পাশ্চাত্যের উদারপন্থী মূলনীতিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে নারীবাদ বা নারী স্বাধীনতা। অর্থাৎ নারী যা খুশি তাই করতে পারবে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তার উপর কোনো বিধান চাপিয়ে দিতে পারবে না। সবদিক দিয়ে নারী থাকবে স্বাধীন, পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারাও কাজ করতে পারবে সমাজ বা রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে। স্বাধীনতা থাকবে পোশাক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রেও।
মানবতা, অধিকার আর স্বাধীনতার বুলি আওড়ানো পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থা কি আদৌ মানুষের ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে পেরেছে? দিতে পেরেছে নারীর অধিকার বা নারী স্বাধীনতা? তা বর্তমানে তাদের কিছু ইসলাম বিদ্বেষী সিদ্ধান্তের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ইউরোপ এবং অ্যামেরিকা আমাদের কাছে স্বপ্নের দেশ। সেখানে স্বাধীনতা আছে, নারী পুরুষের সম-অধিকার আছে, সেখানে চাইলেই পাওয়া যায় সোনার হরিণ। এমনটাই তো আমাদের ধারণা। কিন্তু বাস্তবতা কি আসলেই তাই?
দেশে দেশে বোরকা নিষিদ্ধ, হিজাব নিষিদ্ধ, আযান নিষিদ্ধ, মসজিদের মিনার ও মসজিদ ধ্বংসের মতো হীন কাজ শুরু হয়েছে পাশ্চিমাদের হাত ধরেই। খেলাফত হারানোর পর থেকেই মুসলিমরা হয়ে ওঠে পশ্চিমা সভ্যতার প্রধান প্রতিপক্ষ। নব্বইয়ের দশকে হার্ভাডের স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন তার ‘ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশন’ বইয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
পৃথিবী যত আধুনিকতা আর উৎকর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী ইসলামিক বিধি-নিষেধগুলোর প্রতি ততই বাধা আসছে। আজকে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধের ইতিহাস জানার চেষ্টা করব। জানার চেষ্টা করব কিভাবে স্বাধীনতার ফেরিওয়ালারা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর উপর তাদের তৈরি মতবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে, অথচ নিজ দেশে খর্ব করছে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা।
ফ্রান্স
এইতো কিছুদিন আগে বাক স্বাধীনতার কথা বলে হযরত মুহাম্মদ (স)-এর ব্যাঙ্গাত্মক চিত্র দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখেছিল ফ্রান্স। প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ জানিয়েছিল সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে তারা এই কার্যক্রম থেকে সরে আসবে না। অথচ তারাই, ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করে বোরকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ফ্রান্স ইউরোপের প্রথম দেশ, যারা ইসলামের এই অপরিহার্য বিধানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। শুধু বোরকাই নয়, হিজাব, নিকাব এমনকি মুখ ঢেকে রাখে এমন কোন পোশাক পরা যাবে না। এমন কোন হেলমেট ব্যবহার করা যাবে না যাতে মানুষকে চিনতে অসুবিধা হয়। শাস্তি হিসেবে কারাদণ্ডের পাশাপাশি রাখা হয় মোটা অঙ্কের জরিমানার ব্যবস্থাও। ফ্রান্সে প্রায় ৫১ লক্ষ মুসলমান বসবাস করে। যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬ শতাংশ। পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সেই সবচেয়ে বেশি মুসলিম বসবাস করে।
সেসময়কার ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ঘোষণা করেন যে ফ্রান্সে বোরকা পড়া চলবে না। ফ্রান্সের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের সঙ্গে এটিকে সংঘাতপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন তিনি। ফ্রান্সে বোরকা পড়লে ৩২ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে আইনে। এর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত পর্যন্ত গিয়েছিল ফ্রান্সের মুসলিমরা। কিন্তু তাদের চেষ্টা সফল হয়নি।
বেলজিয়াম
ফ্রান্সের পর ইউরোপের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বোরকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেলজিয়াম। ২০১১ সালের জুলাই মাসে এই আইনটি কার্যকর করা হয়। এ আইন ভঙ্গ করলে ১৯৭ মার্কিন ডলার জরিমানা বা সর্বোচ্চ সাতদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬ শতাংশ মুসলমান।
বেলজিয়ামের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে আইনটি পাস করা হয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এর বিরুদ্ধে নিন্দা জানালেও তেমন কোনো লাভ হয়নি। সে দেশের সরকার জানিয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে কোন ব্যক্তি বোরকা, হিজাব কিংবা মুখ ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরতে পারবেন না।
