“তুই যে ওকে খুন করেছিস কতক্ষণ হয়েছে? না মানে আমি জানতে চাচ্ছিলাম কারণ এখন ওর শরীর কাটলে রক্ত বের হবে কিনা তা বুঝতে।”
মুভির এক পর্যায়ে গল্পের মূল চরিত্র অনুপএর এক বন্ধু বলে ওঠে এই কথা। এই ডায়লগ শুনে দর্শক আঁচ করে নিতে পারবেন কেমন চরিত্রদের কর্মকাণ্ড দেখবো আমরা এই সিনেমায়, এখানকার চরিত্ররা স্বার্থপর আর অনুতাপহীনতায় ভরা।
লাভ (২০২০)হলো ভারতীয় মালায়ালাম ভাষার একটি ব্ল্যাক বা ডার্ক কমেডিক সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। এটি প্রাথমিকভাবে মুক্তি পায় আরব আমিরাতে ২০২০ সালের ১৫ই অক্টোবর এবং ভারতে মুক্তি পায় এ বছরের ২৯শে জানুয়ারী। এটির গল্প লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন খালিদ রহমান।পরিচালক হিসেবে এটি তাঁর ৩য় চলচ্চিত্র। চিত্রনাট্যে খালিদের পাশাপাশি ছিলেন নওফাল আহমেদ,এডিটিংয়ের কাজও করেছেন তিনি। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন নেহা নায়ারএবং ইয়াকজান গ্যারি পেরেইরা।সিনেম্যাটোগ্রাফির কাজ করেছেন জিমসি খালিদ।সিনেমাটির শ্যুটিং সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ২৩ দিনে। আশিক উসমান প্রোডাকশন্সেরব্যানারে নির্মিত মুভিটি গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী থেকে স্ট্রীমিং হচ্ছে নেটফ্লিক্সে।
ভারতে মুক্তি পাওয়ার সময় করোনার প্রকোপের কারণে তেমন ব্যবসা করতে পারে নি এটি।আইএমডিবিতে ৯২ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই সিনেমার রেটিং ৭.১ এবং এটির বাজেট ছিলো প্রায় ২-৩ লক্ষ রুপি।
করোনাকালীন সময়ে কেরালার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি মলিউডে প্যান্ডেমিকের নিয়ম-কানুন মেনে শ্যুটিং হওয়া প্রথমদিকের চলচ্চিত্রগুলোর একটি হলো এই লাভ। এটি এমন একটি চলচ্চিত্র যেটি নিয়ে এটি দেখেনি এমন কারো সাথে খুব বেশি আলাপ করতে গেলে স্পয়েল করে দেওয়ার চান্স থেকে যায়। তাই এই লেখায় চেষ্টা করা হবে যেন কোন স্পয়লার চলে না আসে। এই মালায়ালাম মেইনস্ট্রিম সিনেমার সাথে আপনি স্লেউথ(১৯৭২) বা কিংবদন্তি আলফ্রেড হিচককের রোপ(১৯৪৮) এর মত চেম্বার ড্রামাক্লাসিকগুলোর সাথে মিল খুঁজে পাবেন। এইসব ক্লাসিকগুলোর মত এখানেও একটি ডার্ক ঘটনা ঘটে যা গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাদেরকে ঢুকিয়ে দেয় এখানকার চরিত্রদের মনস্তত্ত্বের গভীরে। আমরা একটি ছোট্ট জায়গায় অল্প কিছু চরিত্রের মিথস্ক্রিয়া অবলোকন করি, যাদের ডায়লগে রয়েছে নার্সিস্টিক মনোভাব এবং ডার্ক কমেডিক লেয়ার।
এই চলচ্চিত্রে মূলত আমরা একটি দম্পতির কার্যকলাপ দেখি যাদের সম্পর্কের টালমাটাল অবস্থা। এই দম্পতির একজনের নাম দিপ্তী।এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজীশা বিজয়ান,যিনি আগেও খালিদ রহমানের সাথে কাজ করেছেন এবং ঐ কাজের জন্য কেরালা স্টেট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। দম্পতির অন্য একজন হলো অনুপ,এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরিচিত মুখ শাইন টম চাকো।তাঁরও খালিদের সাথে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
