“তোর সমস্যা কি? তুই কি এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিস যেটার মুখোমুখি তোর বয়সে আমরা হইনি?”
বড় হওয়ার সময় এই দুটি প্রশ্ন শোনেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর যাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে সে যদি মিসফিট হয় বা তার যদি মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়, তাহলে তো কথাই নেই! পুরো গুষ্টিসুদ্ধ লোক লেগে যাবে তাকে আচার-আচরণ শেখানোর কাজে৷ আমাদের গল্পের মূল চরিত্র শ্যামল চ্যাটার্জিবা শতুকেও এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় প্রতিনিয়ত। সবাই তার সমস্ত কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে এবং যখন-তখন লেগে পড়ে জ্ঞান দেওয়ার কাজে।
আ ডেথ ইন দ্যা গুঞ্জএকটি ভারতীয় সিনেমা। হিন্দি, ইংরেজি এবং বাংলা তিনটি ভাষার ব্যবহারই দেখা যাবে এখানে। মুভিটি প্রথমে মুক্তি পায় ২০১৬ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর কানাডার টরন্টোতে এবং ভারতে মুক্তি পায় ২০১৭ সালের ২রা জুন। এটির মাধ্যমে ডিরেকশনে অভিষেক হয়েছে কঙ্কনা সেন শর্মার, পাশাপাশি এটির কাহিনীও লিখেছেন তিনি। মুকুল শর্মার বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে রচিত একটি ছোটগল্প এটির কাহিনীর মূল ভিত্তি। সিনেম্যাটোগ্রাফি এবং সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন যথাক্রমে শীর্ষ রায় এবং সাগর দেশাই। এডিটিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন আরিফ শেখ এবং মানস মিত্তাল। মাত্র ৬ সপ্তাহের মাঝে শ্যুটিং সম্পন্ন হওয়া ১১০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই মুভিটি বক্স অফিসে আয় করে ১৩.৭ মিলিয়ন রুপি। জনরার দিক থেকে এটি ড্রামা, থ্রিলার বা মিস্ট্রি ক্যাটাগরিতে পড়ে।
কাস্টিংয়ে ভিক্রান্ত মাসে, কালকি কোয়েচলিন, রণবীর শোরে, তিলোত্তমা সোম, গুলশান দেভাইয়া, জিম শার্ব, তানুজাএবং ওম পুরীর মত অসাধারণ সব অভিনেতার সমাবেশ ঘটিয়েছেন কঙ্কনা।
আ ডেথ ইন দ্যা গুঞ্জ এর আইএমডিবি রেটিং ৭.৫, রটেন রটেন টমাটোজে এটি অবস্থান করছে ৯৩% ফ্রেশনেস নিয়ে। ৬৩তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসেবেস্ট ফিল্ম (ক্রিটিক্স), বেস্ট অ্যাক্টর (ক্রিটিক্স), বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর (ক্রিটিক্স) সহ মোট ৮টি ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয় এটি। মনোনীতদের মধ্যে ছিলেন ভিক্রান্ত মাসে এবং তিলোত্তমা সোম। কঙ্কনা সেন শর্মাবেস্ট ডেব্যু ডিরেক্টরএর পুরষ্কার বাগিয়ে নেন এই সিনেমার মাধ্যমে।
স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমএ দেখা যাবে মুভিটি।
সিনেমার একদম শুরুতে আমরা দেখি নান্দু(গুলশান দেভাইয়া), শুতু(ভিক্রান্ত মাসে) এবং ব্রায়ান(জিম শার্ব) নিজেদের গাড়ির ট্র্যাঙ্কে থাকা লাশের দিকে তাকিয়ে আছে। এই লাশ নিয়ে কি করবে সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে তারা এবং তারপর মর্গের সামনে থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। এরপর ফ্ল্যাশব্যাক করে ১ সপ্তাহ পেছনে ফিরে যাই আমরা। গাড়ির ট্র্যাঙ্কের এই দৃশ্যটি হয়তো আপনাকে কুয়েন্টিন টারেন্টিনোর রেজোরভয়্যার ডগজবা পাল্প ফিকশনের বিখ্যাত কার ট্র্যাঙ্ক দৃশ্যগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেবে। তবে ফ্ল্যাশব্যাকে গেলে আমরা দেখবো এই মুভির সাথে টারেন্টিনোর মুভিগুলোর বিশাল পার্থক্য রয়েছে বিশেষ করে সিনেমার টোনের ক্ষেত্রে।
