লেখার শুরুতেই যেটা বলা যায় সেটা হলো এই টিভি সিরিজের সাথে আপনারা ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া একই নামের মুভিকে গুলিয়ে ফেলবেন না। এই সিরিজের নাম এসেছে পেনসিলভানিয়ার শহরব্যানশিহতে। এখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অ্যামিশ, নেটিভ আমেরিকান, নিও-নাজি এবং স্যাটানিস্টদের কমিউনিটি। এদের অনেকের আচরণ দেখে আপনার কাছে এমনিতে আমরা যেসব খারাপ লোকজনকে দেখে অভ্যস্ত তাদেরকেও ভালো মনে হবে। এখানকার সকলেরই ভেতরের এবং বাইরের রুপ ভিন্ন, এমনকি স্থানীয় সেনাবাহিনীও নীতিভ্রষ্ট। অপরাধ এবং সাইকোপ্যাথদের উৎপাত এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। শেরিফের অফিস যখন অপরাধ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তখনই শহরে নতুন এক শেরিফের আগমন ঘটে।
সিরিজটি অনেকাংশে এটির প্লটের উপর নির্ভরশীল এবং এই প্লট ক্লিশে ও উদ্ভট। প্লটের এই ব্যাপারগুলোকে নির্মাতারা আড়ালও করেননি। এখানে আমরা আন্ডারওয়ার্ল্ডের পটভূমিতে রচিত গ্রাফিক নভেলের মত সুপার-হার্ড-বয়েলড ফক্স নোয়ার বৈশিষ্ট্য দেখি এবং গতানুগতিকভাবে একের পর এক দৃশ্যের অবতারণা হয়; যা বেশিরভাগ সময় গল্পের নায়কের অনুকূলে ঘটে। এতে হিউমারের এতটাই অভাব যে হিউমারশূন্যতা দেখেও হাসির উদ্রেক হতে পারে। এই ব্যাপারে একটা দৃশ্যের কথা উল্লেখ করা যায়। সেই দৃশ্যে আমরা এক চরিত্রকে হাতে গুলিবিদ্ধ হতে দেখি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ফলে তার হাতে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, সে ক্ষতের ভেতর দিয়েই পুরো কক্ষের হালচাল দেখানো হয়। এই ধরণের ব্ল্যাক কমেডিক ব্যাপারগুলো পুরো সিরিজজুড়েই বিদ্যমান।
এই ক্লিশে ব্যাপারগুলোর সাথেও যে দর্শক নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারে; তার কৃতিত্ব এই সিরিজের লেখক এবং ক্রিয়েটরজোনাথান ট্রপারওডেভিড শিকলারের।তারা উভয়েই লেখালেখির সাথে যুক্ত, টিভির জগতে প্রবেশ করলেন ব্যানশির মাধ্যমে এবং সাথে করে এনেছেন ফ্রেশ চিন্তা-ভাবনা। এখানকার সবকিছুই নতুন তাদের কাছে। এতসব অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার-স্যাপারের মধ্যেও তারা ব্যানশির বসবাসকারীদের আকর্ষক বৈশিষ্ট্য এবং প্রয়োজন মাফিক ব্যাকস্টোরি দিয়েছেন যা দর্শকদের খামতি সত্ত্বেও গল্পে মজে যেতে সহায়তা করেছে। এছাড়া এই প্রজেক্টের তত্বাবধানে ছিলেনসিক্স ফিট আন্ডারএবংট্রু ব্লাডখ্যাতঅ্যালান বল।সচরাচর দেখা যায় না এমন কনসেপ্টকে গ্রেট টিভি শোতে পরিণত করার ব্যাপারে তিনি বেশ ভালোই দক্ষ।
