লিখুন
ফলো

স্টেট অফ গ্রেইস (1990) : নাইন্টিজের আন্ডাররেটেড জেম

গ্যাংস্টার বা মব নিয়ে মুভি বানানোর ব্যাপারটাকে একেবারে নিজের স্পেশালিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন কিংবদন্তি মার্টিন স্করসেজি। মব বা গ্যাংস্টার জনরার ব্যাপারে কথা বলতে গেলে আপনাকে অবশ্যই তাঁর নাম নিতে হবে। নব্বইয়ের দশকে তিনি মব রিলেটেড যে সকল সিনেমা বানিয়েছেন, সেগুলোর জন্য মানুষ তাঁকে স্বরণ করবে সবসময়। তাঁর বানানো সিনেমাগুলো বিশ্ব চলচ্চিত্রের সম্পদ। স্টেট অফ গ্রেইস (১৯৯০) সিনেমার রিভিউ লিখতে গিয়ে কেন মার্টিন স্করসেজির গুণগান করছি সেটি ভেবে অবাক হতে পারেন। এই গুণগানের কারণ এই জনরার অবিসংবাদিত সম্রাট তিনি৷ তাছাড়া এই মুভি মুক্তি পায় তাঁর নির্মিত গুডফেলাস (১৯৯০) এর কাছাকাছি সময়ে। এবং আপনি যদি সিনেমার ব্যাপারে খোঁজখবর রাখেন, তাহলে গুডফেলাস (১৯৯০) আর তার লেগেসি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই। অনেকের মতে স্টেট অফ গ্রেইস (১৯৯০) বক্স অফিসে আরো অনেক বেশি সফল হতো যদি এটি গুডফেলাস (১৯৯০) এর কাছাকাছি সময়ে মুক্তি না পেত।

তো, উপরের আলোচনা থেকে এটি তো বুঝতে পারছেন যে স্করসেজির মাস্টারক্লাসের সাথে এই মুভির তুলনা চলে না। মুভির প্লট বা স্ক্রিনপ্লেও গ্রাউন্ড ব্রেকিং টাইপের কিছু না। কিন্তু ইন্ডিভিজ্যুয়াল পার্ফম্যান্স, স্টোরি, ডিরেকশন; সর্বোপরি যত্নের সাথে নির্মাণের কারণে এই গ্যাংস্টার বা মব ফিল্ম নিজের উপকরণের উপরে ভিত্তি করেই আপনার ওয়াচ টাইমের দাবিদার। বর্তমানে কোন স্ট্রীমিং প্ল্যাটফর্মে না থাকায় কিনেই এই মুভি দেখতে হবে। এটির আইএমডিবি রেটিং ৭.২। রটেন টমাটোজে টমেটোমিটারে ৮৪% ফ্রেশনেস এবং ৮৩% অডিয়েন্স স্কোর নিয়ে অবস্থান করছে। ২ ঘন্টা ১৪ মিনিটের এই মুভিটি মুক্তি পায় ১৯৯০ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর।

স্টেট অফ গ্রেইস
Photo Courtesy : dvdizzy.com

দেরি না করে আসুন এই মুভিতেই মনোযোগ দেই। স্টেট অফ গ্রেইস (১৯৯০) এর পরিচালক ফিল জনু। স্ক্রিনপ্লে এবং সিনেম্যাটোগ্রাফিতে আছেন যথাক্রমে ডেনিস ম্যাকিনটায়ার এবং জর্ডান ক্রোনেনওয়েথ। মিউজিক কম্পোজ করেছেন কিংবদন্তি এনিও মোরিকোনে। এনিও মোরিকোনে সংশ্লিষ্ট আছেন এমন কোন কাজ না দেখার রিস্ক নেবেন কিনা সেটা আপনার ব্যাপার, তবে আমার সে সাহস নেই। এটি অবশ্যই তার সবচেয়ে শক্তিশালী কাজ না, কিন্তু নিজের ক্লাস এখানেও ধরে রেখেছেন তিনি।

