১৪৫৩ সালের ২৯ মে সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ সেই সময়কার সবচেয়ে শক্তিশালী সভ্যতা বাইজেন্টাইনকে পরাস্ত করে কনস্ট্যান্টিনোপলের যে ঐতিহাসিক বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন, সে বিজয় সম্ভবত গত সহস্রাব্দে মুসলমানদের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা। কনস্ট্যান্টিনোপল হলো আজকের ইস্তানবুল যা বর্তমানে তুরস্কের রাজধানী। কনস্ট্যান্টিনোপল ইতিপূর্বে অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল।
উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ (তুর্কি ভাষায় মেহমেত) ক্ষমতায় বসেন মাত্র ১৯ বছর বয়সে। সে সময় তাকে কেউ পাত্তা দেয়নি। প্রথমত কারণ ছিল তার বয়স কম, দ্বিতীয়ত ইতিপূর্বে মাত্র ১২ বছর বয়সে একবার সিংহাসনে বসেছিলেন তিনি। কিন্তু, রাজ্য পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে বাবা মুরাদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। সে জন্য রাজ্যে অযোগ্য ও ব্যর্থ সুলতান হিসেবেই দুর্নাম ছিল তার। কিন্তু তখন কে জানত যে, এই ব্যর্থ সুলতানই সমসাময়িক মুসলিম জাহানের সবচেয়ে বড় সফলতাটা নিয়ে আসবে। পূর্ণ করবে রাসূল (সঃ) যে ভবিষৎবাণী করেছিলেন-
তোমরা (মুসলিমরা) অবশ্যই কনস্ট্যান্টিনোপল বিজয় করবে। কতোই না সৌভাগ্যবান হবে সেই বিজয়ী সেনাপতি, কতোই না সৌভাগ্যবান হবে তার সেনাবাহিনী। (আহমাদ আল-মুসনাদ ১৪:১৩১)
রাসূল (সঃ) এর এই হাদীসকে বাস্তবায়ন করতে যুগে যুগে বহু মুসলিম শাসক কনস্ট্যান্টিনোপলের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। কনস্ট্যান্টিনোপল বিজয়ের সৌভাগ্য অর্জনের লক্ষ্যে খোলাফায়ে রাশেদীনের আমল থেকে অভিযান পরিচালনার স্বপ্ন দেখা হলেও হিজরী ৪৯/৬৬৯ সালে সর্বপ্রথম হযরত আমীর মোয়াবিয়া (রাঃ) কনস্ট্যান্টিনোপল অভিযান পরিচালনা করেন। এই অভিযানে অন্যান্য প্রসিদ্ধ সেনাপতি ছাড়াও বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে ইন্তেকাল করেন। হযরত মোয়াবিয়া-তনয় ইয়াজিদও এই অভিযানে একটি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
অটোমান সুলতান প্রথম বায়েজিদ ইলদ্রিম এর আমলে প্রথমে কনস্ট্যান্টিনোপল অবরোধ করা হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ১০ বছরের শান্তিচুক্তির মাধ্যমে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ১৩৯৭ সালে সুলতান প্রথম বায়েজিদ পুনরায় কনস্ট্যান্টিনোপল অবরোধ করেন। কিন্তু তৈমুরলঙ্গের সাথে সংঘর্ষের ফলে এই অবরোধও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে যায়। এরপর ১৪২২ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ কনস্ট্যান্টিনোপলে ব্যর্থ অবরোধ পরিচালনা করেন।
১৪৫১ সালে সিংহাসনে বসেন সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই কনস্ট্যান্টিনোপল বিজয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। যে স্বপ্ন দেখেছিল তার পিতা ও পিতামহ, রাসূল (সঃ) অসংখ্য সাহাবী, তাবেঈয়ী এবং অনেক অটোমান সুলতানসহ বিভিন্ন মুসলিম শাসক। তাদের সবারই স্বপ্ন ছিল রাসূল (সঃ) ঘোষিত সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হওয়ার। সবাই যখন ব্যর্থ ঠিক তখন মাত্র ১৯ বছর বয়সে ক্ষমতায় বসেই সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ কনস্ট্যান্টিনোপল অবরোধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করলেন।