পাশাপাশি এই প্রজেক্টে তাদেরকে সহায়তা করেছেন গ্রেগ ওয়াইটানেস,এই এমি অ্যাওয়ার্ডজয়ী পরিচালক যুক্ত ছিলেন ড্যামেজেস, হাউজ, লস্টএর মত সফল টিভি সিরিজের সাথে। তার অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হয়েছে ব্যানশি। ৪ সিজনে ব্যানশির মোট পর্ব সংখ্যা ৩৮। ১ম তিন সিজনে পর্ব রয়েছে ১০টি করে এবং শেষ সিজনে পর্ব সংখ্যা ৮টি৷ পর্বগুলোর এভারেজ রানটাইম ৪৫-৫৫ মিনিটের মত, তবে দৈর্ঘ্যে খানিকটা বড় পর্বও রয়েছে। সামগ্রিকভাবে এই সিরিজের আইএমডিবি রেটিং ৮.৪ এবং রটেন টমাটোজে ফ্রেশনেস ৯০%। এটির ১ম পর্ব প্রচারিত হয় ২০১৩ সালের ১১ই জানুয়ারি এবং শেষ পর্ব প্রচারিত হয় ২০১৬ সালের ২০শে মে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম, এইচবিও ম্যাক্স এবং হুলুতে ব্যানশির সকল সিজনই উপভোগ করা যাবে। এখন আমরা এই সিরিজটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো এবং এটি নিয়ে কেন অত বেশি মাতামাতি নেই সেটিও অনুধাবনের চেষ্টা করা হবে।
এটা সত্যি যে প্রথমদিকে দর্শক এই সিরিজ দেখবেন কিনা সেটা নিয়ে একটু দোটানায় পড়ে যাবেন। এটির গল্প বলার ধরণ কিছুটা অন্যরকম। গল্পে ঢুকতে দর্শকের একটু সময় লাগবে। তবে একই সাথে এটা ক্যাচি এবং আগ্রহ জাগিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট।
গল্পের প্রারম্ভে আমরা দেখি আমাদের নায়ক(অ্যান্টনি স্টার)১৫ বছরের কারাবাস শেষে মুক্তি পায়। তার কাছে কিছু নেই, তাকে অভ্যর্থনা জানাতেও কেউ আসে না। অবাক করা ব্যাপার হলো আমাদের নায়কের নাম কি সেটা আমরা পুরো সিরিজ শেষেও জানতে পারবো না। সে জেল থেকে বেরিয়ে বিয়ার খায়, বারটেন্ডারের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়, এরপর নিজের এক পুরাতন বন্ধুর সাথে দেখা করে এবং একদল লোক তাকে তাড়া করে। এই পর্যন্ত সবকিছুই এলোমেলো এবং ক্লিশে। দর্শকের কোন ধারণাই থাকে না তারা কি দেখছে এবং কেন দেখছে! সে পেনসিলভানিয়ার ছোট শহর ব্যানশিতে এসে পৌঁছায় নিজের প্রেমিকাকে খুঁজতে। কিন্তু এসে দেখে তার অনুপস্থিতিতে সে নামধাম পাল্টে অন্য একজনকে বিয়ে করে সংসার পেতে বসেছে।
এমতাবস্থায় ভগ্ন হৃদয়ে সে যায় লোকাল বারে, যার মালিক প্রাক্তন বক্সার সুগার বেইটস(ফ্র্যাঙ্কি ফ্যালসন)।তার ঐ বারে অবস্থান করার সময়ই সেখানে আসে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শেরিফ লুকাস হুড(গ্রিফ ফুর্স্ট)। সে স্টেক খেতে খেতে তাদের সাথে কথা বলে এবং এখনো তার সাথে নিয়োগকর্তাদের সাথে দেখা হয়নি বলে জানায়৷ ঠিক তখনই বারে দুই গুন্ডা আসে এবং তাদের সাথে গন্ডগোলের এক পর্যায়ে নতুন শেরিফ মারা যান৷ তখন ভবিষ্যতে কি করবে তা ঠিক করতে না পারা আমাদের নায়ক