গতপর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম মোসাদের পরিচয় এবং তাদের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে। আজকে আমরা মোসাদের কিছু গুপ্তহত্যার দিকে নজর দেব। জানব কিভাবে মোসাদ মুসলিম বিশ্বের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিচ্ছে। তো চলুন শুরু করা যাক।
মাসুদ আলী মুহাম্মদী
মাসুদ আলী মুহাম্মদী ছিলেন ইরানের একজন বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী। ইরানের বিখ্যাত শরিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় তিনি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। ইরানের গোপন পারমাণবিক কর্মসূচির সাথে যুক্ত করে ফেলেছিলেন নিজেকে। আর ঠিক সেই কারণেই নজরে পড়েন মোসাদের। ইসরায়েল সবসময়ই ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে যেকোন উপায়ে বিরত রাখার চেষ্টা করে আসছে। যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গণ থেকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করেও ইরানকে দমানো যাচ্ছিল না, তখন গুপ্তহত্যা করে ওই পারমাণবিক কর্মসূচি স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল ইসরায়েল।
২০০৯ সালে পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য মক্কায় পাড়ি জমান এই বিজ্ঞানী। কিন্তু মক্কাতে পৌঁছেই তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারলেন, কেউ তাকে অনুসরণ করছে। তিনি ভেবেছিলেন স্বদেশের মাটি হয়তো তাকে নিরাপত্তা দিতে পারবে। তাই দ্রুত হজ পালন শেষে ইরানে ফেরত আসেন তিনি। কিন্তু তার ভাগ্য বোধহয় সুপ্রসন্ন ছিল না। ২০১০ সালের এক ঝলমলে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠার সময় একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পাশের এক মোটরবাইকের সাথে একটি বোমা বাঁধা ছিল। সেটি এতই শক্তিশালী ছিল যে আশেপাশের বাড়ির কাঁচ পর্যন্ত শক-ওয়েভে ভেঙে যায়। এই হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মুহাম্মদী। ওই ঘটনার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করে ইরান। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক সাদেক জিবাকালাম বললেন, এরকম সন্দেহের যথেষ্ট কারণ আছে,
আমার মনে হয় এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এসব গুপ্তহত্যার পেছনে আছে। গত এক বছরে এ ধরণের অন্তত এক ডজন গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসবের পেছনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত আছে কি নেই, তা নিয়ে নানা গুজব ছিল। কিন্তু এরকম ঘটনা যেভাবে পর্যায়ক্রমে ঘটছে তাতে এখন আর কোন সন্দেহ নেই যে ইসরায়েলিরাই এসবের পেছনে আছে।
২০০৯ সালে উইকিলিকসের ফাঁস করা এক মার্কিন তারবার্তা বিশ্লেষণ করে ইরান সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে। আটক মজিদ জামালি মোসাদের সাথে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ২০১১ সালে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
মোস্তফা আহমাদ রোশান
মোস্তফা আহমাদ রোশান ছিলেন ইরানের বিখ্যাত কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। এছাড়া তিনি ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণু কেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন। ২০১২ সালের ১১ই জানুয়ারি সকালে তেহেরানের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুদূর যেতে না যেতেই প্রচন্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই নিহত হন মাত্র ৩২ বছর বয়সে উদীয়মান এই গবেষক।
প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, মোটরসাইকেল থেকে দুজন লোক কিছু একটা গাড়িতে বসিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ পরে বের করে, গাড়িতে চুম্বক সংযুক্ত বোমা বসানো হয়েছিল। কয়েক মুহূর্ত পরেই বিস্ফোরণ ঘটে। শক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলেও এটা প্রায় নিশ্চিত, ইরানের বিপ্লব বিরোধী গোষ্ঠী মুজাহিদিন-ই খালকের সহায়তায় এই বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে মোসাদ। ধারণা করা হয়, সে সময় ইরানের পুলিশ এবং গোয়েন্দা দপ্তরের মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া বিভিন্ন বার্তায়ও আড়ি পেতেছিল মোসাদ এজেন্টরা।
ফাদি আল-বাতশ
