মানুষের উপর নিরীহ হাঁসসমাজ রাগ করতেই পারে।
ক্রিকেটে কোন ব্যাটসম্যানের জন্য সবচাইতে লজ্জার বা কষ্টের ব্যাপার হলো শূন্য রানে আউট হওয়া। আর সে ঘটনাটির নামকরন করা হয়েছে হাঁসের নামেই! ডাক!
যদিও প্রথমদিকে ডাক কথাটির পূর্ণরুপ ছিল ডাক এগ। শুধুমাত্র শূন্য দেখতে অনেকটাই ডিমের মত হওয়াতে এই নামে ডাকা হত। আর হংস ডিম্বের এই নামকরন টেস্ট ক্রিকেটেরও জন্মের আগে। একসময় ডিম ফুটে বের হওয়া এ হাঁসকে আজো কোন ব্যাটসম্যান শিকার করতে চায়না। এদিকে আবার অনেক ক্রিকেটারই বিখ্যাত বনে গেছেন এ হাঁসের বদৌলতে, অনেকে রেকর্ডের পাতায় নামও লেখিয়েছেন। তেমনই কিছু বিখ্যাত শূন্যের গল্প আজ বলব আপনাদের।
১. ডন ব্র্যাডম্যান (অস্ট্রেলিয়া):
নিঃসন্দেহে এটি ক্রিকেট ইতিহাসের সবচাইতে বিখ্যাত ‘শূন্য’। ১৯৪৮ সালের অ্যাশেজের ৫ম ম্যাচটিকে নিজের জীবনের শেষ ম্যাচ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। তবে তার বিদায়কে মোটেই সুখকর হতে দিলেন না ব্রিটিশ স্পিনার এরিক হোলিস। নিজের শেষ ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই হোলিসের গুগলি ব্র্যাডম্যানের ব্যাট আর প্যাডের মাঝ দিয়ে লাগলো স্ট্যাম্পে! শেষ ইনিংসে শূন্য রানেই আউট সর্বকালের সেরা এই ব্যাটসম্যান!
তবে দুনিয়ার তাবৎ ক্রিকেটপ্রেমীর আফসোসটা এখানে না। শেষ ইনিংসে যদি মাত্র চারটা রান করতে পারতেন ব্র্যাডম্যান, তাহলেই তার টেস্ট গড় হতো ১০০!
আউট হয়ে ফেরার পথে ব্র্যাডম্যানেরও কি আক্ষেপ হয়েছিল? না মোটেই না। কারণ, তখনকার সময়ে এভাবে পরিসংখ্যান করা হত না। তাই ব্র্যাডম্যান জানতেনই না যে শেষ ইনিংসে মাত্র চার রান করলে তিনি এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারতেন। তাছাড়া এটাই তার শেষ ইনিংস তিনি এটাও নিশ্চিত ছিলেন না। কারণ সে ম্যাচ ইংল্যান্ড ইনিংসসহ হারায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নামতে পারেননি তিনি।
২. জিওফ অ্যালট (নিউজিল্যান্ড):
জিওফ অ্যালট যখন ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অকল্যান্ডের সেই টেস্ট ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ডের আরো ১০২ রানের প্রয়োজন ছিল ফলো অন এড়াতে। কিন্তু তিনি শন পোলকের বলে ক্যালিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলনে ফিরেন শুন্য রানে।
নাহ, এভাবে বললে এই শূন্য রানের মাহাত্ম্য বুঝতে পারবেন না! জিওফ অ্যালট এই শূন্য রানে আউট হবার জন্য সময় নিয়েছেন ১০১ মিনিট, খেলেছেন ৭৭ টি বল! টেস্ট ক্রিকেটে এত লম্বা সময় ব্যাটিং করে এর আগে কেউ শূন্য রানে আউট হয়নি। প্রতিটি ডট বলেই মাঠে ঊপস্থিত অল্প কিছু অতি উৎসাহী দর্শক করতালির মাধ্যমে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছিলেন অ্যালটকে। এরমাঝেই ক্রিস হ্যারিসের সাথে করেছেন ৩২ রানের একটি জুটি। তবে সব ছাড়িয়ে তার এই শূন্যতেই টেস্ট ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র করতে পেরেছিল নিউজিল্যান্ড।
৩. রমেশ কালুভিতরানা (শ্রীলঙ্কা):
১৯৯৬ সালের সিঙ্গার কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের দেয়া ২১৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সনাৎ জয়সুরিয়া মাত্র ১৭ বলেই সেসময়ের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন, যা টিকেছিল প্রায় ১৯ বছর। তার সাথেই ওপেনার হিসেবে নেমেছিলেন রমেশ কালুভিতরানা। কিন্তু কালু আউট হয়ে যান রানের খাতা খোলার আগেই। অথচ তিনি যখন সাজঘরে ফিরছিলেন তখন দলীয় স্কোর ছিল ৫.২ ওভারে ৭০! অর্থাৎ অপরপ্রান্তে জয়সুরিয়া এতটাই তান্ডব চালিয়েছিলেন, ১১ বলে কোন রান না করেও বিখ্যাত হয়ে গেলো কালুর ইনিংসটি।