নেদারল্যান্ডস
২০১৫ সালে নেদারল্যান্ডসে বোরকা নিষিদ্ধের আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু এই আইনটি কার্যকর হয় ২০১৯ সালের ১ আগস্ট। জনসন্মুখে, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হসপিটাল কিংবা সরকারি অফিস, পার্ক ইত্যাদি জায়গায় কোন নারী ইসলামিক পোশাক পরতে পারবে না। প্রথমত, এর জন্য নিরাপত্তা বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হয়। দ্বিতীয়ত, ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ইসলামী পোশাকের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
বোরকা, হিজাব, নিকাব, মুখোশ এবং মুখ ঢেকে রাখে এমন সকল পরিধান সেদেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বোরকা পরা নারীদের হেনেস্তা এবং কোণঠাসা করে রাখার প্রবণতা এই দেশে খুব বেশি। সরকার বলছে জননিরাপত্তাই এমন নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ৷ মুখ ঢাকা থাকলে ১৫০ থেকে ৪৫০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে ডাচ আইনে৷
সুইৎজারল্যান্ড
উদারপন্থী লিবারেল দেশ হিসেবে পরিচিত সুইৎজারল্যান্ড। অপরূপ সৌন্দর্যময় এই দেশটিতে প্রায় ৬ শতাংশ মুসলমানের বাস। ২০১৩ সালে দেশটির ইতালীয় ভাষাভাষীদের এলাকা টিসিনোতে বোরকা নিষিদ্ধের ওপর ভোট হয়৷ নিষিদ্ধ করার পক্ষে পড়ে ৬৫ শতাংশ ভোট৷ এরপর ২৬টি শহরে বোরকা নিষিদ্ধ হয়৷ দেশটিতে কেউ জনসমক্ষে বোরকা পড়লে ৯ হাজার ২০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সুইস গণভোটে এর আগেও ইসলাম একটি ইস্যু হয়ে উঠেছিল। ২০০৯ সালে এক গণভোটে সেদেশের জনগণ সরকারি পরামর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে মসজিদের মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেন। তাদের যুক্তি ছিল, মসজিদের মিনার ইসলামিকরণের একটি চিহ্ন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ই মার্চ, সমগ্র সুইৎজারল্যান্ডে আইন করে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোন নারী মুখ ঢেকে রাখতে পারবে না। অথচ করোনার জন্য সেদেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সুইৎজারল্যান্ডের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল দ্য সুইস পিপলস পার্টি প্রস্তাবের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয়। তাদের বিলি করা একটি প্রচারপত্রে বোরকা পরা এক নারীর চিত্র ব্যবহার করে লেখা হয়েছে, ‘ইসলামী উগ্রবাদ থামাও’। এটা ইসলাম বিদ্বেষ ও ইসলামফোবিয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারণা।
যুক্তরাজ্য
ব্রিটেনে প্রচুর মুসলিমের বাস, তাই সেখানে কোনো ইসলামি পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই৷ তবে স্কুলগুলোতে নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হয়৷ ২০০৭ সালে বেশ কয়েকটি মামলার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে, স্কুলে কেউ বোরকা বা নিকাব পরতে পারবে না৷ যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩৩ লক্ষ মুসলমানের বাস। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪.৫ শতাংশ।
স্পেন
বলা হয়ে থাকে বর্বর ইউরোপকে সভ্যতার আলো দেখিয়েছিল মুসলিমরা। যুদ্ধপ্রবণ ইউরোপ যখন একে অপরের প্রতি হিংসাত্মক ধ্বংসলীলায় ব্যস্ত তখন স্পেনে আটশো বছরের মুসলিম শাসন শান্তি ও সভ্যতার বার্তা ইউরোপের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়। সে সময় ইউরোপের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প সাহিত্য, শিক্ষা ও গবেষণার মূল ভূখণ্ড ছিল গ্রানাডা, কর্ডোভাসহ মুসলমানদের তৈরা করা শহরগুলো। দীর্ঘ আটশো বছরে যদি মুসলিমরা বিধর্মীদের প্রতি সামান্য নির্যাতনও করত তাহলে স্পেন, পর্তুগালে আজ আর কোনো গীর্জা কিংবা খ্রিষ্টান দেখা যেত না।
অথচ, আজ স্পেনে মুসলমানদের তৈরি করা প্রাচীন স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। অধিকাংশ মসজিদ গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলোকে গীর্জায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতিও।
সমগ্র স্পেনে বোরকা পরা নিষিদ্ধ নয়। তবে সেদেশের বার্সেলোনাই ইসলামের অপরিহার্য এই পোশাকের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাবলিক প্লেস, রাস্তা, পার্ক কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনো নারী পোশাক পরতে পারবে না। আইন ভঙ্গ করলে কারাদণ্ড ছাড়াও মোটা অংকের জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ইতালি