তখন বাইজেন্টাইনের সম্রাট ছিলেন একাদশ কনস্ট্যান্টাইন। তিনি সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহর মতিগতি বুঝতে পেরে পশ্চিম ইউরোপের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু শতাব্দীব্যাপী যুদ্ধ ও পূর্ব ও পশ্চিমের চার্চের মধ্যকার বিরোধের ফলে কাঙ্খিত সাহায্য পাওয়া যায়নি। তবে কিছু পশ্চিমা ব্যক্তি তাদের নিজ উদ্যোগে শহর রক্ষায় এগিয়ে আসে।
দীর্ঘ দুই বছরের প্রস্তুতি শেষে ১৪৫৩ সালের ৬ এপ্রিল সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহর নেতৃত্বে কনস্ট্যান্টিনোপল অবরোধ করে উসমানীয়রা। শহরে প্রবেশের জন্য চেষ্টার কোনো কমতি রাখা হলো না। বিভিন্ন রণকৌশল খাটানো হলো, সময় গড়িয়ে গেল প্রায় দুই মাসের মতো। কিন্তু, কোনোকিছুতেই কাজ হচ্ছিল না।
অবরোধের শুরুতে সুলতান মুহাম্মদ শহরের বাইরে বাইজেন্টাইনদের শক্তিকেন্দ্রগুলো ধ্বংস করার জন্য তার সেরা সৈনিকদের পাঠান। কয়েকদিনের মধ্যে বসফরাসের কাছে থেরাপিয়া দুর্গ ও স্টুডিয়াস গ্রামে মারমারা সাগরের নিকটে অনুরূপ আরেকটি দুর্গ দখল করা হয়। মারমারা সাগরে প্রিন্সেস দ্বীপপুঞ্জ এডমিরাল বালতুঘলুর নৌবহর দখল করে নেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে কামানগুলো শহরের দেয়ালের উপর গোলাবর্ষণ করতে থাকে। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে হামলা করতে না পারা এবং হামলার গতি তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় বাইজেন্টাইনরা ক্ষতিগ্রস্থ অংশ দ্রুত মেরামত করতে সক্ষম হয়।
তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ২৭ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ব্যাসিলিকা কামান দিয়ে গোলা ছুড়েও অপরাজেয় থিওডোসিয়ান দেওয়ালের খুব বেশি ক্ষতি করা যাচ্ছিল না। এই কামানের আবার একটা সমস্যা ছিল। সেটা হলো একবার গোলা নিক্ষেপ করলে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত আর কোনো গোলা নিক্ষেপ করা যেত না।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরও বালতুঘলুর অধীন উসমানীয় নৌবহরগুলো গোল্ডেন হর্নে প্রবেশ করতে পারেনি। ২১ এপ্রিল, সুলতান অদ্ভুত এক সিদ্ধান্ত নিলেন। যেহেতু অটোমান জাহাজগুলো প্রতিরক্ষামূলক চেইনের জন্য গোল্ডেন হর্নে প্রবেশ করতে পারছিল না, তাই নির্দেশ দেওয়া হলো, জাহাজগুলোকে পাহাড়ের উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার। হালিল পাশার চরম বিরোধিতার পরেও সুলতান নিজের সিদ্ধান্তে অটল রইলেন।
গাছের গুড়ির উপর মোষের চর্বির প্রলেপ দিয়ে রাতের অন্ধকারে ষাঁড় দিয়ে টেনে নেওয়া হলো জাহাজ। একরাতে প্রায় ৭০টি জাহাজ পাহাড়ি উপত্যকা পাড়ি দিয়ে গোল্ডেন হর্নে প্রবেশ করলে যুদ্ধের মোড় বদলে যায়। কারণ, গোল্ডেন হর্নে বাইজেন্টাইন জাহাজের সংখ্যা ছিল অটোমানদের তুলনায় অর্ধেক।