২১শে এপ্রিল ২০১৮, ভোরের আলো তখনও ভালোভাবে ফোটেনি। কুয়ালালামপুরের রাস্তা ধরে বাড়ি থেকে মসজিদে নামাজের উদ্দেশ্যে হেটে যাচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি শিক্ষাবিদ এবং হামাস সদস্য ফাদি আল-বাতশ। ঠিক তখন হঠাৎ করে পিছন থেকে আসা দুটি মোটরসাইকেল থেকে তাকে লক্ষ্য করে ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাওয়ায় মিলিয়ে যায় বন্দুকধারী মোটরসাইকেল আরোহীরা। ওই হামলায় ফাদি আল-বাতশের শরীরে চারটি গুলি লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান মাজলান লাজিম বলেন-
তারা সিসিটিভি ফুটজ পরীক্ষা করে দেখেছেন, বন্দুকধারীরা আক্রমণ চালানোর আগে প্রায় ২০ মিনিট ধরে সেখানে অপেক্ষা করছিল।মালয়েশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, নিহত ব্যক্তির বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা এবং ফিলিস্তিনি-সমর্থক এনজিওর সাথে সম্পর্ক ছিল। তিনি আরো বলেন, আক্রমণকারীরা ছিল শ্বেতাঙ্গ এবং তাদেরও বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ ছিল।
নিহতের পরিবার এবং হামাসের পক্ষ থেকে ঐ ঘটনার জন্য মোসাদকে দায়ী করা হয়। তবে ইসরায়েল বরাবরের মতোই এবারও নিশ্চুপ ছিল। তাই স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে ফিলিস্তিনি তরুণ এবং উদীয়মান এই গবেষককে হত্যার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে ইসরায়েলের গোপন সংস্থা মোসাদ।
মোহাম্মদ জাওয়ারি
মোহাম্মদ জাওয়ারি ছিলেন ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের কমান্ডার। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে জাওয়ারি হামাসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং সংগঠনটির ড্রোন বিষয়ক গবেষণা প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন। ১৮ই ডিসেম্বর ২০১৬ সালে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরের উপকূলীয় শহর সফক্সে নিজের বাসস্থানের সামনে একাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জাওয়ারি।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর ইসরায়েল এবং মোসাদকে সতর্ক করে কঠোর হুঁশিয়ারি মাত্রা প্রদান করে হামাস। তারা বলেন-
হামাসের কমান্ডার মোহাম্মদ আল-জাওয়ারির হত্যাকাণ্ড মুসলিম বিশ্বকে আবারও স্মরণ করিয়ে দেয় যে, জায়নবাদী ইহুদী শত্রু এবং তাদের অনুচররা আশপাশেই মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাদের নোংরা খেলাও অব্যাহত রয়েছে। তবে মুসলিম নেতৃত্ব আজ নিরব।
জেরাল্ড বুল
জেরাল্ড বুল ছিলেন একজন পশ্চিমা সমরাস্ত্র বিজ্ঞানী। অনেকের কাছে তিনি এক খ্যাপাটে বিজ্ঞানী। তিনি দূরপাল্লার কামান নিয়ে গবেষণা করতেন। সাদ্দাম হোসাইনের সাথে পরিচয়ের পর পশ্চিমা আর্টিলারির আদলে তিনি ইরাককে কয়েকটি মডেলের কামান তৈরি করে দেন। শেষমেশ হাত দেন ব্যবিলন নামের দুই ধরনের সুপার গান তৈরির কাজে। সম্ভবত সাদ্দাম হোসাইন তাকে এই কাজে অর্থায়ন করছিলেন এবং ইসরায়েলের ধারণা ছিল বুল সফল হলে ইসরায়েলের ভূখণ্ড ব্যবিলনের আওতায় চলে আসবে।
১৯৯০ সালের ১০ই মার্চ কে বা কারা তার ঘরের দরজায় কড়া নাড়ে। দরজা খুলতে যান বুল। কিন্তু দরজা খুলতেই একঝাঁক তাজা বুলেট তার শরীরকে ঝাঁঝরা করে দেয়। এই ঘটনা নিয়েও মিথ্যাচার করতে থেমে থাকেনি ইসরায়েল। ইসরায়েল গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, সাদ্দামের সাথে মতের অমিল হওয়ায় তাকে ইরাকীরা হত্যা করেছে, যদিও পরে মোসাদের সংশ্লিষ্টতা চাপা থাকে না। ব্যবিলনের খুচরা যন্ত্রাংশ ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের কাস্টমসে জব্দ করা হয়।
দারিউশ রেজায়ি
মাত্র ৩৫ বছর বয়সী দারিউশ রেজায়ি ছিলেন ইরানের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু বিজ্ঞানী। ইরানের বুশেহর পরমাণু প্রকল্পের একজন ঊর্ধ্বতন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশলী ছিলেন তিনি। ২০১১ সালের জুলাইয়ে বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন দারিউশ রেজায়ি। কিন্তু রাস্তায় বের হওয়ার পরই তিনি অনুভব করলেন তাকে কেউ অনুসরণ করছে।
তিনি ভেবেছিলেন দ্রুত বাড়িতে ফিরতে পারলেই হয়তো নিরাপত্তা পাওয়া যাবে। কিন্তু তা আর হলো না। দক্ষিণ তেহরানের অভিজাত এলাকা বনি হাশেম স্ট্রিটে বাড়ির কাছাকাছি আসতেই গুলি করা হয় তাকে। পশ্চিমাদের বিশ্বাস, বুশেহর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আড়ালে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছিল। এটিতেও কোনো ক্লু পায়নি পুলিশ। এই ঘটনায় সরাসরি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করে ইরান এবং বিশ্ব মিডিয়াও এমনটাই ধারণা করে।