ফ্ল্যাশব্যাকে আমরা দেখি ১৯৭৯ সালের ম্যাকক্ল্যাস্কিগঞ্জ।এটি উপনিবেশিক আমলের একটি শহর, তখন ছিলো বিহারের অন্তর্গত আর বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের আওতাভুক্ত। এখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য বাংলো, এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান। তাদের কাজে সাহায্যের জন্য আছে উপজাতি কাজের লোক। তবে এই শহরের আগের জৌলুশ আর নেই। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দারা এই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে কলকাতা বা আরো দূরের কোন শহরে। যারা আছেন এখনো তারা এখানকার নিরামিষ রুটিন মেনে অতিবাহিত করছেন নিজেদের জীবন।
এখানে এক সপ্তাহের ছুটি কাটাতে কলকাতা থেকে আসে নান্দু বকশি, তার স্ত্রী বনি(তিলোত্তমা সোম), তাদের সন্তান তানি(আরিয়া শর্মা), নান্দুর কাজিন শুতু এবং আচার-আচরণে ড্যাম কেয়ার মিমি(কালকি কোয়েচলিন)। নান্দুর বাবা ও পি বকশি(ওম পুরী) এবং মা অনুপমা(তানুজা) ম্যাকক্লাস্কিগঞ্জেই থাকেন।
এখানে নান্দুদের আসার পর গল্পের চরিত্ররা আস্তে আস্তে গুঞ্জের ধীরলয়ের জীবনযাত্রার সাথে মানিয়ে নেয় এবং আমরাও অমঙ্গলের লক্ষণগুলোকে ক্রমশ প্রতীয়মান হতে দেখি। নান্দুদের সাথে দেখা করতে আসে তাদের পুরনো বন্ধু বিক্রম চৌধুরী(রণবীর শৌরে) এবং ব্রায়ান ম্যাকেঞ্জি।অসাড়, নির্জীব পিকনিক, নতুন বিবাহিতাকে স্বাগতম জানানোর উদ্দেশ্যে দেওয়া ডিনার পার্টি, কাবাডি খেলাসহ সময় কাটানোর জন্য আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিছুই ঘটে না আবার সবকিছুই ঘটে যায়৷ আমরা আস্তে আস্তে গল্পের ভেতরে ঢুকতে থাকি আর আবিষ্কার করি এখানকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী মানুষগুলোর মনের মধ্যে চলমান নানা বিষয় সম্পর্কে। কেউ হয়তো যতটুকু ভালোবেসেছে বিনিময়ে ততটুকু পায়নি, কারো কারো মাঝে আছে সেক্সুয়াল টেনশন, কেউ অনুভব করছে সম্পর্কে জীবনসঙ্গীর দেওয়া অযাচিত চাপ। পুরুষদের ম্যাচো মনোবৃত্তি, নিজেকে আরেকজনের চেয়ে সেরা প্রমাণের প্রচেষ্টা, পেট্রিয়ার্কি এখানকার বেশিরভাগ পুরুষ চরিত্রের মাঝেই দৃশ্যমান। কখনো এসবের প্রকাশ সরাসরি, কখনোবা সূক্ষভাবে। এগুলো দেখতে দেখতে দর্শক একটু আনইজি ফিল করতে আরম্ভ করে। তবে গল্প এগিয়ে যায় তার নিজস্ব গতিতে আর আমাদের সামনে প্রতীয়মান হয় এখানকার চরিত্রদের আসল রুপ।
ডিরেক্টর কঙ্কনা সেন শর্মা তার এই ডেব্যু প্রজেক্টে দর্শকদের মনে ধাঁধা সৃষ্টির যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। তার এই স্লো বার্ন জটিল ক্যারেক্টার স্টাডিকে তিনি ট্রীট করেছেন থ্রিলারের মত। ওপেনিং সিন আর আর মুভি টাইটেলের যথার্থ সুযোগ তিনি নিয়েছেন। ছোট ছোট ঘটনাগুলোকে ঘিরে দর্শকের মনে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছেন সন্দেহ, দর্শককে ভাবাতে চেয়েছেন এই ছোট ঘটনাই পরে হয়তো ভয়াবহ কোন পরিণতি বয়ে আনবে। এই সমস্ত সন্দেহ সৃষ্টির জন্য তিনি দেখিয়েন মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া বাইক চালানোর দৃশ্য, টার্গেট প্র্যাকটিসের জন্য পুরাতন রাইফেলের ব্যবহার, সিজিআই এর মাধ্যমে তৈরী করা নেকড়ে, ছোট্ট মেয়ের হারিয়ে যাওয়া, কারো পুরনো কুয়ার গর্তে পড়ে যাওয়া, বন্ধ অন্ধকার কক্ষ ইত্যাদি। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি ক্যারেক্টেরাইজেশনের ক্ষেত্রে। চরিত্রগুলোকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন তিনি যাতে মনে হয়েছে এরা যেকোন সময় যেকোন কিছু করে ফেলতে পারে, এদের মোরালিটি মোড় নিতে পারে যেকোন দিকে। যার ফলে এই স্লো-পেইসড মুভিতে টোনের পরিবর্তন মনে নিরানন্দ ভাব নিয়ে আসলেও দর্শক উৎসুক হয়ে তাকিয়ে ছিলো পর্দার দিকে। কারণ ছোট ঘটনাও নিয়ে আসতে পারে ভয়াবহ পরিণতি!