Photo Courtesy : talkfilmsociety

অভিনয়ে আছেন শন পেন এবং গ্যারি ওল্ডম্যান; ঐ দশকের জনপ্রিয় অভিনেতাদের অন্যতম ছিলেন উভয়ই। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছে এড হ্যারিস। এছাড়াও আছেন জন টারটুরো, রবিন রাইট, জন সি রাইলি, আর ডি কল, জো ভিটেরেলি।

মুক্তির পর গুডফেলাস (১৯৯০) এর ছায়ায় পড়ে থাকলেও সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে এই মুভি।

বাস্তবের হেল’স কিচেন ভিত্তিক আইরিশ আমেরিকান গ্যাং ওয়েস্টিজ এর করা অপরাধমূলক কাজসমূহ থেকে অনুপ্রাণিত স্টেট অফ গ্রেইস (১৯৯০)। তারা সক্রিয় ছিলো গত শতকের ষাট থেকে আশির দশক পর্যন্ত।

তাদের আওতায় ছিলো হেল’স কিচেনসহ নিউ ইয়র্কের আরো কিছু এলাকা এবং নিউ জার্সির কিছু অংশ। কালোবাজারি, মাদকদ্রব্য বিক্রি এবং কন্ট্রাক্ট কিলিং ছিলো তাদের জন্য নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

Photo Courtesy : rearviewmirror

স্টেট অফ গ্রেইস (১৯৯০) এর পুরোটাজুড়েই আপনি দেখবেন এর গল্প দোটানায় ভুগছে। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় এই মুভি নিশ্চিত করে দর্শকদের বলছে না যে আসলে কোনটা খারাপ; খুনোখুনি নাকি নিজের এলাকায় কর্মজীবী তরুণ লোকজনের আগমন? যাদের আগমনে হয়তো থাকার জায়গা হারাতে পারে আপনার আপন কিন্তু সমাজের কোন উপকারে আসে না এমন লোকজন। কিন্তু ভয় পাবেন না; কারণ এই দোটানার মধ্যেই লুকিয়ে আছে মুভিটার আসল সৌন্দর্য। এই মুভি একই সাথে অত্যন্ত আন্তরিক আবার ঠিক ততটাই দ্বিধান্বিত। এই দুইটি বিপরীত বোধের সমন্বয়ে রচিত গল্পটি যেন এর চরিত্রগুলোকেই প্রতিফলিত করে। কারণ এর চরিত্রগুলোর মধ্যে আমরা অবলোকন করি কান্ডজ্ঞানহীন আনুগত্য এবং  হিংস্র বিকারগ্রস্থ মানসিকতা। এখানকার চরিত্রদের বেশিরভাগই আইরিশ-আমেরিকান গ্যাংস্টার অথবা কোন না কোনভাবে গ্যাংস্টারদের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এইসব গ্যাংস্টারদের অধীনে থাকা অঞ্চল হলো টাইমস স্কয়ারের পশ্চিমে অবস্থিত নিউ ইয়র্কের হেল’স কিচেন এলাকা।

কিন্তু এই গ্যাংস্টার হিসেবেও যে তারা খুব সফল তা বলা যায় না। কেননা আমরা দেখতে পাই তাদের এলাকায় আনুষঙ্গিক ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অনেক গ্যাংস্টারই এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে।

ছবির গল্পের শুরু হয় একটি শ্যুট আউটের মাধ্যমে। তারপর একইসাথে প্রত্যাবর্তন এবং পুনর্মিলনী দেখতে পাই আমরা। টেরি নুনান (শন পেন) একটা সময় এই হেল’স কিচেনেরই বাসিন্দা ছিলো। মাঝখানে অনেকদিন তার কোন খোঁজ ছিলো না। সে এলাকায় ফিরে তার বন্ধু জ্যাকি ফ্ল্যানারি (গ্যারি ওল্ডম্যান) এর সাথে দেখা করতে যায় একটি মদখোর এবং গ্যাংস্টারে পরিপূর্ণ স্যালুনে।

