লিখুন
ফলো

লীগ অব নেশনস: এক ব্যর্থ সংগঠনের আদ্যোপান্ত

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি বিশ্বসংস্থা ‘লীগ অফ নেশনস’-এর জন্ম হয়।

সংস্থাটি যেমন ওই সময় বিশ্ববাসীকে আশার আলাে দেখিয়েছিল, ঠিক তেমনি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে সংস্থাটির অবলুপ্তি বিশ্ববাসীকে নিমজ্জিত করেছিল হতাশার সাগরে। ১৯১৪ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, বিশ্ব পরিস্থিতিকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসে এটি ছিল একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এর ব্যাপকতা ও ধ্বংসযজ্ঞ সমগ্র বিশ্ববাসীকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। এমতাবস্থায় চিন্তাশীল ব্যক্তিরা ভাবতে থাকেন কিভাবে যুদ্ধের সম্ভাবনা, বন্ধ করে আন্তর্জাতিক শান্তি স্থায়ী করা যায়।

লীগ অব নেশনস
লীগ অব নেশনসের লোগো; image: wikipedia

প্রকৃতপক্ষে দেখা যায় যে, বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে বিবাদ ও বিরােধ বেঁধে যাওয়া যেকোনাে সময় সম্ভব ছিল, এই বিরােধের নিষ্পত্তির জন্য বল প্রয়ােগের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ পন্থা গ্রহণের জন্যও চিন্তাভাবনা করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা এই চিন্তাধারাকে প্রবল করে। পােপ পঞ্চদশ বেনেডিক্ট ১৯১৭ সালে আর যুদ্ধ না করে
আপােস ও আলােচনার দ্বারা আন্তর্জাতিক বিরােধ মেটাবার আহ্বান জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন ১৯১৭ সালের ২ এপ্রিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরােপে শান্তি স্থাপনের জন্য তার ১৪ দফা নীতি ঘােষণা করেন। ওই চতুর্দশ নীতির ১৪নং ধারায় বলা হয়েছিল, বৃহৎ ও ক্ষুদ্র সকল রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন করতে হবে।

উইলসন বলেছিলেন,

An evident principle runs through the whole programme I have outlined. It is the principle of justice to all people and nationalities and their right to live on equal terms of liberty and safety with one another, where they be strong orweak.

প্যারিসের শান্তি সম্মেলনে উইলসনের প্রস্তাব উত্থাপিত হলে ১৯ সদস্যের এক কমিটিকে লীগ অফ নেশনসের গঠনতন্ত্র রচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। উইলসন ওই সমিতির প্রধান ছিলেন। এই সমিতি লীগ অফ নেশনস গঠনের জন্য একটি খসড়া সংবিধান রচনা করে। প্যারিসের সম্মেলনে খসড়াটি অনুমােদিত হয় এবং ভার্সাই সন্ধির প্রথম খণ্ডে এই খসড়া গৃহীত হয়। এর ফলে লীগ অফ নেশনস গঠিত হয়।

অনেক আশা নিয়ে লীগ অব নেশন গঠিত হলেও সফলতা পায়নি; image: britannica

এখানে একটা কথা বলা প্রয়ােজন যে, ঊনবিংশ শতাব্দীর শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযােগিতা সম্প্রসারিত হয়। এতে করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থারও আবির্ভাব হয়। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে
দ্বি-পাক্ষিক, বহুপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়, এছাড়াও ইউরােপ ও যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু সমিতি সেই সময়ে গঠিত হয়।

আন্তর্জাতিক সংগঠনের পদ্ধতি এবং কৌশলগত দিক থেকে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও কমিশন যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। এগুলাের মধ্যে ১৮১৪ সালের ভিয়েনা চুক্তি, ১৮৭৪ সালের ইউনির্ভাসেল পােস্টাল ইউনিয়ন প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য। অতঃপর ১৮৯৯ সালের প্রথম হেগ সম্মেলন, এবং ১৯০৭ সালের দ্বিতীয় হেগ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে তােলার উদ্যোগ গৃহীত হয়েছিল।