সময়ের সাথে সাথে বিল্ড আপ হয়েছে এখানকার মূল চরিত্রসমূহের। নান্দু বা নন্দনের মা অনুপমা এবং তার স্ত্রী বনি চিরায়ত উপমহাদেশের গোবেচারা মহিলার মতই আচরণ করে। সেল্ফ-সেন্টার্ড এসব নারীরা নিজেদের ভাবনাতেই ব্যস্ত। কাছের মানুষজন অপরাধ করছে দেখলেও কিছু বলে না। অন্যের ব্যাপারে কানাঘুষা করার ক্ষেত্রেও তাদের জুড়ি মেলা ভার। যেমন মিলির ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময় একজন বলে ওঠ, ‘এই বিদেশীদের সবকিছুই একটু বেশি বেশি!’ অথচ এই অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের আশেপাশের মানুষ চাটনিবলে ডাকে। কারণ তাদের জীবনযাপনের ধরণে বিভিন্ন জাতির ছোঁয়া আছে। নিজেদের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিন্তু এদের স্বরুপ প্রকাশিত হবে আর তখনই বোঝা যাবে এরা আসলে কেমন।
নন্দনের বন্ধু বিক্রম হলো এক্সট্রোভার্ট এবং আলফা মেলের প্রতিনিধিত্বকারী। নিজের শক্তি এবং ক্ষমতা প্রকাশের কোন সুযোগ সে হাতছাড়া করে না পাশাপাশি হাত ছাড়া করে না শুতুকে নাজেহাল করার কোন সুযোগ। কাবাডি খেলার সময় ঠুনকো ঘটনা নিয়ে সে শুতুকে মেরে পর্যন্ত বসে। মূলত আমরা বখাটে বা বুলি বলে যাদেরকে চিনি, তাদের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো এই বিক্রম। আর এই চরিত্রের অভিনেতা রণবীর শোরে এখানে দেখিয়েছেন তার ক্যালিবার। প্রত্যেকটি সীনে অসাধারণ অভিনয় করেছেন তিনি।
অপরদিকে নন্দন আর তার বাবা ও পি বকশির মাঝেও পুরুষতান্ত্রিকতা পুরোপুরি উপস্থিত। তাদের মতে পুরুষ মানুষকে হতে হবে রাফ অ্যান্ড টাফ, শুতুর মত নরম হলে চলবে না। তারা শুতুর সাথে বিক্রম যে আচরণ করে তার প্রতিবাদ করে না বরং শুতুর মধ্যেই খামতি খোঁজে। এমনকি বিক্রমের মারের ফলে শুরুর চোখের নীচে কালশিটে পড়ে গেলেও তারা চুপ থাকে এবং শুতুকে শক্ত হতে বলে।
মিমি ম্যানিপুলেটরের অনবদ্য উদাহরণ। সে রেবেল মানসিকতার, কারো ধার ধারে না। প্রেমে ব্যর্থ হলেও আগের প্রেমিককে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চায় আবার। নিজের কাজের জন্য কাউকে ব্যবহার করতে পিছু হঠে না সে।
তানি ছোট্ট বাচ্চা, খেলাধুলায় তার সময় কেটে যায়।
ব্রায়ান চরিত্রের গুরুত্ব গল্পে তেমন একটা নেই। তাকে গল্পের দূর্বল দিক হিসেবে ধরে নেওয়া যায় কারণ সে কোনকিছু অফার করে না এখানে।
গল্পের মূল চরিত্র হলো ভিক্রান্ত মাসে অভিনীত শুতু বা শ্যামল চ্যাটার্জি। পুরো ঘটনাবলীকে আমরা তার দিক থেকেই দেখি। বালকত্ব কাটিয়ে পৌরুষেয় দিকে পা বাড়ানো শুতু সেক্সুয়্যালিটিসহ নানা চিন্তায় নাজেহাল। সে বুঝতে পারে সমাজ ও আশেপাশের মানুষ যে ধরণের পুরুষ চায় সে ধরণের পুরুষ সে হতে পারছে না। বাবা মারা যাওয়ার পর মা তাকে কলকাতায় বকশিদের কাছে পাঠায় পড়াশোনার জন্যে। কিন্তু পড়াশোনায় মনোযোগ নেই তার। মায়ের চিন্তায়ও অস্থির তার মন। আর এসব নিয়ে বকশিদের টানা লেকচার তো আছেই তাকে আরো দমিয়ে দেওয়ার জন্যে।