গল্পের শুরুতে আমরা দিপ্তীকে দেখি একটি হসপিটালে। তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে সে নিশ্চিত হয় যে সে গর্ভবতী। এই খবর জানাতে সে কল করে তার স্বামীকে কিন্তু তার স্বামী অনুপ কল ধরে না। এরপর আমরা দেখি অনুপকে, সকাল সকালই সে মদের গ্লাস নিয়ে বসে পড়েছে এবং ভাবনায় ব্যাকুল হয়ে আছে। টিভিতে কনসোলের মাধ্যমে গেইমও খেলছে সে। দিপ্তীর করা কলের সময়ই আমরা অনুপের মোবাইলে একটি মেসেজ আসতে দেখি। এই মেসেজের মূল বক্তব্যও একই। যে মেসেজ পাঠিয়েছে সে গর্ভবতী। প্রথমদিকে এই মেসেজ দিপ্তী পাঠিয়েছে বলে মনে হলেও মেসেজের সেন্ডারের নামের জায়গায়হারিথানামটিকে ভেসে উঠতে দেখি আমরা।
দিপ্তী আর অনুপের সম্পর্কে হয়তো একটা সময় ভালোবাসা আর শান্তি ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সেই শান্তি উবে গেছে আর তার স্থানে এসেছে অবিশ্বাস, একের অপরকে সহ্য করতে না পারা আর ঘৃণা। সবচেয়ে বড় সমস্যা মনে হয় মানুষ হিসেবে তাদের একজনের অন্যজনের প্রতি শ্রদ্ধা বা সম্মান না থাকা। পারিবারিক কলহ যে ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের দিকে মোড় নিয়েছে সে সম্পর্কে ইঙ্গিতও দিয়েছেন পরিচালক, কেননা দিপ্তীর গালে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই আমরা। এই ব্যাপারে অনুপের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারি দিপ্তীর বাবার সাথে তার কথোপকথনে। তাদের কথোপকথনের এক পর্যায়ে সে বলে বসে আমার স্ত্রীর গায়ে আমি দুই-একবার হাত তুললে তাতে কি এমন হয়ে গেল?!
যাই হোক, কল করে অনুপকে না পাওয়ার পর দিপ্তী বাসায় ফিরে আসে এবং তাকে মদ হাতে টিভির সামনে বসে গেইম খেলতে দেখে। অনুপের করা প্রশ্নের জবাব না দিয়েই সে রান্নাঘরে চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে দেখে অনুপ খাওয়ার পর প্লেট না ধুয়েই সিংকে ফেলে রেখেছে। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির সূত্রপাত ঘটে যা মোড় নেয় ঐ ডার্ক ঘটনায়। এই ঘটনার পর থেকে বাসায় পুলিশের আগমনসহ নানা ঘটনা ঘটতে শুরু করে অনুপের বাসায়, যা তাকে নিয়ে যায় সহ্যের শেষ সীমায় এবং মানসিকভাবে করে তোলে বিপর্যস্ত।
অনুপ-দিপ্তী দম্পতির মধ্যে ঝগড়া এবং তার পরে তাদের সম্পর্কে যে এককালে প্যাশন ছিলো এগুলো বোঝাতে পরিচালক সাহায্য নিয়েছেন স্বল্প দৈর্ঘ্যের স্লো মোশনের কিছু মন্তাজের। এর বাইরে তাদের ব্যাকস্টোরির বেশিরভাগই দর্শক জেনেছে তাদের ফ্ল্যাটের দেয়ালকে অলঙ্কৃত করে রাখা ফটোগ্রাফসমূহের মাধ্যমে।
ঐ ডার্ক ঘটনার পর হঠাৎ করেই অনুপের বাসায় আগমন ঘটে তার এক বন্ধুর। সিনেমায় তার চরিত্রের কোন নাম নেই। এই চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতার নাম গোকুলান। এবং এই সিনেমার সবচেয়ে সেরা পার্ফমার সম্ভবত তিনি। তার হতাশাজনক এবং ডার্ক কমেডিক কথাবার্তা দর্শককে আনইজি করে দিতে বাধ্য। অনুপের প্রতি তার আবার আলাদা টান রয়েছে যা আমরা গল্পের এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে দেখবো।
গোকুলানের পর মুভিতে আরো ২টি চরিত্রের আগমন ঘটে। এদের মধ্যে একজন অনুপেরই অপর এক বন্ধু, গল্পে তারও নাম নেই। এই চরিত্রের অভিনেতার নাম সুধীশ কোপা। অপরজন হলো আরেকটি নারী চরিত্র, যে অনুপের পরে আসা বন্ধুর প্রেমিকা।