ওই দুটো সম্মেলনেই যৌথ নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরােধ মীমাংসার ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরােপ করা হয়েছিল। ১৯১৪ সালে যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় তখন থেকেই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থায়ী সংগঠন প্রতিষ্ঠার দাবিতে ইউরােপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কতিপয় নেতৃবৃন্দ দাবি উত্থাপন করেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লয়েড জর্জ যুদ্ধের শুরুতেই শান্তি রক্ষাকল্পে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিকল্পনা গ্রহণে সচেষ্ট হয়েছিলেন।

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন; image: The White House Official Site

আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ট্যাফটের (১৯০৯-১৯১৩) নেতৃত্বে ইতােমধ্যে “শান্তির জন্য লীগ” প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রেসিডেন্ট উড্রাে উইলসন এবং রুজভেল্টও এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এদিকে ১৯১৭ সালে পােপ পঞ্চদশ বেনেডিক্ট সালিসির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরােধ মীমাংসার জন্য একটি স্থায়ী কেন্দ্রীয় সংস্থা গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন। ১৯১৯ সালের ২৮ এপ্রিল প্যারিস শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে ৩২টি দেশের প্রতিনিধিরা যােগদান করেন। আর এতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্ট উড্রাে উইলসন। প্রতিনিধিব সর্বসম্মতিক্রমে একটি চুক্তির মুসাবিদা রচনা করেন।

১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি বিশ্বের সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে লীগ অফ নেশনস-এর কাজ শুরু হয়। এই লীগ অফ নেশনসের প্রথম মহাসচিব নিযুক্ত হয়েছিলেন স্যার এরিক ড্রম । কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, যে প্রত্যাশা নিয়ে লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই প্রত্যাশা লীগ পূরণ করতে পারেনি। লীগের কাউন্সিলের আগ্রাসী রাষ্ট্র বা শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা থাকলেও কোনাে আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। ফলে লীগ অফ নেশনস অকার্যকর হয়ে পড়ে ও আপনা আপনি বিলুপ্ত হয়ে যায় ।

লীগ অব নেশনস-এর গঠন

লীগ অব নেশনস-এর পরিচালনার জন্য পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ নিয়ে একটি পরিষদ বা কাউন্সিল গঠিত হয়। ওই পরিষদে চারটি অস্থায়ী সদস্য থাকবে তাও স্থির হয়। পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র ছিল ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লীগ অফ নেশনস্-এ যােগদান না করায় স্থায়ী সদস্য পদে মাত্র ৪টি দেশ থাকে। যে সব মিত্রশক্তি লীগ অফ নেশনস-এর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল তারা হলাে এর প্রথম পর্যায়ের সদস্য। এই সংখ্যা ছিল ৪০। আর বিজিত শক্তিসমূহের মধ্য থেকে যারা পরবর্তীকালে লীগ অফ নেশনসে যােগ দিয়েছিল তারা হলাে দ্বিতীয় পর্যায়েরসদস্য। এই সংখ্যা ছিল ৫০-এর উপরে।

ইয়াল্টা সম্মেলনের পর (বাম পাশ থেকে) ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জ, ইতালির ভিট্রোরিও অরল্যান্ডো, ফ্রান্সের জর্জেস ক্ল্যামেনকু এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন; image source: wikimedia commons

লীগ অফ নেশনস তিনটি প্রধান শাখা নিয়ে
গঠিত হয়েছিল।
১. সাধারণ সভা (Assembly)
২. কাউন্সিল (Council)
৩. সচিবালয় (Secretariat).

লীগ অফ নেশনস-এর ব্যর্থতার কারণ

লীগ অফ নেশন্স-এর ব্যর্থতার কারণসমূহ নিম্নে আলােচনা করা হলাে:

১. বৃহৎ শক্তির অনুপস্থিতি: মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রাে উইলসন লীগ অফ নেশনস্-এর প্রধান প্রেরণাদাতা ছিলেন। কিন্তু মার্কিন সিনেট ভার্সাই চুক্তি অনুমােদন না করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লীগ অফ নেশনস-এ যােগ দিতে পারেনি। লীগের চুক্তিপত্র ভার্সাই সন্ধির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। সুতরাং ভার্সাই চুক্তি অনুমােদন না করার অর্থ হলাে লীগ অফ নেশনস্-এ যোগদানের সম্ভাবনা বাতিল করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি ছিল লীগ অফ নেশনস্-এর ওপর প্রচণ্ড আঘাতস্বরূপ।