আর একটি বোনাস তথ্য, একদিনের আন্তর্জাতিকে সবচাইতে বেশি ৩৪ বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন সনাথ জয়সুরিয়া।
৪. টমি ওয়ার্ড (দক্ষিণ আফ্রিকা):
কিং পেয়ার শব্দটি রাজকীয় শোনালেও ক্রিকেটে এটি কোন ব্যাটসম্যানের জন্য ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন। টেস্ট ক্রিকেটে দুটো ইনিংসেই প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হওয়াকে কিং পেয়ার বলে। কিং পেয়ার পাওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়, ২১ জন! তবে তাদের কেউই টমি ওয়ার্ডের মত দূর্ভাগা নন।
১৯১২ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হয় টমি ওয়ার্ডের। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান বোলার জিমি ম্যাথিউস যখন পরপর দুই বলে দুজন ব্যাটসম্যানকে ফেরান, তখন ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ওয়ার্ড। কিন্তু তাকেও প্রথম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে নিজের হ্যাট্রিক তুলে নেন ম্যাথিউস। অর্থাৎ অভিষেকের প্রথম বলেই আউট টমি ওয়ার্ড, একেবারে সোনালী হংস ডিম্ব!
সে স্মৃতি ভুলতে পরের ইনিংসে নয় নম্বরে ব্যাট হাতে নামেন ওয়ার্ড। কিন্তু ভাগ্য যে এবারও এক নিষ্ঠুর খেলা খেললো ওয়ার্ডের সাথে! এবারও প্রথম বলেই বোলারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হলেন তিনি। অর্থাৎ টমি ওয়ার্ডই ইতিহাসের প্রথম এবং একমাত্র ক্রিকেটার যিনি তার অভিষেকেই পরপর দুই ইনিংসের প্রথম বলেই কোন রান না করে আউট হয়েছেন।
কিন্তু ঘটনার সমাপ্তি এখানেও না। প্রথম ইনিংসের মত পরের ইনিংসেও তাকে ফেরান জিমি ম্যাথিউস। এবং প্রথম ইনিংসের মতই পরের ইনিংসেও প্রথম বলেই টমি ওয়ার্ডকে ফিরিয়ে এক টেস্টের দুই ইনিংসেই হ্যাট্রিক করার গৌরব অর্জন করেন জিমি। তার এ কীর্তির একশো বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ পুনরাবৃত্তি করতে পারেনি।
৫. মনিন্দর সিং (ভারত):
১৯৮৬-৮৭ সালের মাদ্রাজ টেস্টের শেষদিনে চরম টানটান উত্তেজনাময় মুহুর্ত। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩৪৮ সালের লক্ষ্যটা প্রায় স্পর্শ করেই ফেলেছে ভারত। একদম শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল চার রান। রবি শাস্ত্রী প্রথম তিন বলে একটি দুই এবং একটি সিংগেল নিয়ে সমতা এনে দেন। এখন শেষ তিন বলে মাত্র এক রান প্রয়োজন, আর স্ট্রাইকে দুই বল খেলে কোন রান না করা মনিন্দর সিং। কিন্তু সেই রান আর করা হলো না। ওভারের পঞ্চম বলেই গ্রেগ ম্যাথিউসের লেগ বিফোরের ফাঁদে পরে শূন্য রানেই আউট হয়ে যান মনিন্দর। অর্থাৎ স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় ত্রিশ হাজার সমর্থক সেদিন সাক্ষী হলেন টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় টাই ম্যাচের।
তবে মনিন্দর সিং নাকি এখনো বিশ্বাস করেন, সেদিনের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।
৬. ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড):
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারেও আছে কুখ্যাত কিছু শূন্য। যেমন আছে অধিনায়ক হিসেবে নিজের শেষ টেস্টের দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হবার দুঃসহ স্মৃতি। তবে সবচাইতে স্মরণীয় ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। পাকিস্তানের দেয়া ২৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোন রান করার আগেই ওয়াসিম আকরামের বলে কট বিহাইন্ড হলেন বোথাম। ফাইনালের মত গুরুত্বপুর্ণ ম্যাচে ডাক! নিজেকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বোথাম। এদিকে প্যাভিলনে ফেরার পথে ঘটে আরেক কান্ড।পাকিস্তানের আমির সোহেলনাকি তাকে বলেছিলেন, এরপর ব্যাট করতে কে আসবে? তোমার শ্বাশুড়ি?