ফলে খ্রিস্টানদের রসদ সরবরাহকারী জাহাজগুলো বাধার মুখে পড়ে এবং বাইজেন্টাইনদের মনোবল ভেঙ্গে যায়। ২৮ এপ্রিল রাতে তারা উসমানীয় জাহাজগুলো ধ্বংস করার জন্য একটা গেরিলা আক্রমণ করে। কিন্তু উসমানীয়রা পূর্বে সংকেত পাওয়ায় খ্রিষ্টান বাহিনী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং পিছু হটে।
২৯ এপ্রিল ২৬০ জন উসমানীয় বন্দীকে উসমানীয়দের চোখের সামনে দেয়ালের উপর শিরশ্ছেদ করা হয়। ভূমির দেয়ালে বেশ কয়েকবার আক্রমণের পরও তুর্কিরা সফলতা লাভ করেনি। ভেনিসিয়ান সার্জন নিকোলো বারবারো তার ডায়েরিতে জেনিসারিদের আক্রমণের বিষয়ে লেখেন-
তারা তুর্কিদের দেয়ালের নিচ দিয়ে যুদ্ধের জন্য আসতে দেখল, বিশেষত জেনিসারিদের … এবং যখন তাদের এক বা দুইজন মারা যায়, আরো তুর্কি চলে আসে এবং মৃতদেরকে নিয়ে যায় … তারা দেয়ালের কত নিকটে এসে গিয়েছে সে বিষয়ে ভাবছিল না। আমাদের লোকেরা মৃতদেহ বহনকারী তুর্কিদের দিকে কামান ও ক্রসবোর সাহায্যে আক্রমণ করে এবং তাদের দুজনেই মৃতে পরিণত হয়, এরপর আরো একজন তুর্কি তাদেরকে নিতে এগিয়ে আসে, কেউই মৃত্যুকে ভয় পাচ্ছিল না, তারা স্বেচ্ছায় দশজন মরতে প্রস্তুত ছিল কিন্তু একজন তুর্কির লাশও দেয়ালের কাছে ফেলে রাখতে রাজি ছিল না।
যুদ্ধক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় উসমানীয়রা ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ দিয়ে দেয়ালের বাধা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। মে মাসের মধ্যভাগ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত খনন কাজ চলে। অধিকাংশ খননকারী ছিল সার্বিয়ান শাসক কর্তৃক প্রেরিত নোভো বরডোর জার্মান বংশোদ্ভূত। তাদেরকে সেনাপতি জাগান পাশার অধীনে দায়িত্ব দেয়া হয়। বাইজেন্টাইনরা জোহাননেস গ্রান্ট (বলা হয় যে তিনি জার্মান ছিলেন, তবে স্কটিশ এর ব্যাপারেও মত আছে) নামক একজন প্রকৌশলীকে নিয়োগ দেয়। তার কাজ ছিল পাল্টা সুড়ঙ্গ খুড়ে তুর্কি খননকারীদের হামলা করা। ১৬ই মে রাতে বাইজেন্টাইনরা প্রথম সার্বিয়ান সুড়ঙ্গ আবিষ্কার করে। পরবর্তী সুড়ঙ্গগুলো ২১, ২৩ ও ২৫ মে ধরা পড়ে এবং গ্রীক ফায়ার ও লড়াইয়ের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়া হয়। ২৩শে মে বাইজেন্টাইনরা দুই জন তুর্কি অফিসারকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে সুড়ঙ্গের অবস্থান জেনে নেয় ও সেগুলো ধ্বংস করে।
২১ মে সুলতান মুহাম্মদ কনস্টান্টিনোপলে একজন দূত পাঠান। শহর তার কাছে হস্তান্তর করা হলে অবরোধ তুলে নেয়া হবে বলে তিনি প্রস্তাব দেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে সম্রাট ও অন্য যেকোন বাসিন্দাকে তাদের সম্পত্তিসহ চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। তাছাড়া সম্রাটকে পেলোপোননিসের গভর্নর হিসেবে মেনে নেয়ারও প্রস্তাব দেন। সর্বশেষে তিনি শহরে যারা থেকে যাবে তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও দেন। কনস্টান্টাইন উচ্চমাত্রায় করপ্রদান ও তুর্কিদের হস্তগত হওয়া দুর্গ ও এলাকাকে উসমানীয় সম্পত্তি হিসেবে মেনে নিতে সম্মত হন। তবে কনস্টান্টিনোপলের ব্যাপারে তিনি বলেন-
আপনাকে শহর হস্তান্তর করা আমার বা এর অধিবাসীদের উপর নির্ভর করে না; আমরা সবাই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমরা আমাদের জীবনের পরোয়া করবো না।