২. মতানৈক্য: বিজয়ী ও বিজিত রাষ্ট্রগুলাের মধ্যে মতানৈক্য এবং জার্মানিকে সর্বতােভাবে পঙ্গু করে রাখার চেষ্টা লীগের মতাে এক আন্তর্জাতিক সংস্থার সাফল্যের প্রধান অন্তরায় ছিল।

বিশ্ব মোড়লদের মতানৈক্যের ফলে ব্যর্থ হয়েছিল সংস্থাটি; image: history on the net

৩. জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য: জাতীয় স্বার্থের ধারণার দ্বারা তখন রাষ্ট্রগুলাে অতিমাত্রায় প্রভাবিত ছিল। ফলে লীগের প্রতি তাদের অখণ্ড আনুগত্য জন্মায়নি। আন্তর্জাতিক স্বার্থের খাতিরে জাতীয় স্বার্থ ত্যাগ করার মনােবৃত্তি তখন কোনাে দেশেরই ছিল না। এই কারণে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলাে তাদের নিজেদের স্বার্থের খাতিরে লীগের নীতি ও শর্তকে উপেক্ষা করতে কোনাে সময়ই দ্বিধাবােধ করেনি।

৪. সামরিক বাহিনীর অনুপস্থিতি:আন্তর্জাতিক শান্তি এবং যুদ্ধ প্রতিরােধের জন্য প্রয়ােজন ছিল আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর। লীগ আক্রমণ বন্ধের জন্য কেবল প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারত। সেই প্রস্তাব কার্যকর করার মতাে কোনাে সামরিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা তার ছিল না। এর ফলে আক্রমণকারী কর্তৃক নির্দেশ লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে লীগের পক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রয়ােগ করা সম্ভব হতাে না।

৫. সদস্যপদ প্রত্যাহারের প্রবণতা: লীগ অফ নেশনস সদস্যপদ প্রত্যাহারের সুযােগ রেখেছিল। ফলে এই সুযােগে সামান্যতম অজুহাতে বহুদেশ তাদের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এতে সদস্য সংখ্যা ৬৬ থেকে কমে ৪৯ দাঁড়িয়েছিল। সদস্যপদ প্রত্যাহারের এই প্রবণতা লীগের পতনের পথ প্রশস্ত করে।

৬. সমরাস্ত্র হ্রাসে ব্যর্থতা:লীগের সনদে অস্ত্র হ্রাসের বিষয় উল্লেখ ছিল। কিন্তু ওই সময় হিটলার ক্ষমতায় আসার পর জার্মানি নতুন করে নিজেকে অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতালি এবং জাপানও তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে। লীগ এক্ষেত্রেও তার সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।

৭. তােষণ নীতি: প্রকৃতপক্ষে ব্রিটেন ও ফ্রান্স লীগের ওপর কর্তৃত্ব করত। কিন্তু এ দু-দেশের জার্মানির প্রতি তােষণনীতির কারণে জার্মানির আক্রমণাত্মক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লীগ কোনাে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এটাও লীগের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ ছিল।

লীগ অফ নেশনস-এর বিলুপ্তি

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যেই একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন হিসেবে লীগ অফ নেশনস-এর জন্ম হয়েছিল। কিন্তু যে আশা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠন হিসেবে লীগ অফ নেশনস-এর জন্ম হয়েছিল, সে আশা পূরণে লীগ ব্যর্থ হয়েছিল। এর অন্যতম কারণ হিসেবে বলা যায় বৃহৎ শক্তিগুলাের অনুপস্থিতি। এছাড়া
ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ছিল লীগ অফ নেশনস্-এর অন্যতম চালিকাশক্তি, অনেক ক্ষেত্রে এদের মন যুগিয়ে অন্যদের চলতে হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় জার্মানিতে যখন হিটলার ক্ষমতায় এলেন তখন জার্মানি পুনরায় নতুন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হতে থাকে। কিন্তু লীগ এর বিরুদ্ধে কোনাে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।

image: wikimedia

তাছাড়া লীগের গঠনতন্ত্র এবং কাজকর্মে বহু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল। লীগের সাধারণ সভার হাতে কার্যত কোনাে ক্ষমতাই ছিল না। লীগের অনেক কর্মকাণ্ডের কারণে সাবেক সােভিয়েত ইউনিয়ন লীগকে ধনতান্ত্রিক দেশগুলাের ক্লাব বলে আখ্যায়িত করেছিল। প্রভৃতি নানা কারণে লীগ অফ নেশনস্-এর বিলুপ্তি ঘটে।