ইয়াহিয়া এল মাশাদ
ইয়াহিয়া এল মাশাদ ছিলেন একজন মিশরীয় পরমাণু বিজ্ঞানী। মিশরে পড়াশোনা করে তিনি পাড়ি জমান ব্রিটেনে। সেখান থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেন। এছাড়া রাশিয়াতেও তিনি গবেষণার জন্য গিয়েছিলেন। ৩য় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর মিশরের বেসামরিক আণবিক কর্মসূচী একদম বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৬৭ সালের পর এল মাশাদ ইরাকে চলে যান এবং দেশটির আণবিক সংস্থায় যোগ দেন। রিঅ্যাক্টরের জন্য প্রচুর খুচরা যন্ত্রপাতি ইউরোপ থেকে আমদানি করতে হতো। এর জন্য এল মাশাদকে ফ্রান্সে নিজেদের কেনাকাটার সমন্বয়কারী হিসেবে নিযুক্ত করে ইরাক। মোসাদ যখন এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয় তখনই তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। প্যারিসের লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করছিলেন তিনি। কিন্তু সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ রুমের মধ্যে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান। তার হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকা এক নারীও আত্মহত্যা করেন, যদিও প্যারিস পুলিশের ধারণা, ঐ নারী আত্মহত্যা করেননি, বরং এটিও মোসাদের কাজ।
মাজিদ শাহরিয়ারি ও আব্বাস-দাভানি
ড. মাজিদ শাহরিয়ারি ছিলেন ইরানের নিউট্রন বিশেষজ্ঞ। তার সম্পর্কে খুব বেশী কিছু জানা যায় না। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে তিনি ইরানের গোপন পরমাণু কর্মসূচিতে উর্ধ্বতন পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর নিজে গাড়ি চালিয়ে কর্মস্থল শহীদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রাফিক জ্যামে গাড়ির গতি কমে যেতেই হঠাৎ মোটরবাইক থেকে গুপ্তঘাতক চুম্বক লাগানো সি-৪ বোমা গাড়ির দরজায় আটকে দেয়। কয়েক সেকেন্ড পরেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং তিনি মারা যান। পাশের আসনে বসা ড. মাজিদের স্ত্রীও মারাত্মকভাবে জখম হন এই হামলায়।
এর কিছু দূরেই দ্বিতীয় একটি হামলা হয়। এতে তেহরানের রাস্তায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহীদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক ড. আব্বাসির গাড়ি লক্ষ্য করেও একইভাবে হামলা হয়। আহত হলেও শেষপর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান তিনি। পদার্থবিজ্ঞানে প্রচুর জ্ঞান রাখা ড. আব্বাসি ইরানের আণবিক সংস্থার তৎকালীন প্রধান ছিলেন। অস্ত্রের উন্নতির জন্য লেজার প্রযুক্তি নিয়েও গবেষণা করতেন তিনি। লেজার প্রযুক্তি গোলা বা রকেটের লক্ষ্য ভেদ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও ইরানের হাতে গোনা কয়েকজন আইসোটোপ পৃথকীকরণ বিশেষজ্ঞের মধ্যে তিনি একজন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে অসহযোগিতার অভিযোগে ২০০৭ সালে জাতিসংঘ তার ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং বিদেশে থাকা সমস্ত সম্পদ জব্দ করার হুকুম দেয়। প্রাথমিক তদন্ত করলেও তেহরান পুলিশ ঘটনার হোতাদের ধরতে ব্যর্থ হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বেপরোয়া এবং দুর্ধর্ষ সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মোসাদ। ইসরায়েলের শত্রুই তাদের প্রধান লক্ষ্য। এ পর্যন্ত কতজন বিজ্ঞানী, গবেষক, সামরিক ব্যক্তিত্ব কিংবা রাষ্ট্রীয় ব্যাক্তি মোসাদের হাতে নিহত হয়েছে তার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা নেই। তাছাড়া এমন অসংখ্য ঘটনা আছে যেখানে মোসাদের মিশন ব্যর্থ হয়েছিল। অতি সম্প্রতি ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফাখরিযাদেকে গুপ্ত হামলায় হত্যা করে মোসাদ। ফাখরিযাদে ইরানের “পরমাণু জনক” বলে পরিচিত ছিলেন। ইসরায়েল এভাবেই তার শত্রুদের প্রযুক্তি, গবেষণা এবং শিল্পকে ধ্বংস করে থাকে। আন্তর্জাতিক নিয়ম কিংবা আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কাই তারা কখনও করেনি। বর্তমানে করছেও না। যারাই তাদের অবৈধ দেশের জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠে তার উপর নজরদারি শুরু করে দেয় মোসাদ। আর সুযোগ বুঝে কাপুরুষোচিত হামলায় স্তব্ধ করে দেয় মুসলিম বিশ্বের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রা।