যোগাযোগ করে তার হ্যাকার বন্ধু জোব(বুন লি) এর সাথে। জোব ডাটাবেইজে নায়কের আইডেন্টিটি বদলে তাকে লুকাস হুড বানিয়ে দেয়। এভাবেই প্রাক্তন অপরাধী পরিণত হয় আইনের রক্ষাকর্তায়৷ বারের মৃতদেহগুলো লুকানোর কাজে তাকে সাহায্য করে সুগার, তাদের মধ্যেও গড়ে ওঠে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। নায়কের লুকাস হুডে পরিণত হওয়ার সময় থেকেই দর্শক গল্পে মজে যেতে শুরু করেন। তারপর একে একে আসে আল্ট্রা-ভায়োলেন্স, রক্তারক্তি, অপরাধ, গ্যাংস্টার, ড্রামা আর ইন্টিমেট সীনে ভরা ৪টি দারুণ সীজনের এক ক্রেজি রাইড।
গল্পের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মূল প্রভাবক আমাদের নায়ক লুকাস হুড। গল্পের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটাই হলো তার বিবর্তন; অপরাধী থেকে শেরিফ হওয়া এবং এর পরবর্তীতে তার সাথে কি হয়। বিভিন্ন পর্বে আমরা তার সম্পর্কে নিত্যনতুন তথ্যাবলী জানতে পারি ফ্ল্যাশব্যাক এবং তার ব্যাপারে অন্যান্য চরিত্রদের কথোপকথনের মাধ্যমে। এই চরিত্র রূপায়নের ক্ষেত্রে অ্যান্টনি স্টার নিজের সেরাটাই দিয়েছেন৷ কম কথা বলা, পিটিএসডিতে ভোগা, রাগের পর হাঁটার স্টাইল, কম পেপারওয়ার্ক আর বেশি মারামারির মাধ্যমে এই প্রাক্তন কয়েদি ব্যানশি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের কাজকর্ম এগিয়ে নিতে থাকেন৷ এসব ক্ষেত্রে তার সাথে আপনি কিংবদন্তি ক্লিন ইস্টউডঅভিনীত অনেকগুলো চরিত্রের সাথে মিল পাবেন৷ অন্যদিকে এই সিরিজে তার চলন-বলন এবং দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে ড্যানিয়েল ক্রেইগেরবন্ডের মিল রয়েছে। মোট কথা, লুকাস হুড নামক অ্যান্টি-হিরো চরিত্রটিকে পার্ফেক্টভাবে পোট্রে করে নিজের ক্যালিবারের প্রমাণ দিয়েছেন স্টার।
ব্যানশির অ্যামিশ সম্প্রদায়ের কথা আগেই বলা হয়েছে। এই সম্প্রদায় থেকে হিংস্রতার কারণে বিতাড়িত হনকাই প্রক্টর(আলরিখ থমসেন)।বর্তমানে তার একটি মাংসের ফ্যাক্টরি রয়েছে। তবে এটি একটি মানুষকে ধোঁকা দেয়ার একটা পন্থা। এই বৈধ ব্যবসায়ের বাইরে তার রয়েছে অসংখ্য বেআইনি কর্মকাণ্ড। ব্যানশিতে একমাত্র তারই কর্তৃত্ব চলে। ক্যাসিনো স্থাপনের জন্য অনুমতি পাইয়ে দেয়া থেকে কাউকে তার জমি থেকে উচ্ছেদ করা বা ড্রাগ ব্যবসা সবকিছুতেই তার হাত রয়েছে। তার স্বার্থের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে গেলে সে সরাসরি মাংসের কিমায় পরিণত করে তাকে। ভৃত্য এবং ছায়াসঙ্গী রহস্যময় বার্টন(ম্যাথিউ রউচ)এর সহায়তায় সে হয়ে উঠেছে কেশাগ্র স্পর্শ করা যায় না এমন ব্যক্তিতে।