আরো পড়ুনঃ
কাগজ (২০২১): সিস্টেম বনাম মানুষের চিরচেনা গল্প
বকশি পরিবার এবং তাদের বন্ধুবান্ধবদের মাঝে থেকেও একলা অনুভব করে শুতু। সে পিঁপড়েদের যাতায়াত অবলোকন করে, মথ সংগ্রহ করে, নিজের ডায়েরিতে লিখে, মৃত বাবার সোয়েটার শুঁকে তাঁর গায়ের গন্ধ পেতে চায়, তানির সাথে খেলে, ভাবে। এসব দেখে তার সংবেদনশীলতাকে সবাই দুর্বল ভাবে এবং তাকে নানা শিক্ষা দিতে চায়।
কাবাডি, প্ল্যানচেট বা সময় কাটানোর যেকোন খেলাতেই প্রথমে সে অংশ নিতে চায় না। কিন্তু পরে অংশ নিলে সবাই তাকেই অন্যসব সময়ের মত হাসি-ঠাট্টার পাত্র বানায়। মিমির প্রতি আকর্ষণ অনুভব করলেও সে বলতে পারে না আর মিমিও তাকে ম্যানিপুলেট করে। তানির হারিয়ে যাওয়া তাকে কষ্ট দেয়। এক ইন্টিমেট দৃশ্যে আমরা সংবেদনশীল, সবকিছু অনুভব করা পেশীবহুল হৃদয়ের শুতুর শীর্ণ হাতগুলো কাঁপতে দেখি এ যেন তার অস্তিত্বেরই বহিঃপ্রকাশ। এসব দিক থেকে দর্শক শুতুর সাথেফ্রানজ কাফকারমেটামরফোসিসেরগ্রেগর সামসাবারবীন্দ্রনাথের ছুটিগল্পেরফটিকেরসাথে মিল পাবেন। আবার শুতুর মাধ্যমে ফ্রানজ কাফকা নিজেই চিত্রিত হয়েছেন বলেও মনে হতে পারে।
এই সিনেমার পুরো সাফল্য নির্ভর করেছে কুশীলবদের অভিনয় দক্ষতার উপর এবং এতে তারা উতরে গেছেন ফ্লাইং কালার্সের সাথে। শীর্ষ রায়ের ক্যামেরা তমসাচ্ছন্ন, রহস্যময় এবং বিষণ্ন মুড সৃষ্টি করতে সহায়তা করেছে। আর এই ভাবকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। বিশেষ করে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে লোকসংগীতের ব্যবহার একে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। কস্টিউম ডিজাইন ছিলো টপ নচ, চেয়ারের নড়াচড়ার মাধ্যমে যৌনতার প্রকাশের ব্যাপারটিও ছিলো ইউনিক। মোট কথা, হাজারো বলিউডি সিনেমার ভিড়ে এই ডেথ ইন দ্যা গুঞ্জ আপনাকে একটা আলাদা বা ভিন্ন ফিল দিবে। আর এখানেই ডিরেক্টরের কৃতিত্ব।
প্রেডিক্টেবল এন্ডিং, টোনাল চেঞ্জসহ আরো নানা লুপহোল নিয়ে কথা বলা যায়। তবে এধরণের কাফকায়েস্কে ক্যারেক্টর স্টাডি আমাদের এদিকে তেমন একটা হয় নি৷ তাই সময় হাতে থাকলে দেখতে বসে যেতে পারেন এই সিনেমাটি।
This is a Bangla article. This article is about Indian film A Death in the Gunj.
All the necessary links are hyperlinked.
Featured images are collected from Google.