিতে যেত। সেখানে কিছুদিনের মধ্যেই সে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়। সে তার উচ্চমূল্যের যানবাহন, নৌকা এবং অন্যান্য খেলনা লোকজনকে দেখিয়ে আনন্দ উপভোগ করত। ব্রাউন ল্যাটার-ডে সেন্টস দ্য চার্চ অফ জেসুস ক্রাইস্টের সদস্য ছিলেন। ফ্রান্সে থাকা অবস্থায় প্যারিসের নিকটে তার মরমন মিশনারীর কার্যক্রম সমাপ্ত করেছিলেন।
ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা এবং উটাহের বেশ কয়েকবার ব্রাউনকে দেখা গেছে। ইতিপূর্বে তিনি ফ্রান্স এবং মেক্সিকো ভ্রমণ করেছেন।এফবিআইয়ের তথ্যমতে তার কাছে রয়েছে ৯ মিমি রিভলভার এবং একটি ৪৫ ক্যালিবার হ্যান্ডগান।
অ্যালেক্সিস ফ্লোরস
তার জন্ম তারিখেও রয়েছে গোজামিল। যেমন বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া রয়েছে ১৮ জুলাই, ১৯৭৫, ১৮ জুলাই, ১৯৮২, ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৮০, ১৭ জুলাই, ১৯৮২ ইত্যাদি। এই ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারলে ১ লক্ষ ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে এফবিআই।
পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় পাঁচ বছর বয়সী কিশোরীকে অপহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। মেয়েটি ২০০০ সালের জুলাইয়ের শেষদিকে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরে ২০০০ সালের আগস্টের গোড়ার দিকে পাশের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানায় এফবিআই।
জোস রোডলফো ভিলারেল-হার্নান্দেজ
ইউজেন পালমার নিউইয়র্কের স্টনি পয়েন্টে ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে তার পুত্রবধূকে গুলি করে হত্যা করে। রকল্যান্ড কাউন্টিতে পালমারের জন্য স্থানীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। দীর্ঘ আট বছরের একবারও তার দেখা পাওয়া যায়নি। বর্তামানে এই অপরাধীর বয়স ৮২ বছর।
রাফায়েল ক্যারো-কুইন্টো
রবার্ট উইলিয়াম ফিশার
২০০১ সালের এপ্রিলে রবার্ট উইলিয়াম ফিশার তার স্ত্রী এবং দুই ছোট বাচ্চাকে হত্যা করেন। এছাড়া একাধিক অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
This is a Bengali article. It is written about some of the top terrorists in the world. All information in this article is taken from the FBI’s official website.