ইতালির বেশ কয়েকটি শহরে নিকাব নিষিদ্ধ। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নোভারা কর্তৃপক্ষ সেখানে আইন করে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে। ‘৭০-এর দশকেই মুখ ঢেকে রাখা সব ধরনের ইসলামিক পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইতালি।
ডেনমার্ক
২০১৮ সালের ৩১ মে ডেনমার্কে বোরকা, হিজাব, নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫.৪% মুসলিম। সংখ্যায় যা প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ। সরকারি নির্দেশনায় জানানো হয় জনসম্মুখে কোনো নারী ইসলামী লেবাস পড়তে পারবে না। এতে নাকি সে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হয়। তাই প্রকাশ্যে বোরকা পড়লেই জরিমানা গুনতে হবে ১৫৬ থেকে সর্বোচ্চ ১৫৬০ মার্কিন ডলার।
তিউনিসিয়া
মুসলিম প্রধান দেশ তিউনিসিয়া। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৯.১ শতাংশই মুসলিম। তিউনিসিয়ায় ২০১৯ সালের ৫ জুন গণজমায়েতের স্থান, গণপরিবহন ও সরকারি অফিস-আদালতে নেকাব নিষিদ্ধ করে তিউনিসিয়া সরকার। জঙ্গি আক্রমণ মোকাবেলাই এর প্রধান কারণ বলে জানায় আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান দেশটির সরকার।
জার্মানি
বলা হয়ে থাকে জাতি হিসেবে জার্মানরা বেশ উদার। কিন্তু উদার এই দেশটিতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বোরকা। দেশটির বাডেন ভুর্টেমব্যার্গ রাজ্যের স্কুলে বোরকা-নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, স্কুলে বোরখা বা নিকাব পরে যাওয়া যাবে না। এমন কিছু পরা যাবে না, যা মুখ ঢেকে রাখে। আগেই শিক্ষিকাদের জন্য এই নিয়ম জারি করেছিল রাজ্যটি।
তাজাকিস্তান
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়ার মুসলিমপ্রধান দেশ তাজিকিস্তান বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধ করে৷ ৯৮ শতাংশ মুসলিমের এই দেশে ইসলামি মুখঢাকা পোশাক পরার চেয়ে দেশটির ঐতিহ্যগত পোশাক পরায় মনোযোগী হতে নারীদের আহ্বান জানায় দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়৷ এই আইন অমান্য করলে কোনো সাজার ব্যবস্থা রাখা হয়নি, তবে শিগগিরই জরিমানা বা কারাদণ্ড চালু করা হতে পারে বলে আলোচনা চলছে দেশটিতে৷
মরক্কো
আফ্রিকার ৯৯ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বীর দেশ মরক্কোতে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বোরকার উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়৷ তবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি দেশটির সরকার৷ বোরকা পরার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিনা, তাও স্পষ্ট করা হয়নি৷ এর ফলে দেশটিতে এখনও এ নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে৷
এছাড়া ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া ও বুলগেরিয়াও প্রকাশ্যস্থানে মুখ-ঢাকা পোশাক পরার ওপর পূর্ণ বা আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আরো পড়ুনঃ
এরদোয়ান: রুটি বিক্রেতা থেকে মুসলিম বিশ্বের নেতা
অপারেশন সূর্য দীঘল বাড়ী: কল্পনাকেও হার মানায় যে কমান্ডো অভিযান
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি ভ্যাক্সসিন ফাইজার এবং মোডের্না কোম্পানির ইতিহাস
আযান নিষিদ্ধ যেসব দেশে
বোরকার পাশাপাশি বেশ কিছু দেশে প্রকাশ্যে আযান দেওয়াতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে আযান দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। স্পেনসহ ইউরোপের অনেকটি দেশেই উচ্চস্বরে আযান দেয়া নিষেধ রয়েছে, তবে মসজিদের মধ্যে আযান দেওয়াতে কোনো সমস্যা নেই।
২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানের একটি মসজিদে উচ্চস্বরে আজান দেয়া নিষিদ্ধ করেছে সেই দেশের একটি হাইকোর্ট। ২০১৩ সালে মুসলমানদের আযান দেওয়ার নিয়ম বেঁধে দেয় জার্মানি। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সালে সেদেশের নিম্ন আদালতে আযাদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ২০২০ সালের ২১শে জানুয়ারিতে ভারতের এলাহাবাদে দুটো মসজিদে আযানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এছাড়া যুগে যুগে বিভিন্ন দেশে বোরকা ও আযান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সময়ে পরিক্রমায় অনেক দেশেই তা শিথিল হয়েছে। সেক্যুলার আতাতুর্ক সরকার তুরস্কে বোরকা, আযানসহ সব ধরণের ইসলামী বিধান নিষিদ্ধ করেছিল। তুরস্কে আযান দেওয়ার অপরাধে ১৯৬১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী আদনান মেন্দেরেসকে। বর্তমানে তুরস্কে সব আইন শিথিল করা হয়েছে।
This is a Bengali article. It is written about the ban on burqas in different country.
Featured Image: Middle East Eyes
All links are hyperlinked