৭. গ্রেগ চ্যাপেল (অস্ট্রেলিয়া):
১৯৮১-৮২ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১ রানের এক রাজকীয় ইনিংস খেলার পরেই এক দুঃস্বপ্নের জগতে প্রবেশ করেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান। প্রথমে টানা চারবার শূন্য (যার মধ্যে দুটি আবার গোল্ডেন ডাক) এরপর আরো তিনবার মিলিয়ে সেই মৌসুমে মোট সাতবার ডাকের দেখা পেলেন গ্রেগ চ্যাপেল। এতে করে সল্প সময়ের জন্য নতুন এক ডাকনাম পেয়ে যান তিনি। সে সময়ে তার বড় ভাই ইয়ান চ্যাপেলও দলে খেলতেন। তাই দুই চ্যাপেলকে আলাদা করতে অস্ট্রেলিয়ার বড় স্কোরবোর্ডে গ্রেগের নাম লেখা থাকত ‘CHAPPELL G’। কিন্তু এভাবে শূন্য রানে আউট হবার কারণে স্কোরবোর্ডে তার নাম লেখা হত ‘CHAPPELL O’।
সে মৌসুমেই বেনসন এন্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড সিরিজ কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচে যখন গ্রেগ চ্যাপেল ব্যাট করতে নামেন, তখনই মাঠে একটি হাঁসকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছিল। কোন এক দর্শক খেলা দেখতে আসার সময়েই সেটি নিয়ে আসেন আর গ্রেগ ব্যাট করতে নামার সময় সেটি মাঠে ছেড়ে দেন।
৮.অজিত আগারকার (ভারত):
টেস্ট ক্রিকেটে টানা সর্বোচ্চ পাঁচটি ডাকের রেকর্ড আছে তিনজন ক্রিকেটারের, অস্ট্রেলিয়ার বব হল্যান্ড, পাকিস্তানের মোহাম্মদ আসিফ এবং ভারতের অজিত আগারকার। এদের মধ্যে অজিত আগারকার আলাদা কারণ তার লর্ডসে একটি সেঞ্চুরি আছে, যেটা নেই শচীন টেন্ডুলকারেরও। এছাড়া এখনো ভারতের পক্ষে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড এই আগারকারেরই!
কিন্তু এ ফাস্ট বোলারের ক্যারিয়ারে দুঃস্বপ্ন বোধহয় ১৯৯৯-২০০০ অস্ট্রেলিয়া সফর, যেখানেই তিনি টানা পাঁচবার শূন্য রানে আউট হন, যার মধ্যে প্রথম চারটি আবার গোল্ডেন ডাক। সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে, ম্যাকগ্রার করা বলটি যখন সামলে নিলেন, স্টেডিয়ামজুড়ে দর্শকরা কড়তালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানায় তাকে। কিন্তু পরের বলেই কট বিহাইন্ড হয়ে দর্শকদের আরো আনন্দিত করে অলিম্পিক রিং পূর্ণ করেন আগারকার।
তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের শেষ এখানেও না। এরপর মুম্বাই টেস্টে পরপর দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা সাত বার শূন্য করার রেকর্ড করেন আগারকার। তারপর ২০০৩ সালের ব্রিসবেন টেস্টে যখন স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের বলে এক রান করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শূন্যের এই অভিশাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করেন, ব্যাট তুলে সেটা উদ্যাপন করেন আগারকার।
আরো পড়ুনঃ
দ্যা ম্যান্ডালোরিয়ান সিজন ২ঃ কেমন ছিল বেবি ইয়াডাকে নিয়ে ডিন জারিনের নতুন অ্যাডভেঞ্জার ?