একদিকে দীর্ঘদিনের অবরোধ, খাদ্যের সংকট, বার বার ব্যর্থ হওয়া এবং কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন উসমানীয় সৈন্যরা। এই অবস্থার মধ্যে সুলতান মুহাম্মদ তার উচ্চপদস্থ অফিসারদের সাথে চূড়ান্ত বৈঠক করেন।সুলতানের অন্যতম প্রধান উজির হালাল পাশা সুলতানকে সতর্ক করে দিয়ে অবরোধ উঠিয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হালিল পাশা যিনি সবসময় সুলতানের শহর জয়ের পরিকল্পনার বিরোধিতা করতেন, সুলতানকে সতর্ক করে অবরোধ তুলে নিতে বলেন। কিন্তু সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ ছিলেন অদম্য। তিনি হাল ছেড়ে না দিয়ে হালাল পাশাকে প্রত্যাহার করেন এবং তার স্থানে জাগান পাশাকে নিয়োগ দেন। জাগান পাশা অবিলম্বে আক্রমণের পক্ষে ছিলেন। এরপর ২৬ মে চূড়ান্ত আক্রমণের ঘোষণা দেন। ২৮ মে সৈনিকদের দোয়া ও বিশ্রামের জন্য মঞ্জুর করা হয়। সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহর ইমামতিতে প্রায় ৭০ হাজার সৈন্য একসাথে জায়ামাতে নামাজ আদায় করে।
২৯ মে মধ্যরাতের পর থেকে চূড়ান্ত আঘাত হানে উসমানীয়রা। সম্রাট কনস্ট্যান্টাইন সর্বোচ্চ প্রতিরোধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অবশেষে উসমানীয় সৈন্যরা শহরে ঢুকে পড়ে। যখন একটি ফটকে উসমানীয় পতাকা দেখা যায় তখন কনস্ট্যান্টাইনের সৈনিকরা মনোবল হারিয়ে ফেলে।সম্রাট কনস্ট্যান্টাইনের কি হয়েছিল সে বিষয়ে কিছু জানা যায় না, তবে অনেকের ধারণা তিনি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
উসমানীয় সৈন্যদের ক্ষিপ্র আক্রমণের মুখে এক পর্যায়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে যায় এবং শহর মুসলমানদের অধিকারে চলে আসে। সহস্র বছরের রক্তক্ষয়ী প্রচেষ্টার পর কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের মুখ দেখতে পায় তারা। এ বিজয় মুসলমানদের। রাসূল (সঃ) এর একটা হাদীসকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শত সহস্র বীর তাদের নিজেদের জিবন বিলিয়ে দিতেও কার্পণ্য করেনি। অবশেষে সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহর হাত ধরে বাস্তবায়িত হয় রাসূল (সঃ) এর সেই ভবিষৎবাণী।
কনস্টান্টিনোপলে বিজয়কে ১৫০০ বছরের মত টিকে থাকা রোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উসমানীয়দের এই বিজয়ের ফলে উসমানীয় সেনাদের সামনে ইউরোপে অগ্রসর হওয়ার পথে আর কোনো বাধা থাকল না। খ্রিষ্টানজগতে এই পতন ছিল বিরাট ধাক্কার মত। বিজয়ের পর সুলতান মুহাম্মদ তার রাজধানী এড্রিনোপল থেকে সরিয়ে কনস্টান্টিনোপলে নিয়ে আসেন। শহর অবরোধের আগে ও পরে শহরের বেশ কিছু গ্রীক ও অগ্রীক বুদ্ধিজীবী পালিয়ে যায়। তাদের অধিকাংশ ইতালিতে চলে যায় এবং ইউরোপীয় রেনেসাতে সাহায্য করে।
বেশ কিছু ইতিহাসবিদ কনস্টান্টিনোপলের বিজয় ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতনকে মধ্য যুগের সমাপ্তি হিসেবে দেখেন।
This is a Bengali article. It is about The conquest of Constantinople by the Ottomans.
Necessary references have been hyperlinked inside the article.
Featured Image: getty image