শেষকথা

মূলত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে লীগ অফ নেশনস-এর জন্ম হয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন সমগ্র বিশ্বের মানুষ এর ভয়াবহতা সম্পর্কে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল, ঠিক তখনই চিন্তাশীল ব্যক্তিরা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এর ফলে আন্তর্জাতিক সংগঠন হিসেবে লীগ অফ নেশনস্ আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু যে স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং উদ্যম নিয়ে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করা লীগ অফ নেশনস-এর পক্ষে সম্ভব হয়নি।

বিশ্ব থেকে যুদ্ধভীতি দূর করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা লীগ অফ নেশনস্-এর পক্ষে সম্ভব হয়নি। লীগ অফ নেশনসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি ছিল এর নিজস্ব কোনাে বাহিনী ছিল না। এটা এককভাবে কোনাে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারত না। লীগ অফ
নেশনস বিশ্বকে পুরােপুরি নিরস্ত্রীকরণ করতে সক্ষম হয়নি। এর বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে জার্মানি। লীগ অফ নেশনস্-এর সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে থাকায় এটা কার্যক্ষেত্রে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে থাকে।

এই লীগ অফ নেশনস্-এর ব্যর্থতার পর মনে
করা হয়েছিল পৃথিবীর বুকে আর কোনাে আন্তর্জাতিক সংগঠন হয়তাে সফলতা লাভ
করতে পারবে না। কিন্তু এর বিলুপ্তির মধ্য দিয়েই জাতিসংঘের আবির্ভাব ঘটে।

 

 

সহায়ক গ্রন্থাবলি
১. আন্তর্জাতিক সংগঠন, শাহ আলম।
২. বিশ্ব রাজনীতির এক’শ বছর, তারেক শামসুর রেহমান

 

বাংলাদেশে ভাস্কর্য সংস্কৃতি কিভাবে এলো?” এ নিয়ে পড়তে পারেন এখানে


This is a Bengali article. it’s about the ‘League of Nations’.

All the references are hyperlinked inside the article.

Featured Image: Britannica

Total
0
Shares
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Article

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হওয়ার কারণ এবং যার ফলশ্রুতি এর ভয়াবহ পরিণতি

Next Article

বাংলাদেশে ভাস্কর্য সংস্কৃতি কিভাবে এলো?

Related Posts
আরও পড়ুন

উইঘুর নির্যাতন: একুশ শতকের ভয়াবহ গণহত্যায় নিরব কেন বিশ্ব?

উইঘুর মুসলিমদের ওপর আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালাচ্ছে কমিউনিস্ট চীন। গণহত্যা এবং নির্যাতনের মাত্রা এত বেশি…

হোয়াইট ডেথ: ইতিহাসের সর্বাধিক কিল রেকর্ড যে স্নাইপারের

সূচিপত্র Hide শীতকালীন যুদ্ধসর্বাধিক হত্যার রেকর্ডপ্রাথমিক জিবনহাইহার ‘হোয়াইট ডেথ’ হয়ে ওঠাদ্যা হোয়াইট ডেথ (২০১৬) ইতিহাসে অনেক দুর্ধর্ষ স্নাইপারের…

দেশে দেশে বোরকা ও আযান নিষিদ্ধের গল্প

পাশ্চাত্যের উদারপন্থী মূলনীতিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে নারীবাদ বা নারী স্বাধীনতা। অর্থাৎ নারী যা খুশি তাই করতে পারবে। পুরুষতান্ত্রিক…

কিউএ্যানন এবং মার্কিন কংগ্রেস ভবনে হামলার ইতিহাস

গণতন্ত্র এবং পুঁজিবাদের আদিভূমি বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদারনৈতিক গণতন্ত্র চর্চা বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য অনুকরণীয়। বিশ্বের…

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন

Total
0
Share