পাস্তা যা এখনকার দিনগুলোতে খাবারের মধ্যে খুবি জনপ্রিয় একটা নাম। সন্ধ্যা বেলায় ঘরে-বাইরে কোন খাবারের কথা যদি বলা হয় তাহলে কারো কারো পছন্দের প্রথম সারিতেই থাকে পাস্তা।
আজকে আমরা জানবো অত্যন্ত মুখরোচক এই খাবার নিয়ে যা আমাদের কম বেশি সবারই পছন্দের তালিকায় আছে। খাবারটি হচ্ছে ইটালির বেশ বিখ্যাত খাবার পাস্তা। যা অনেক কাল ধরেই বিখ্যাত হয়ে আছে এর গুণগত মান, স্বাদ, মানুষের পছন্দনীয় খাবারে স্থান নিয়ে। আটা, গম দিয়ে বানানো খুবই সুস্বাদু এই খাবার আজকের এই জনপ্রিয় স্থানে আসার পথ এতটাই মসৃণ ছিল না। আজ থেকে প্রায় কয়েকশো বছর আগে প্রথম আবিষ্কার হয় এই পাস্তা। এর আবিষ্কারের ইতিহাস, প্রস্তুত প্রণালি, ঠিক কি কারণে বেশ জনপ্রিয় হয়, এর পেছনে কারা বেশ শ্রম দিয়েছিলেন বা কাদের হাত ধরে আজকের এই সারা বিশ্ব বিখ্যাত হাজার হাজার নতুন ব্র্যান্ড নিত্যদিন তৈরি করছে পাস্তা সব বিস্তারিত জানবো।
পাস্তার ইতিহাস
পাস্তা শব্দটি এসেছে ইতালির পেস্ট শব্দ থেকে। আটা আর পানির মিশ্রণে বা এক প্রকার পেস্ট থেকে তৈরি হয় বলে এর নাম পাস্তা নামকরণ হয়েছে।
ইতালিয়ান বিখ্যাত খাবার পাস্তা ইতালিয়ানদের কাছে স্রেফ একটি খাবারের নাম না, তাদের কাছে এক অন্য রকম আবেগ। এই খাবার ছাড়া ইতালিয়ানরা এক প্রকার অসম্পূর্ণ। প্যাঁচানো গোলাকৃতির কিংবা লম্বা আকৃতির খাবারের পেছনে রয়েছে বেশ সুদীর্ঘ এক ইতিহাস। ইতালির এই খাবার আবিষ্কারের পেছনে অনেকের অনেক মত আছে। জানা যায়, ভেনিসিয় পর্যটক মার্কো পোলোর লেখা অনুযায়ী অনেকেই বিশ্বাস করেন পাস্তা ইনি চীন থেকে সুদূর ইতালিতে নিয়ে এসেছিলেন। মার্কো পোলো বণিকও ছিলেন। তিনি ১৩ শতাব্দীর বেশ বিখ্যাত একজন পর্যটক ছিলেন। তার লেখায় এক ধরণের গাছের কথা উল্লেখ আছে যা থেকেই পাস্তার উদ্ভব ঘটে।
ঠিক পাস্তা না, তবে পাস্তার মতো সেই খাবারের প্রণালীর গাছটির নাম সাগু পাম ছিল বলে অনেকে ধারণা করেন। তবে পোলোর আগে থেকেই ইতালিতে পাস্তার প্রচলন ছিল বলেও জানা যায় অনেক তথ্য থেকে।
পাস্তার অনেককাল পরে খাবারের তালিকায় যুক্ত হয়েছিলো ম্যাকারনি। ম্যাকারনির ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় সর্বপ্রথম ১২০৭ সালে, ইতালির এক সৈনিকের কাছে। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, পাস্তার প্রথম ধারণা পাওয়া যায় আল ইদ্রিসের লেখায়। বিভিন্ন লেখা থেকে এটাই বুঝা যায় যে পাস্তা কেবল ইতালিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রাক রোমান ইতালিতেও এর ভালোই প্রচলন ছিল। যদিও নানান খাদ্য বিশারদদের এ নিয়ে বেশ বিতর্কের গুঞ্জন উঠেছিলো। বর্তমানে প্রায় ছয়শোরও অধিক আকৃতির পাস্তা বানানো হয়।
পাস্তার প্রস্তুত প্রণালী