শহরের মেয়র, প্রসিকিউটর গর্ডন(রাস ব্ল্যাকওয়েল) থেকে শুরু করে ডেপুটি ব্রক লোটাস(ম্যাট স্যাভিনো)সবাই প্রক্টরকে আইনের আওতায় আনতে চায়। কিন্তু পারে না কারণ বাকি সবাই প্রক্টরের হাতের গুঁটি। প্রেক্ষাপটে হুডের আগমন ঘটলে প্রক্টর আর তার মধ্যেও টক্কর লাগে, আর সেও প্রক্টরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায় নিজের খেয়ালখুশিমত নিয়মে, প্রচলিত আইনের তেমন তোয়াক্কা না করে। প্রক্টরের স্বাধীনচেতা ভাগ্নী রেবেকা বোম্যান(লিলি সিমন্স)এর কারণে তাদের সম্পর্ক আরো জটিল রুপ ধারণ করে। ব্রক লোটাস প্রথমে হুডের উপর নাখোশ থাকলেও পরে বুঝতে পারে সে আসলে নিয়ম না মানলেও ভালোই চায়।
প্রক্টরের সাথে হুডের ঝামেলা প্রথম থেকে একদম শেষ পর্যন্ত চলে। কখনো কখনো তারা একে অপরকে বিপদে সাহায্যও করে। এছাড়াও আমরা আরো কিছু ভিলেনকে দেখতে পাই। তাদের মধ্যে একজন হলো মি. র্যাবিট(বেন ক্রস)এবং অন্যজন হলো দানবীয় আকৃতির চেটন লিটলস্টোন(জেনো সেগের্স)। মি. র্যাবিট হলো ইউক্রেনিয়ান মাফিয়া যার আন্ডারে হুড আর তার প্রেমিকা অ্যানাকাজ করতো। তারা তাকে ডাবলক্রস করে পালিয়ে আসার প্ল্যান করে। তার ভয়েই অ্যানা নিজের নাম পাল্টিয়ে ক্যারি(ইভানা মিলিসেভিচ)রাখে এবং ব্যানশিতে বসবাস করতে শুরু করে। অন্যদিকে চেটন হলো একজন নেটিভ আমেরিকান। সে পুরো আমেরিকা থেকে শ্বেতাঙ্গদের হটিয়ে দিতে চায় পূর্বপুরুষদের সাথে করা প্রতারণার প্রতিশোধ হিসেবে। তার চিন্তাভাবনার কিছু অংশের সাথে হয়তো দর্শক একমত পোষণও করতে পারেন, তবে সে খুবই গোঁড়া এবং জঙ্গীদের মত তার চিন্তাভাবনা। এছাড়া লাস্ট সিজনে হুডদের মুখোমুখি হতে হয় স্যাটানিজমে বিশ্বাসী এক নৃশংস সিরিয়াল কিলারের। গল্পের প্রয়োজনে আরো বেশকিছু গুন্ডা, দুর্বৃত্তের আগমন ঘটেছে সিরিজে। দুই আপন নিও-নাজি ভাইকে নিয়ে একটা ইন্টারেস্টিং স্টোরি আর্কও বিদ্যমান এখানে।
ব্যানশিতে আইন-শৃঙ্খলার কোন বালাই না থাকা, হুডের হঠাৎ শেরিফ বনে যাওয়া, ভিলেনদের কর্মকান্ড ইত্যাদি দেখলে আপনার ওয়েস্টার্ন জনরার গল্প-সিনেমার কথা মনে পড়বে। সিরিজের কর্তৃপক্ষও এটিকে মডার্ন ওয়েস্টার্ন হিসেবেই ট্রীট করেছেন। এখানকার অভিনেতাদের অনেকে আমেরিকানও না, তবে সবার অ্যাক্টিংই ভালো। যার ফলে এটি উৎরে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরণের খামতিযুক্ত প্লটের প্রজেক্ট একটা জায়গায় গিয়ে আটকে যায়, বারবার কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। কিন্তু এই ব্যাপারটি এখানে নেই। একের পর এক ঘটনা এত তাড়াতাড়ি ঘটে আর ওয়েল কোরিওগ্রাফড ফাইট সিকোয়েন্স আসে যে দর্শক এসব দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময়ই পায় না। এক্ষেত্রে