কাহিনী এগোবার সাথে সাথে আমরা লক্ষ্য করি এই এলাকায় অপরাধ আসলে একটি পারিবারিক পেশা বা ঐতিহ্য। আইরিশ গ্যাং এর লিডার হলো জ্যাকির বড় ভাই। যার নাম ফ্র্যাঙ্কি ফ্ল্যানারি (এড হ্যারিস)। গ্যাং লিডার হলেও সে চলে গেছে তার নিজের এলাকা হেল’স কিচেন ছেড়ে। সর্বদাই তার সাথে থাকে অনেক সহচর। সে এখন বাস করে শহরতলীর গাছপালায় ছাওয়া সুসজ্জিত সুন্দর বাড়ীতে। হেল’স কিচেনে সংঘটিত হওয়া ড্রাগ ডিলের টাকা এখানে আসতে পাড়ি দেয় অনেকখানি পথ। এখানে ফ্র্যাঙ্কিকে দেখলে যে কেউই সাধারণ মধ্যবিত্ত আমেরিকান ভেবে ভুল করবে। ফ্র্যাঙ্কি আর জ্যাকির একটি বোনও রয়েছে। তার নাম ক্যাথলিন। এই ক্যাথলিনও ছেড়ে গেছে তার এলাকা। সে চায় তার ভাইদের প্রভাবমুক্ত এলাকায় সুখে, শান্তিতে থাকতে এবং মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত আগ্রহ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে। সে এখন একটি হোটেলে ক্লার্ক হিসেবে কাজ করে। টেরির সাথে তার একসময় প্রণয় ছিলো। আবার দেখা হলে তাদের মধ্যে কি পুরনো টান দেখা দেবে? এই প্রশ্নের উত্তর থাকুক সময়ের হাতে।

এই সিনেমার মোড় ঘুরে যাবে একটা প্লট টুইস্টের মাধ্যমে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের আগে সেটা প্রকাশ করা হয় না। যাই হোক, আসুন আমরা এই সিনেমার অন্যান্য দিক নিয়ে কথা বলি।

Photo Courtesy : onthesetofnewyork

এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গেলে আপনাকে অবশ্যই গ্যারি ওল্ডম্যানকে বাহবা দিতেই হবে। গল্পের জন্য নিজেকে পুরোপুরি জ্যাকিতেই পরিণত করেছেন যেন তিনি।

জ্যাকিকে দেখলে আপনার মনে হবে সে কিছুটা ক্ষ্যাপাটে ধরণের। অবশ্য স্ক্রিনে তার মদ গেলা আর একের পর এক সিগারেট পানের দিকে দেখলে তার পাগলামো দেখে আপনি অবাক হবেন না মোটেও। এগুলোর একটু প্রভাব তো থাকবেই! তার মাঝে কিছুটা বিভ্রমও আছে। নিজেকে মেসাইয়াহ বা চোজেন ওয়ান ভাবে সে। তার কাছে মনে হয় এই যে সে নানা অপরাধ করছে, এগুলো আসলে সে তার এলাকার কল্যাণের এবং এখানকার মানুষের ভালোর জন্যেই করছে। যদিও আমরা দেখি তার গ্যাংয়ের মূল ব্যবসা আসলে ড্রাগ বিক্রি করা। সামাজিক দায়িত্বের ফলে কিছু কাজ সে বিনা পয়সাতেই করে দেয়। যেমন : চাকুরিজীবীরা এসে যেন নিজের এলাকার লোকজনকে তাড়িয়ে দিতে না পারে, এজন্য সে টেরিকে সাথে নিয়ে একটি নির্মীয়মান ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।

Photo Courtesy : medium

এই যে অগ্নিসংযোগের ঘটনা, এটিকে রোমাঞ্চকর বা মজাদার করার ব্যাপারেও একটি আইডিয়া চলে আসে তার মাথায়। সে দরজা থেকে নিজে যে স্থানে দাঁড়িয়ে আছে, সেখান পর্যন্ত গ্যাসোলিন ঢালে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর দৌড়ে আগুনের দরজা পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই সে ঐ দরজা দিয়ে বের হতে পারে কিনা সেটি পরখ করে দেখে। রাতের বেলা ছাদে মদ বা বিয়ারের বোতল দিয়ে টার্গেট প্র্যাকটিস করে আবার মৃত মানুষের হাত কেটে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেয়। মোট কথা, জ্যাকি যেকোন কিছুই করতে পারে।