মুভির এক পর্যায়ে আমরা এই তিনজনকে একসাথে বসে কথা বলতে দেখি। এবং এতে করে এদের ব্যাকস্টোরি আর মোটিভেশন আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়। অনুপের ১ম বন্ধু রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় মার খেয়েছে এবং তার কাছে মনে হয় তার পার্টনারশেলবিইচ্ছা করেই তার ব্যবসায় ভজকট পাকিয়েছে। আর এখন তার স্ত্রীকেও ভাগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। ফলে সে তার মেজাজ হারিয়ে ফেলেছে এবং বেঁচে থাকার প্রতিও বিতৃষ্ণা জন্মেছে। পুরো মুভিজুড়েই সে নানা জায়গায় হঠাৎ করে অবিবেচকের মত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। অনুপের ২য় বন্ধু কিছুটা ভীতু প্রকৃতির, তার ইগোও ভঙ্গুর। সে নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এবং এখন তার সাথেই থাকতে চায়। কিন্তু একথা তার স্ত্রী বা তার বান্ধবীর স্বামীকে জানানোর সাহস নেই। আবার এই সম্পর্কের কথা গোপন রাখার ব্যাপারেও আগ্রহী সে।
এক পর্যায়ে অনুপ কি কান্ড করেছে তা তার দুই বন্ধুকে বলে। এতে করে তাদের প্রতিক্রিয়া হয় বিপরীতমুখী। ১ম বন্ধু বলে অনুপের কাজ ঠিকই হয়েছে, সে নিজেও এমনকিছুই করতে চায় কিন্তু পারছে না। এতে করে অনুপের প্রতি তার সম্মান আরো বেড়ে যায় আর অনুপ যা-ই করুক তাতে সে তার পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেয়। অনুপ যে নিজের এত ঝামেলা নিয়েও তার সমস্যার কথা শুনেছে এজন্য সে তাকে বাহবা দেয়। অন্যদিকে ২য় বন্ধু এই ঝামেলায় জড়াতে চায় না এবং অনুপের বাসা ছেড়ে চলে যেতে যায়। অনুপেরও নিজের কৃতকর্মের সাথে অন্য কাউকে জড়ানোর ইচ্ছা নেই। তাই সে তাদের দুজনকেই চলে যেতে বলে। কিন্তু তাতে বাধ সাধে ১ম বন্ধু। সে অনুপের অপর বন্ধুকে ভীতুসহ নানান কথা বলে। সে অনুপের কেমন বন্ধু সেটা নিয়েও কটাক্ষ করে।
গল্পের এক জায়গায় দাম্পত্য কলহ নিয়ে অনুপ আর দীপ্তির মধ্যে একটি কথোপকথন হতে দেখি আমরা। এই কথোপকথন থেকে আমরা বুঝতে পারি তাদের যে সমস্যা সেটির শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব ছিলো একে অপরের সাথে খোলাখুলি কথা বললে। কিন্তু এখন সেই পথও রুদ্ধ হয়ে গেছে। এরপর আমরা তাদের একের অপরকে দোষারোপ করতে দেখি। সম্পর্কের এই অবস্থায় চলে আসার জন্য উভয়েই একে-অপরকে দায়ী করে। এখানেই বেশ বড়সড় একটা সিক্রেটের রিভিল হয়।
পরিচালক গল্পে পুরুষ চরিত্রসমূহকে সর্বরকম দোষে দুষ্ট হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তবে শেষে এটিও দেখিয়েছেন যে নারীরাও সমানভাবে হিংস্র এবং ধ্বংসাত্মক হতে পারে প্রয়োজনের সময়।
আরো পড়ুনঃ
ডেথ ইন দ্যা গুঞ্জ (2016) : বালকের পুরুষত্ব অর্জনের কাফকায়েস্কে গল্প
মাহেশিন্তে প্রাথিগারাম (২০১৬) : ইন-ডেপথ ক্যারেক্টার স্টাডি, বাটারফ্লাই ইফেক্ট এবং জীবনের বয়ে চলা
বেনসন অ্যান্ড হেজেস : রাজকীয় ব্রিটিশ সিগারেটের সাতকাহন [পর্ব-১]
দ্বিচক্রযান বা সাইকেল : যেভাবে ইতিহাসের পথে চলতে চলতে বর্তমান রুপ পেলো সাইকেল