মূল কৃতিত্বের দাবিদার শো ক্রিয়েটরদের ফ্রেশ আইডিয়া এবং দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার মিশেল। চরিত্রসমূহ লেখার সময়ও তারা চমক রেখেছেন; তাদের মেন্টালিটি, উদ্দেশ্য, ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টে পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয়েছে। অসংখ্য চরিত্রের সবাই পুরোপুরি ভালো বা খারাপ না। খারাপ কেউ হয়তো প্রয়োজনের সময় ভালো কাজ করে ফেলবে। আবার ভালো কেউ ঐসময়ে খারাপ কাজও করে ফেলতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
ব্যানশিতে পুরুষরা সর্বেসর্বা। এখানে নারীরা গল্পের প্রয়োজনে বার বার প্রাণ হারায়। একথা সত্যি যে এখানে নারীদেরকে একটি নির্দিষ্টভাবে দেখানো হয়েছে, তবে এই শো কোনভাবেই সেক্সিস্ট না। স্বাধীন নারী চরিত্ররা এখানে উপস্থিত এবং তারা লড়াই করেই টিকে থাকে শেষপর্যন্ত; তাদের গুরুত্বও পুরুষ চরিত্র থেকে কম না।
ব্যানশি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হতে আমরা দেখি না। এর কারণ এটির নির্মাণকারী স্টুডিওর নাম সিনেম্যাক্স। তারা খুব বেশি ভালো শো তৈরী করেনি। মানুষ সহজে ব্যানশির ক্যারেক্টারগুলোর সাথে নিজেদেরকে মেলাতেও পারে না। তার উপর আশির দশকে আমেরিকায় একটা রীতি চালু হয়েছিলো প্লটের উপর গুরুত্ব না দিয়ে হানাহানি আর যৌনদৃশ্যের উপর গুরুত্ব দেওয়ার৷ আর এইক্ষেত্রে যে স্টুডিও সবচেয়ে বেশি সফল, সেটি হলো সিনেম্যাক্স। একারণে তারা দর্শকদের কাছ থেকেস্কিন-ইম্যাক্সডাক নামও পায়। মূলত তারা ঐ ধারা ছেড়ে নতুন করে কিছু করার প্ল্যান করে। আর তার ফলাফলই হলো ব্যানশি। এরকম হার্ড-বয়েলড অ্যাকশন ফ্লিকে এতটা গভীরতা খুব কমই দেখা গেছে।
তবে দিনশেষে ব্যানশি সবার জন্য না। এটা নির্দিষ্ট এক গ্রুপের দর্শকদের জন্য। যাদের কাছে অ্যাকশন, রক্তারক্তি, ব্রুটালিটি ভালো লাগে তাদেরই এটি ভালো লাগবে। আর ক্রিয়েটররাও এই দর্শকদের মনোযোগই কামনা করেন। দুই কিংবদন্তিতুল্য অভিনেতা স্যামুয়েল এল জ্যাকসনআর হেনরি উইঙ্কলারএই সিরিজের ব্যাপারে নিজেদের মুগ্ধতার কথা প্রকাশ করেছেন৷ এই সিরিজকে আপনি ট্র্যাশি পাল্প ক্যাটাগরিতে ফেলতে পারেন আর এটি টপ কোয়ালিটির ট্র্যাশি পাল্প।
যদি আপনার এইসব ব্যাপার-স্যাপার ভালো না লাগে, তাহলে এই সিরিজ আপনার জন্যে না। আর যৌনতা, নগ্নতা এখানে খুবই সাধারণ ব্যাপার। তাই ভুলেও এটি পরিবার বা বাচ্চাদের সাথে দেখতে যাবেন না।
This is a Bangla article. This article is a review of American action TV series Banshee.
All the necessary links are hyperlinked.
Featured images are collected from Google.