তার কাজকর্ম আপনাকে স্তম্ভিতও করে দেবে যখন দেখবেন জ্যাকি কতটা সহজে মানুষ হত্যা করতে সক্ষম। তার কোনকিছু না ভেবে হুটহাট কিছু একটা করে বসা পুরো মুভিজুড়েই বিদ্যমান। একটা বারে সে ইতালিয়ান মাফিয়ার সাথে আকস্মিকভাবে যে আচরণ করে, তা তো পুরো গল্পের খোলনলচেই পাল্টে দেয়। এবং এই দৃশ্য এতটা আকস্মিকভাবে ঘটে যে দর্শকরা এর জন্য তৈরী হওয়ার সুযোগই পান না। ভাইবোন বা নিজের এলাকার প্রতি ভালোবাসা, বন্ধুবাৎসল্য, বিভ্রম এগুলো জ্যাকির সহজাত প্রবৃত্তি। তার আচরণ তাড়িত হয় তার সহজাত প্রবৃত্তি, সংস্কার, ভয় বা প্রতিহিংসা দ্বারা। জ্যাকির চরিত্রের এই অনুভূতিগুলোর নিখাদ প্রকাশ ঘটেছে গ্যারি ওল্ডম্যানের পার্ফম্যান্সে। গ্যারি ওল্ডম্যানের তো এমনিতেই অনবদ্য পার্ফম্যান্সের অভাব নেই, জ্যাকি চরিত্রে ওঁনার পার্ফম্যান্সও দাগ কাটবে আপনার হৃদয়ে।

Photo Courtesy : parkcircus

শন পেনের করা টেরি নুনান চরিত্রে যতটুকু অভিনয় করা সম্ভব ছিলো ততটুকু খুব ভালোভাবেই করেছেন তিনি। গল্প অনুযায়ী তার চরিত্রকে পার করতে হবে নানা ঘাত-প্রতিঘাত, অত্যাচার-যন্ত্রণা। বিদগ্ধ হতে হবে নিজের বিবেকের অনলে। বিশেষ করে মুভির দ্বিতীয়ার্ধে টেরি নুনানের মধ্যে যে দোটানা কাজ করে, তা পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ পেয়েছে তার পার্ফম্যান্সে। নিজের করা কাজ ভালো হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার সময় তার অভিব্যক্তিগুলো একদম টপ নচ। বিবেকের তাড়নায় টেরি নুনান চরিত্রের অসহায়ত্ব প্রকাশে তার এই উক্তিটি একদম যথার্থ, “এই পৃথিবীতে কেউই আসলে কাউকে কিছু করছে না, তাও সব হয়ে যাচ্ছে।”

আরো পড়ুনঃ

ডু দ্যা রাইট থিং (1989) : স্পাইক লির ম্যাগনাম ওপাস যা তিন দশক পর এখনও প্রাসঙ্গিক
নেটফ্লিক্সের বিবর্তন : একটি ডিভিডি রেন্টাল কোম্পানি যেভাবে পরিণত হলো বিশ্বের জনপ্রিয়তম স্ট্রীমিং প্লাটফর্মে

প্রয়োজনের সময় কঠিন হতে হলে টেরি ঠিকই দাঁড়িয়ে যায় বুক চিতিয়ে।

ক্যাথলিন ফ্ল্যানারি নিজের এলাকা ছাড়ে শান্তির জন্য। কিন্তু নিয়তি আবার তাকে দাঁড় করিয়ে দেয় পরিচিত অশান্তির সামনে। ক্যাথলিনের অভিব্যক্তির প্রকাশে রবিন রাইট ছিলেন দুর্দান্ত।