লকডাউনে এক জায়গায় শ্যুটিং করার যে বাধ্যবাধকতা ছিলো সেটির সদ্ব্যবহার করেছেন পরিচালক এবং সিনেম্যাটোগ্রাফার জিমসি খালিদ। প্রথম স্লো মোশন মন্তাজের পর তারা বাসার অবস্থা এবং অনুপের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার বর্ণনায় ব্যবহার করেছেন ভার্টিগো ইফেক্ট,যেটা বেসিক্যালি ক্যামেরা ডলির জুম ইন এবং জুম আউট। এছাড়া এসব দৃশ্যের চিত্রায়ণে তারা নানা লেন্সের ক্যামেরার ব্যবহার করেছেন। এগুলো এই মুভিটিকে অন্যান্য মুভি থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেছে। কয়েকটি দৃশ্যের কথা আলাদাভাবে বলতে হয়। যেমন, ঐ বাথরুম সীন যেখানে অনুপের কাছে মনে হয় চারপাশের দেয়ালগুলো তাকে পিষে ফেলতে আসছে। বীন ব্যাগের জিনিসপত্র বের করে ফেলার পর দিপ্তীর সাথে অনুপের বাথরুমে বসে থাকা। এছাড়া নিজেদের সুখের সময়ের বাঁধানো ছবির দিকে তাকানোর ফলে ছবির কাঁচে অনুপের অবয়বের ফুটে ওঠা ইত্যাদি। যদি একাধিক লোকেশনে শ্যুটিং করা হতো, তাহলে এভাবে লোকেশনের ব্যবহার করতে পারতেন না তারা। এই বাসাটাই স্টোরি টেলিং এর ক্ষেত্রে অনেক লেয়ার যুক্ত করেছে।
সিনেম্যাটোগ্রাফির পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আর এডিটিং মুভি দেখার অনুভূতিকে নিয়ে গেছে অন্য লেভেলে।
মাত্র দেড় ঘন্টার রানটাইমসমৃদ্ধ ফাস্ট পেইসড প্রানবন্ত এই মুভিটি আপনার দৃষ্টিকে নিয়ে যাবে প্লটের ভেতরে, স্ক্রিনে চোখ একদম আটকে থাকবে। গোকুলান ছাড়া অন্যান্য কুশীলবদের অভিনয়ও ছিলো বেশ ভালো, ডিরেকশনে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন পরিচালক। তিনি এই মুভি যেন আলফ্রেড হিচকককে ট্রিবিউট জানানোর জন্যে বেছে নিয়েছেন!
মুভির একটা পর্যায়ে গিয়ে আপনি একটা টুইস্ট বুঝে ফেলবেন। কিন্তু যখনই আপনার মনে হবে এই মুভির ঘটনাবলীর ব্যবচ্ছেদ আপনি করে ফেলেছেন, তখনই হঠাৎ মুভিটি শেষ হয়ে যাবে ফাইনাল টুইস্টের মাধ্যমে। যা আপনাকে এতক্ষণ কি দেখলেন সেটা নিয়ে আবারও ভাবতে বাধ্য করবে। শেষ আধা ঘন্টা বেশ মাইন্ড বগলিং, কি দেখলেন তা বেশ কয়েকবার ভেবে দেখতে হবে। আর এখানেই এই মুভির সৌন্দর্য।
মুভির হঠাৎ করে শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে দেখলাম। অনেকেই এন্ডিং এর ব্যাপারে যথেষ্ট ক্লু না দেওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। তবে আমার মতে এটাই ঠিক আছে। এর বেশি ক্লু দিলে এই মুভি নিয়ে এখন যতটা আলোচনা হচ্ছে ততটা হতো না। পরিচালক যে ধাক্কাটা দিতে চেয়েছিলেন সেটা দিতে পেরেছেন।
মলিউডের ফ্রেশ কন্টেন্টের যে জয়জয়কার, লাভ (২০২০) এর মাধ্যমে সেটি বলবৎ থাকলো। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে দাম্পত্য কলহ আর ডমেস্টিক ভায়োলেন্স এর মত টপিকগুলো নিয়ে আসার কারণে আলাদা বাহবা পেতেই পারেন খালিদ রহমান।
কম রানটাইম আর টেকনিক্যাল ব্যাপার-স্যাপারগুলোর ভালোভাবে দেখভাল করার কারণে এই মুভি দেখতে গিয়ে বোর ফিল করার সম্ভাবনা কম। স্বাভাবিক সময়ে মুক্তি পেলে হয়তো এটি নিয়ে আরো বেশি আলোচনা হতো, অর্থনৈতিকভাবেও সেটি হতো আরো ফলপ্রসূ। হাতে দেড় ঘন্টার মত সময় থাকলে আর থ্রিলারপ্রেমী হলে নির্দ্বিধায় বসে যেতে পারেন এটি দেখতে। সময় অপচয় হয়েছে এমন মনে হওয়ার চান্স কম।
This is a Bangla article. This article is a review of Indian Malayalam language psychological thriller film Love (2020).
All the necessary links are hyperlinked.
Featured images are collected from Google.