জীবন বিক্রি তারপর ইচ্ছাপূরণের গল্প
ওয়ান্ডাভিশনঃ সিটকমের আড়ালে রহস্যঘেরা ব্যতিক্রমী এক সুপার হিরো সিরিজ
ক্রিকেট বহুল প্রচলিত ব্যতিক্রমি সব শব্দ আর তাদের অর্থ
৯. শেম গোচে (কেনিয়া):
বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরার সূযোগ পাওয়াটা খুব কঠিন। তাই সবার ইচ্ছাই থাকে সূযোগ পেলেই সেটা কাজে লাগানোর। কিন্তু কেনিয়ার স্পিনার শেম গোচে হাঁটলেন পুরো ভিন্ন পথে। বল হাতে পুরো টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে পেয়েছিলেন এক উইকেট। আর ব্যাট হাতে নিয়ে তিন ইনিংসে নামার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু বিধি বাম! একটি বলও তার বল স্পর্শ করল না। বিশ্বকাপের তিন ইনিংসেই প্রথম বলে আউট হয়েছেন, দুইবার বোল্ড আর একবার লেগ বিফোর।
১০. গ্যারি সোবার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ):
কিংবদন্তী এই ক্রিকেটারের টেস্টে ৫৭.৭৮ গড়ে মোট রান ৮০৩২। কিন্তু একদিনের ম্যাচে তার রান কত? একটু থমকে দাঁড়াতে হতে এবার। কারণ গ্যারি সোবার্স তার ক্যারিয়ারে একটি মাত্র ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন, এবং সেটাতেই ছয় বল খেলে ডাক! হ্যাঁ অবাক লাগলেও এটাই সত্য। তখন সীমিত ওভারের ক্রিকেট জন্ম নিয়েছে মাত্র দুই বছর আগে। তাই সেটায় এই ক্রিকেটার ব্যাট হাতে কেমন জাদু দেখাবেন তার অপেক্ষাতেই ছিল ভক্তরা। কিন্তু পরের বলেই কট বিহাইন্ড হয়ে দর্শকদের আরো আনন্দিত করে অলিম্পিক রিং পূর্ণ করেন আগারকার।
১১. আবারো গ্যারি সোবার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ):
১৯৬৬ সালের টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডকেই নাস্তানাবুদ বানিয়ে ছেড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ টেস্টের আগের চারম্যাচে তিনটিতেই জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বাকি ম্যাচটি ড্র। তাই ৫ম টেস্ট ম্যাচের আগে দলকে নতুনভাবে সাজিয়ে নেয় ইংল্যান্ড, নতুন অধিনায়ক করা হয় ব্রায়ান ক্লোজকে। এদিকে তার প্রতিপক্ষ অধিনায়ক গ্যারি সোবার্স সিরিজের প্রথম চারম্যাচে দাপট দেখিয়ে করেছেন ৬৪১ রান আর নিয়েছেন ১৭ উইকেট। শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ৮১ রান করেছিলেন, কিন্তু এরপরেই ইংল্যান্ডের হাতে চলে যায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে যখন নেমেছিলেন, ইনিংস পরাজয় এড়াতে ১২২ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এবার আর ব্যাট হাসলো না তার। প্রথম বলেই জন স্নোর বাউন্সারে হুক করেছেন, কিন্তু বল সোজা ব্রায়ান ক্লোজের হাতে। সোবার্সের সেই ডাকে ম্যাচ রক্ষা সম্ভব হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবং তারা সেই ম্যাচ হারলো ইনিংসসহ ৩৪ রানে।
১১. কেইথ স্টেকপোল:
মারমুখী এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ১৯৭৪ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যখন ব্যাট হাতে নামছিলেন, তখন জানতেন এটাই হতে যাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচ। প্রথম যে বলটি তিনি মোকাবেলা করছিলেন, রিচার্ড হ্যাডলির করা সেই বলটিই ছিল ফুলটস। সে বলেই কিনা স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে আউট স্টেকপোল! তিনি তখন ভাবছিলেন তার আগে টেস্টে কেউ বল মাটি ছোয়ার আগেই আউট হয়েছে কিনা, নাকি তিনিই এই রেকর্ডের অধিকারী। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এবারও কোন রান করার আগেই আউট। যদিও এবার সাতটি বল খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের শেষ টেস্টের দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হওয়াটা বোধহয় শেষ শব্দটাকে আক্ষেপে পরিণত করল।
This is a Bangla Article. Here, everything is written about the Cricket.
All links are hyperlinked
Featured image taken from google