এই মুভির কিছু জায়গা আপনাকে জীবনের চিরকালীন অনিশ্চয়তার কথা মনে করিয়ে দেবে। ভবিষ্যত নিয়ে আপনার পরিকল্পনা যে যেকোন সময় ভেস্তে যেতে পারে সেটি দেখিয়ে দেবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে। যেমন : জ্যাকির বড় ভাই ফ্র্যাঙ্কি সবসময় পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়তে চায়। যেসকল অপরাধমূলক কাজ তার টেবিলে খাবার নিয়ে আসে সেগুলোর সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি সে চেপে যেতে চায়। কিন্তু ঘটনার পরিক্রমায় তাকে দাঁড়াতে হয় দুটি বিকল্পের সামনে। একটিকে বেছে নিলে সে শ্রেষ্ঠতরের টিকে থাকার লড়াইতে সে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারবে। কিন্তু তার বদলে তাকে কষ্ট বয়ে বেড়াতে হবে চিরদিন। আর অন্যটি বেছে নিলে তাকে কষ্ট বয়ে বেড়াতে হবে না কিন্তু সে জীবনের লড়াইতে টিকে থাকতে পারবে না, সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন হয়ে যাবে ধূলিস্যাৎ।সে বেছে নেবে কোনটা?

Photo Courtesy : blogprofilm

এই জায়গায় এসে আপনি এই ধারা অন্যান্য ফিল্মের সাথে সাদৃশ্য খুঁজে পাবেন। কিন্তু ভালো ক্যারেক্টারাইজেশনের কারণে ভালোই উপভোগ করতে পারবেন স্টেট অফ গ্রেইস। কারণ এই মুভির সৌন্দর্য এবং অরিজিনালিটি এর চরিত্রসমূহ এবং তাদের আচার-আচরণের মাঝেই নিহিত।

‘স্টেট অফ গ্রেইস’ বলে একটি কথা এমনিতেও ইংরেজি ভাষা এবং খ্রিস্টধর্মে রয়েছে। খ্রিস্টীয় ধর্মতত্ত্ব মতে এটি দ্বারা এমন একটি অবস্থাকে বোঝানো হয় যখন একজন মানুষ স্রষ্টার নৈকট্যে থাকে। তখন তার মনে বিরাজ করে শান্তি।    টেরি নুনানও মূলত হেল’স কিচেনে ফেরে মানসিক শান্তির জন্যই। সে কি পারে ‘স্টেট অফ গ্রেইস’ অর্জন করতে?

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে এবং গ্যাংস্টার জনরার ফ্যান হয়ে থাকলে এই মুভি দেখে ফেলা দরকার আপনার। এখানকার কুশীলবদের শক্তিশালী অভিনয় চেনা গল্প এবং প্রেক্ষাপটকে ম্যাড়মেড়ে হতে দেবে না বরং আপনি এই মুভি শেষ করবেন ভালো একটি মুভি দেখার তৃপ্তি নিয়ে।

This is a Bangla Article. This is a review of “The State of Grace (1990)” movie.

All Links are hyperlinked

Featured image taken from Google

Total
0
Shares
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Article

উপন্যাস: আসমান

Next Article

দ্বিচক্রযান বা সাইকেল : যেভাবে ইতিহাসের পথে চলতে চলতে বর্তমান রুপ পেলো সাইকেল [পর্ব : ১]

Related Posts

নেটফ্লিক্সের বিবর্তন : একটি ডিভিডি রেন্টাল কোম্পানি যেভাবে পরিণত হলো বিশ্বের জনপ্রিয়তম স্ট্রীমিং প্লাটফর্মে [পর্ব : ২]

পূর্বের অংশের পর থেকে ২০১৩ : ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল ছিলো নেটফ্লিক্সের জন্য ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়। ২০১৩ সাল থেকেই…

ওয়ান্ডাভিশন: সিটকমের আড়ালে রহস্যঘেরা ব্যতিক্রমী এক সুপারহিরো সিরিজ

(এই রিভিউতে ওয়ান্ডাভিশন সিরিজের বেশ কিছু মূল ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই সিরিজটি না দেখে থাকলে স্পয়লারের…

বয়েজ অ্যান দ্যা হুড (1991) : আমেরিকান পপ কালচার বদলে দেয়া কামিং-অফ-এইজ ফিল্ম

বয়েজ অ্যান দ্যা হুড (১৯৯১) একটি আমেরিকান কামিং-অফ-এইজ হুড ড্রামা ফিল্ম। হুড ফিল্ম বলতে ঐ জনরাকে বোঝানো হয়…

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন

Total
0
Share